Dhaka ১০:৪৭ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০৪ মে ২০২৫, ২১ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

চীনের ভয়ঙ্কর অস্ত্র পাকিস্তানের হাতে

  • Reporter Name
  • Update Time : ১২:৫০:৫৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩ মে ২০২৫
  • ১৫ Time View

কাশ্মীর ইস্যুতে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা প্রকট আকার ধারণ করছে। সীমান্তে প্রতিনিয়ত ব্যাপক গোলাগুলি হচ্ছে। দুই দেশই যুদ্ধের আগাম প্রস্তুতি হিসেবে ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালিয়েছে। পাল্টাপাল্টি অবস্থান আর হুমকি-ধমকি তো আছেই। এমন বাস্তবতায় পাকিস্তানকে সামরিকভাবে শক্তিশালী করে তুলতে এগিয়ে এসেছে এশিয়ার পরাশক্তি চীন। 

আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলোর তথ্যমতে, ভারতীয় জাহাজ ও সেনাবাহিনীর গতিবিধি সংক্রান্ত তথ্যের জন্য পাকিস্তানকে চীনের ওপরে নির্ভর করতে হবে। শুধু তাই নয়, যে লক্ষ্যবস্তু চোখে দেখা যায় না এরকম ক্ষেপণাস্ত্রের জন্যও পাকিস্তান চীনের ওপর নির্ভরশীল। তবে, ভারতের সঙ্গে উত্তেজনার মধ্যে পাকিস্তানের পাশে দাঁড়িয়েছে চীন। ইতোমধ্যে জরুরি ভিত্তিতে ইসলামাবাদের কাছে অত্যাধুনিক ক্ষেপণাস্ত্র সরবরাহ করছে বেইজিং।

ভারতীয় গণমাধ্যম ফাস্টপোস্টের প্রতিবেদনে বলা হয়, সম্প্রতি পাকিস্তানের হাতে অত্যাধুনিক পিএল-১৫ আকাশ থেকে আকাশে নিক্ষেপযোগ্য মিসাইল তুলে দিয়েছে চীন। গত ২৭ এপ্রিল পাকিস্তানের বিমান বাহিনী সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তিনটি জেএফ-১৭ যুদ্ধবিমানের ছবি প্রকাশ করে, যা চীনা পিএল-১৫ ক্ষেপণাস্ত্রে সজ্জিত ছিল।

চীনের সরকারি সংস্থা অ্যাভিয়েশন ইন্ডাস্ট্রি করপোরেশন অফ চায়না নির্মিত পিএল-১৫ ক্ষেপণাস্ত্রটি রাডার নিয়ন্ত্রিত সক্রিয় অস্ত্র, যা প্রায় ২০০-৩০০ কিলোমিটার দূরত্বে থাকা শত্রু বিমানকে লক্ষ্য করে ধ্বংস করতে সক্ষম।

এদিকে, ভারতকে ঘায়েল করতে পারমাণবিক অস্ত্র বহনে সক্ষম শাহীন ও গজনবীর মতো ক্ষেপণাস্ত্রসহ ১৩০টি ক্ষেপণাস্ত্র প্রস্তুত করে রেখেছে পাকিস্তান। 

দেশটির রেলওয়েমন্ত্রী হানিফ আব্বাসী বলেন, ১৩০টি ক্ষেপণাস্ত্র কেবলমাত্র নমুনা হিসেবে রাখা হয়নি, আপনাদের কোনো ধারণাই হবে না যে পাকিস্তানের কোথায় কোথায় সেগুলো মোতায়েন করা হয়েছে।

কূটনীতিকরা জানান, গত পাঁচ বছরে পাকিস্তানের কাছে যত অস্ত্র এসেছে, তার প্রতি পাঁচটির মধ্যে চারটিই চীনের। ভারতের সঙ্গে সংঘর্ষ শুরু হলে এইসব অস্ত্রই ব্যবহৃত হবে।

বিশ্লেষকরা বলছেন, কাশ্মীরের পেহেলগামে হামলায় ঘটনায় শুরু থেকেই পাকিস্তানকে দোষারোপ করছে ভারত। তবে, হামলায় জড়িত থাকার কথা শুরু থেকেই অস্বীকার এবং একটি বিশ্বাসযোগ্য ও স্বচ্ছ তদন্তে অংশ নেওয়ার প্রস্তাব দিয়ে আসছে ইসলামাবাদ। ভারত অবশ্য হামলার বিষয়ে জোরালো প্রমাণ দেখাতে পারেনি। এ অবস্থায় দিল্লি কোনো পদক্ষেপ নিলে বিশ্ব মঞ্চে এর ন্যায্যতা পাওয়ার সম্ভাবনা কম। 

