ক্রীড়া ডেস্ক:
বিশ্বকাপ বাছাই পর্বে চিলিকে ২-১ গোলের ব্যবধানে হারিয়েছে আর্জেন্টিনা। আর্জেন্টিনার পক্ষে গোল দুটি করেছেন ডি মারিয়া ও লাউতারো মার্টিনেজ।
ম্যাচের শুরুতে কিছুটা চাপে থাকলেও সময়ের সঙ্গে মানিয়ে নেয় আর্জেন্টিনা। সপ্তম মিনিটেই পেয়ে যায় গোলের দেখাও। রদ্রিগো ডি পল বল বাড়িয়ে দেন ডি মারিয়ার দিকে। তার সামনে তখন প্রতিপক্ষে তিন ফুটবলার। তাদের এক রকম ফাঁকি দিয়ে বক্সের বাইরে থেকে নেওয়া শটে দৃষ্টিনন্দন এক গোল করে দলকে এগিয়ে দেন তিনি।
ওই লিড অবশ্য বেশিক্ষণ ধরে রাখতে পারেনি আর্জেন্টিনা। ম্যাচের ২০তম মিনিটে স্বাগতিক চিলিকে সমতায় ফেরান বেন ব্রেন্টন দিয়াজ। মার্সেলিয়ানো নুয়েজের কাছ থেকে পাওয়া বলে দুরূহ কোন থেকে গোল করেন তিনি।
২৫ মিনিটে ডি মারিয়ার বক্সের বাইরে থেকে নেওয়া আরও একটি শট আটকে দেন গোলরক্ষক ক্লদিও ব্রাভো। ৩৪ মিনিটেও ঠেকিয়ে দিয়েছিলেন রদ্রিগো ডি পলের শট। কিন্তু ফিরতি বল পেয়ে যান মার্টিনেজ। গোল করতে ভুল করেননি তিনি।
৩৭ ও ৩৮ মিনিটে দুটি সুযোগ পেয়েও কাজে লাগাতে পারেনি চিলি। পিছিয়ে থেকেই বিরতিতে যেতে হয় স্বাগতিকদের। বিরতি থেকে ফিরে দু দলই কিছুটা ছন্দহীন ফুটবল খেলতে থাকে। তবে ৮৪ মিনিটে এসে গোলের খুব কাছাকাছি ছিল চিলি।
কিন্তু এবার আর্জেন্টিনার ত্রানকর্তা হন এমিলিয়ানো মার্টিনেজ। বেন ব্রেন্টনের হেড ঝাঁপিয়ে পড়ে ঠেকিয়ে দেন অ্যাস্টন ভিলা তারকা। হতাশ হতে হয় চিলিকে। শেষ পর্যন্তও বজায় থাকে সেটি।
এই জয়ে টানা জয়ের রেকর্ড ধরে রাখল আর্জেন্টিনা। ১৪ ম্যাচে ৩২ পয়েন্ট নিয়ে দক্ষিণ আমেরিকা অঞ্চলের বিশ্বকাপ বাছাইয়ে দুইয়েই থাকল তারা।
এদিকে, বিশ্বকাপ বাছাইয়ের আরেক ম্যাচে ব্রাজিলকে রুখে দিয়েছে ইকুয়েডর। ১-১ গোল সমতায় শেষ হয় ম্যাচটি।
লা কাসাব্লাঙ্কায় ম্যাচের শুরু থেকেই ব্রাজিলের রক্ষণভাগে একের পর এক আক্রমণ করতে থাকে ইকুয়েডর। তবে এরপরই আক্রমণে আধিপত্য বিস্তার করে ব্রাজিল। ম্যাচের ষষ্ঠ মিনিটে প্রতি আক্রমণে গিয়ে গোলের দেখা পায় ক্যাসেমিরোরা। কর্নার থেকে ভিনিসিউসের বাড়ানো শট ইকুয়েডরের রক্ষণভাগের ব্যর্থতায় বল চলে যায় ডি বক্সে থাকা ক্যাসেমিরোর কাছে। গোলরক্ষক প্রতিহত করার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন। তবে ইকুয়েডর বড় ধাক্কাটি খায় ম্যাচের ১৩তম মিনিটে। মাথেউস কুনহাকে ফাউল করে লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়েন দলটির গোলরক্ষক ডমিনগেজ।
এর পর ব্রাজিলের এমারসন দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখলে দুই দলের মধ্যে ভারসম্য ফিরে আসে। ১-০ গোলে এগিয়ে থেকেই বিরতিতে যেতে হয় ব্রাজিলকে।
ম্যাচের ৪৯তম মিনিটে সমতায় ফিরেছিল স্বাগতিকরা। তবে এসত্রাদার জালে জড়ানো বলটি অফসাইডের কারণে বাতিল হয়। ম্যাচের ৫৫তম মিনিটে বল নিয়ে ব্রাজিলের ডি বক্সে ঢুকে পড়া এস্তোপিনান ফাউলের শিকার হলে পেনাল্টির বাঁশি বাজান রেফারি। তবে, ভিআর চেকে পরে অবশ্য সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করেন ম্যাচ রেফারি।
ম্যাচের ৭৫ মিনিটে সমতায় ফেরে স্বাগতিকরা। কর্নার থেকে গনজালো প্লাটার বাড়ানো শট হেডের সাহায্যে জালে জড়ান ফেলিক্স তরেস। অ্যালিসন বাঁ দিকে ঝাপিয়ে পড়েও বলের নাগাল পাননি।