নিজস্ব প্রতিবেদক:
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ছিন্নমূল ও সাধারণ মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন করাই সরকারের প্রধান লক্ষ্য।
দেশে প্রায় আট লাখ ছিন্নমূল মানুষ আছে, যাদের সবাই পর্যাক্রমে ঘর পাবে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী সমাজের বিত্তবানদের দুস্থ মানুষের পাশে দাঁড়ানো আহ্বান জানান। আজ মঙ্গলবার (২৬শে জুলাই) দেশের বিভিন্ন এলাকার গৃহহীনদের মাঝে ঈদের উপহার হিসেবে প্রায় ৩৩ হাজার ঘর হস্তান্তর অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রী ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত হয়ে এসব ঘর হস্তান্তর করেন সুবিধাভোগীদের মাঝে।
এসময় শেখ হাসিনা বলেন, ‘অতি অল্প সময়ের মধ্যে দেশকে গড়ে তুলেছিলেন জাতির পিতা শেখ মুজিবুর রহমান। তিনি স্বাধীন দেশের উপযোগী প্রতিটি প্রতিষ্ঠান সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী, পুলিশ বাহিনীকে গড়ে তুলেছেন। প্রতিটি অঞ্চল যাতে উন্নত হয় সে পদক্ষেপ নিয়েছেন তিনি। একটি মানুষও যাতে গৃহহীন না থাকে সেটাই জাতির পিতার লক্ষ্য ছিল। কিন্তু আমাদের দুর্ভাগ্য যে সে অর্জন আর ধরে রাখা হয়নি। পরবর্তীতে যারা ক্ষমতায় এসেছে তারা আমাদের আদর্শ ধ্বংস করেছে, মুক্তিযুদ্ধের লক্ষ্য ধ্বংস করেছে’।
তিনি বলেন, ‘আমাদের লক্ষ্য বাংলাদেশকে এমনভাবে গড়ে তুলবো যে বাংলাদেশ আবার তার হারানো সম্মান ফিরে পায়। আমাদের যেন কারো কাছে হাত পাততে না হয়। আমরা নিজেদের পায়ে দাঁড়াব এবং দেশকে উন্নত করবো’।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুকে স্বাধীনতার পর সাংবাদিকরা প্রশ্ন করেছিল এদেশে তো কিছুই নেই আপনি কী দিয়ে দেশকে গড়ে তুলবেন। বঙ্গবন্ধু জবাব দিয়েছিলেন এদেশে মাটি আছে মানুষ আছে। আমি মাটি ও মানুষকে কাজে লাগিয়েই দেশকে গড়ে তুলবো। জাতির পিতাকে না হারালে ৪০ বছর আগেই এ দেশ উন্নত সমৃদ্ধ হতো’।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘২০০৯ সালে ক্ষমতায় আসার পর আমরা বিভিন্ন পদক্ষেপ হাতে নেই যাতে মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন করতে পারি। আমরা চাই বাংলাদেশ এগিয়ে যাবে বঙ্গবন্ধুর দেখানো পথে। প্রতিটি মানুষ খাদ্য পাবে, বাসস্থান পাবে, উন্নত সমৃদ্ধ জীবন পাবে। বর্তমান সরকার সে লক্ষ্যেই এগিয়ে যাচ্ছে’।
তিনি আরো বলেন, ‘আমরা বাংলাদেশকে আধুনিক জ্ঞানসমৃদ্ধ ডিজিটাল বাংলাদেশ হিসেবে গড়ে তুলছি। প্রতিটি ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে দিয়েছি। যারা তিনবেলা খাবার সংগ্রহ করতে পারে না তাদের খাবারের ব্যবস্থা করেছি। প্রতিটি মানুষ যাতে মাথা গোজার ঠাঁই পায় সে ব্যবস্থা করছি। এদেশে কেউ গৃহহীন থাকবে না। দেশে ৮ লাখ ছিন্নমূল মানুষের বসবাস। তাদের ভাগ্য উন্নয়নে আমরা সব পদক্ষেপ গ্রহণ করেছি’।