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Raj Kalam

চীনের ভয়ঙ্কর অস্ত্র পাকিস্তানের হাতে

Update Time : ১২:৫০:৫৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩ মে ২০২৫

কাশ্মীর ইস্যুতে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা প্রকট আকার ধারণ করছে। সীমান্তে প্রতিনিয়ত ব্যাপক গোলাগুলি হচ্ছে। দুই দেশই যুদ্ধের আগাম প্রস্তুতি হিসেবে ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালিয়েছে। পাল্টাপাল্টি অবস্থান আর হুমকি-ধমকি তো আছেই। এমন বাস্তবতায় পাকিস্তানকে সামরিকভাবে শক্তিশালী করে তুলতে এগিয়ে এসেছে এশিয়ার পরাশক্তি চীন। 

আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলোর তথ্যমতে, ভারতীয় জাহাজ ও সেনাবাহিনীর গতিবিধি সংক্রান্ত তথ্যের জন্য পাকিস্তানকে চীনের ওপরে নির্ভর করতে হবে। শুধু তাই নয়, যে লক্ষ্যবস্তু চোখে দেখা যায় না এরকম ক্ষেপণাস্ত্রের জন্যও পাকিস্তান চীনের ওপর নির্ভরশীল। তবে, ভারতের সঙ্গে উত্তেজনার মধ্যে পাকিস্তানের পাশে দাঁড়িয়েছে চীন। ইতোমধ্যে জরুরি ভিত্তিতে ইসলামাবাদের কাছে অত্যাধুনিক ক্ষেপণাস্ত্র সরবরাহ করছে বেইজিং।

ভারতীয় গণমাধ্যম ফাস্টপোস্টের প্রতিবেদনে বলা হয়, সম্প্রতি পাকিস্তানের হাতে অত্যাধুনিক পিএল-১৫ আকাশ থেকে আকাশে নিক্ষেপযোগ্য মিসাইল তুলে দিয়েছে চীন। গত ২৭ এপ্রিল পাকিস্তানের বিমান বাহিনী সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তিনটি জেএফ-১৭ যুদ্ধবিমানের ছবি প্রকাশ করে, যা চীনা পিএল-১৫ ক্ষেপণাস্ত্রে সজ্জিত ছিল।

চীনের সরকারি সংস্থা অ্যাভিয়েশন ইন্ডাস্ট্রি করপোরেশন অফ চায়না নির্মিত পিএল-১৫ ক্ষেপণাস্ত্রটি রাডার নিয়ন্ত্রিত সক্রিয় অস্ত্র, যা প্রায় ২০০-৩০০ কিলোমিটার দূরত্বে থাকা শত্রু বিমানকে লক্ষ্য করে ধ্বংস করতে সক্ষম।

এদিকে, ভারতকে ঘায়েল করতে পারমাণবিক অস্ত্র বহনে সক্ষম শাহীন ও গজনবীর মতো ক্ষেপণাস্ত্রসহ ১৩০টি ক্ষেপণাস্ত্র প্রস্তুত করে রেখেছে পাকিস্তান। 

দেশটির রেলওয়েমন্ত্রী হানিফ আব্বাসী বলেন, ১৩০টি ক্ষেপণাস্ত্র কেবলমাত্র নমুনা হিসেবে রাখা হয়নি, আপনাদের কোনো ধারণাই হবে না যে পাকিস্তানের কোথায় কোথায় সেগুলো মোতায়েন করা হয়েছে।

কূটনীতিকরা জানান, গত পাঁচ বছরে পাকিস্তানের কাছে যত অস্ত্র এসেছে, তার প্রতি পাঁচটির মধ্যে চারটিই চীনের। ভারতের সঙ্গে সংঘর্ষ শুরু হলে এইসব অস্ত্রই ব্যবহৃত হবে।

বিশ্লেষকরা বলছেন, কাশ্মীরের পেহেলগামে হামলায় ঘটনায় শুরু থেকেই পাকিস্তানকে দোষারোপ করছে ভারত। তবে, হামলায় জড়িত থাকার কথা শুরু থেকেই অস্বীকার এবং একটি বিশ্বাসযোগ্য ও স্বচ্ছ তদন্তে অংশ নেওয়ার প্রস্তাব দিয়ে আসছে ইসলামাবাদ। ভারত অবশ্য হামলার বিষয়ে জোরালো প্রমাণ দেখাতে পারেনি। এ অবস্থায় দিল্লি কোনো পদক্ষেপ নিলে বিশ্ব মঞ্চে এর ন্যায্যতা পাওয়ার সম্ভাবনা কম।