রাজশাহী ব্যুরোঃ-

বাংলাদেশের নীলফামারি জেলার চিলাহাটি ও ভারতের হলিদাবাড়ি রুটে ট্রেন চলাচল উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

১৭ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার এক ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানের মাধ্যমে যৌথভাবে এই ট্রেন সেবার উদ্বোধন করেন।

রেলওয়ে পশ্চিম রাজশাহীর জেনারেল ম্যানেজার মিহির কান্ত গুহ বলেন “রেলপথটি বাংলাদেশ ও ভারত, উভয় দেশের রেলই ব্যবহার করবে। ভারতের রেল যেমন এই পথ ব্যবহার করে শিলিগুড়ি যাবে, তেমনি বাংলাদেশের রেলও পথটি ব্যবহার করে শিলিগুড়ি থেকে পণ্য আনা নেওয়া করতে পারবে। বর্তমানে খুলনা-কলকাতা বা কলকাতা-ঢাকা রেল যোগাযোগ রয়েছে, এটিও তেমন একটি রেল যোগাযোগ হবে।”

পশ্চিম রেলের চীফ কমার্শিয়াল ম্যানেজার আহাসান উল্লা ভূঁইয়া বলেন, এই রেলপথে বাংলাদেশের স্বার্থ একটু সুদূরপ্রসারী বলে মনে করেন তিনি। তার ভাষায়, নেপাল ও ভুটান বাংলাদেশের মংলা সমুদ্রবন্দর ব্যবহার করে মালামাল পরিবহন করতে চায়। এখন সেটা সড়ক পথে করতে হচ্ছে, এতে খরচও বেশি।
কিন্তু এই রেলপথটি শিলিগুড়ির সঙ্গে যুক্ত হওয়ায়, আমরা এখন রেল পথটি ব্যবহার করে শিলিগুড়ি যেতে পারবো। ফলে নেপাল ও ভুটানের সঙ্গেও এই পথে আমদানি রপ্তানি করা সহজ হলো।

তিনি আরো বলেন , এ ছাড়া “শিলিগুড়ির সেখানকার আশেপাশের এলাকার সঙ্গও সংযোগ তৈরি হবে, যেখান থেকে পাথরসহ অনেক দ্রব্য বাংলাদেশে আমদানি হয়, ব্যবসা-বাণিজ্য হয়। রেলপথের কারণে আমাদেরও অনেক সুযোগ তৈরি হবে। ফলে বাংলাদেশের ভেতর দিয়ে ভারতের রেল চলাচলে তারা যেমন সুবিধা পাবে, তেমনি ভারতের ভেতর দিয়ে শিলিগুড়ির সঙ্গে রেল যোগাযোগ তৈরি হওয়ায় বাংলাদেশের ব্যবসাবাণিজ্যের নতুন সুযোগ তৈরি হবে।

“হলদিবাড়ি থেকে চিলাহাটি আসার পর রেল যেমন আবার ভারতে চলে যেতে পারবে, তেমনি সেখান থেকে সরাসরি মংলা বন্দরে যোগাযোগ থাকবে। ফলে মোংলায় জাহাজের পণ্য শিলিগুড়ি, সিকিম বা ভারতের উত্তর এলাকায় যেমন যেতে পারবে, তেমনি নেপাল ও ভুটানও বন্দর ব্যবহার করে আমদানি করতে পারবে। এখানে থাকা সার্কের দেশগুলো এই রেলপথ ব্যবহার করে আমদানি-রফতানিতে মোংলা বন্দর ব্যবহার করতে পারবে, যার ফলে আর্থিক লাভ হবে বাংলাদেশের।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে