নিজস্ব প্রতিবেদক :
আজ ৮ সেপ্টেম্বর জনপ্রিয় কথাসাহিত্যিক ইমদাদুল হক মিলনের ৬৭তম জন্মদিন। তার লেখা অনবদ্য উপন্যাস ‘নূরজাহান’ তাকে খ্যাতির শীর্ষে পৌঁছে দিয়েছে। শুধু তাই নয়, ‘নূরজাহান’ উপন্যাসটি একাধিক ভাষায় অনূদিত হতে যাচ্ছে।
২০১৩ সালের ৩০ আগস্ট এই অসাধারণ উপন্যাসের জন্য তিনি সাহিত্য পুরস্কার ‘আইআইপিএম-সুরমা চৌধুরী স্মৃতি আন্তর্জাতিক পুরস্কার’ পেয়েছেন; যা এশিয়ার সাহিত্য পুরস্কারগুলোর অন্যতম।
২০০৫ সালে তিনি জাপান ফাউন্ডেশন আয়োজিত ‘তাকেশি কায়েকো মেমোরিয়াল এশিয়ান রাইটারস লেকচার সিরিজে’ বাংলা ভাষার একমাত্র লেখক হিসেবে জাপানের চারটি ইন্টারন্যাশনাল সেন্টারে বাংলাদেশের সাহিত্য এবং তার নিজের লেখা নিয়ে বক্তৃতা করেন।
এ ছাড়া অধিবাস, পরাধীনতা, কালাকাল, বাঁকা জল, নিরন্নের কাল, পরবাস, কালোঘোড়া, নেতা যে রাতে নিহত হলেন, মুক্তিযুদ্ধের উপন্যাস সমগ্র, একাত্তর, সুতোয় বাঁধা প্রজাপতি, যাবজ্জীবন, মাটি ও মানুষের উপাখ্যান, পর, কেমন আছ সবুজপাতা, জীবনপুর প্রভৃতি তার বিখ্যাত বই। বাংলাদেশের সাহিত্যের পাঠক সৃষ্টিতে তার ভূমিকা ব্যাপক।
তার লেখা দুই শতাধিক নাটকের মধ্যে কোন কাননের ফুল, বারো রকম মানুষ, রূপনগর, যত দূরে যাই, যুবরাজ, কোথায় সে জন, আলতা, একজনা, নীলু, তোমাকেই, আঁচল, খুঁজে বেড়াই তারে, কোন গ্রামের মেয়ে, মেয়েটি এখন কোথায় যাবে বিপুল দর্শকপ্রিয়তা পায়। লেখালেখির পাশাপাশি সাংবাদিকতায়ও তিনি বেশ খ্যাতি অর্জন করেছেন। বর্তমানে তিনি কালের কণ্ঠের সম্পাদক।
লেখালেখির স্বীকৃতিস্বরূপ তিনি বাংলা একাডেমি পুরস্কার, হুমায়ুন কাদির সাহিত্য পুরস্কার, এসএম সুলতান পদক, ঢাকা যুব ফাউন্ডেশন পদক, শেরেবাংলা পদক, টেনাশিনাস পুরস্কার, জাপান বিবেক সাহিত্য পুরস্কার, কলকাতা চোখ সাহিত্য পুরস্কার, জাপান রাইটার্স অ্যাওয়ার্ড, মাদার তেরেসা পদক, বাচসাস পুরস্কারসহ বহু পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন।