চীনের শীর্ষ ধনি জ্যাক মা। তিনি সারাদিন একাধিক টুইট করতেন। কিন্তু সেই ব্যক্তি সোশ্যাল মিডিয়া থেকে প্রায় দুই মাস ‘উধাও’।
শেষ টুইট গত বছরের অক্টোবরে। দু’মাস ধরে দেখা যাচ্ছে না কোনও অনুষ্ঠানেও। তাই চীনের শিল্পপতি ও ই-কমার্স সংস্থা আলিবাবার কর্ণধার জ্যাক মা’কে ঘিরে রহস্য ঘনীভূত হচ্ছে ক্রমশ।
তিনি কোথায়, জানাতে পারছে না দেশ-বিদেশের সংবাদমাধ্যমও। বিষয়টি প্রথম নজরে আসে, যখন একটি টিভি শোয়ের বিচারক পদ থেকে জ্যাক মা’কে সরিয়ে অন্য আরেক বিচারককে আনা হয়। অনুষ্ঠানটি চূড়ান্ত পর্বের কোনও প্রচারেও দেখা যাচ্ছিল না তাকে।
এর কিছু দিন আগে চীন সরকার ও রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংক পরিষেবার সমালোচনা করে খবরের শিরোনামে এসেছিলেন জ্যাক। দু’মাস আগে শাংহাইয়ের ওই অনুষ্ঠানে শি জিনপিং সরকারের নিন্দা করায় তাঁর উপরে খোদ চীনা প্রেসিডেন্ট রুষ্ট ছিলেন বলেন দাবি বেশ কিছু সংবাদমাধ্যমের। জ্যাক মা’র নিখোঁজ রহস্য সেই জল্পনাই আরও উস্কে দিয়েছে।
শাংহাইয়ের ওই ঘটনার পরে মা’র অঙ্গ সংস্থা অ্যান্ট-কে দেশটির আর্থিক নজরদারি সংস্থার কোপে পড়তে হয় এবং এর ঠিক পরেই চীনের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তির তালিকা থেকে সরে যায় তাঁর নাম। চীন-আমেরিকা দ্বন্দ্বের পরিস্থিতিতেও নিউইয়র্কের একটি হাসপাতালে কমপক্ষে দু’হাজার ভেন্টিলেটর দান করে স্বয়ং ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশংসা কুঁড়িয়েছিলেন মা। বেইজিং সেটাও ভাল চোখে দেখেনি।
গত ১০ অক্টোবর শেষ টুইট করেছিলেন মা। আলিবাবার এক মুখপাত্রের দাবি, সময়ের অভাবে টিভি শোয়ের বিচারক পদ থেকে সরে এসেছিলেন মা। কিন্তু তারপরে কেন মা’কে দেখা যাচ্ছে না, সে প্রশ্নের কোনও উত্তর মেলেনি মা-য়ের সংস্থা বা পরিবারের কাছ থেকে।
পশ্চিমা দেশগুলোর একাধিক সংবাদমাধ্যমে জল্পনা, তবে কি বেইজিংয়ের বিরুদ্ধে মুখ খোলার মাসুল দিতে হচ্ছে মা’কে? জিনপিং প্রশাসনও এ নিয়ে কোন বক্তব্য দিচ্ছে না।
চীনের সবচেয়ে বিত্তশালী তো বটেই, গোটা বিশ্বের ২৫ জন ধনীর মধ্যে জ্যাক মা অন্যতম। মোট সম্পত্তির পরিমাণ পাঁচ হাজার কোটি ডলারেরও বেশি। কিন্তু চাঁচাছোলা ভাষায় সরকারের সমালোচনা করতে পিছপা হতেন না কখনই তিন সন্তানের জনক জ্যাক মা।
সূত্র : ভারতীয় সংবাদমাধ্যম