Dhaka ০১:২১ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৪ মে ২০২৫, ৩০ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

চিলমারীতে প্রশাসনকে বৃদ্ধা আঙ্গুল দেখিয়ে বুড়ি তিস্তার বালু বিক্রি হচ্ছে

  • Reporter Name
  • Update Time : ১২:৩৪:৫৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ২ জুন ২০২১
  • ১৪৫ Time View

হাবিবুর রহমান, চিলমারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধিঃ

কুড়িগ্রামের চিলমারীতে “সাপ্তাহিক সহযোগী” পত্রিকার অনলাইন ভার্সনে “চিলমারীতে খাল খননের নামে ড্রেজার বসিয়ে বালু বিক্রি” এই শিরোনামে নিউজ প্রকাশিত হওয়ার পরে ও প্রশাসন কিংবা বালু ব্যবসায়ী কাউকে দেখা যাচ্ছে না।

অবাদে হচ্ছে বালু বিক্রি, দেখার যেন কেউ নেই। অবৈধ ও নিয়ম নীতিকে তোয়াক্কা না করেই খাল খননের নামে চলছে বালু উত্তোলন ও রমরমা ব্যবসা। সুবিধা নিচ্ছে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান, লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে স্থানীয় ক’য়েকজন প্রভাবশালী ও বালু ব্যবসায়ীরা। দেখেও না দেখার ভান করে অজ্ঞাত কারনে নিরব ভুমিকা পালন করছে প্রশাসন। সরকারী খাল বা নদী থেকে মাটি ও বালু বিক্রির নিয়ম নেই বলেই খালাস পানি উন্নয়ন বোর্ড। জানা গেছে, কুড়িগ্রামের চিলমারী উপজেলার রাণীগঞ্জ ইউনিয়নের কোদাল ধোয়ার পাড় এলাকার ব্রীজ, মাগুয়া খাল থেকে দীর্ঘদিন হতে মাটি বালি উত্তোলন করে যাচ্ছে একটি বালু মহল। স্থানীয় প্রভাব ও একটি সিন্ডিকেট অবৈধ ভাবে ড্রেজার বসিয়ে দীর্ঘদিন থেকে বালু ও মাটি বিক্রি করে হাতিয়ে নিচ্ছে লক্ষ লক্ষ টাকা। আইনকে তোয়াক্কা না করেই বালু উত্তোলন করায় দু’পাশের পাড়সহ কৃষি জমির ক্ষতির আশঙ্কা মাথায় নিয়ে প্রভাবশালীদের ভয়ে মুখ খুলছেনা কিছু অসহায় ও গরীব কৃষকরা। মুখ খুললেই তাদের বিরুদ্ধে নানা রকম হুমকি আসতে পারে, বলেও জানান স্থানীয় এলাকার নাম প্রকাশে কিছু মানুষজন। এদিকে উক্ত খাল খননের জন্য সরকারী ভাবে কোটি কোটি টাকা বরাদ্দ দেয়া হলেও ঠিকাদারের লোকজন বালু ব্যবসায়ী ও সিন্ডিকেটের সাথে আতাত করে সুবিধা নিতে ব্যস্ত। ব্যবসায়ীদের ভয়ে নাম প্রকাশে অনেক এলাকাবাসী জানান, কাকড়া গাড়ি দিয়ে মাটি খুড়ে দু’পাড়ে মাটি ভরাট করার কথা থাকলেও নামে মাত্র কাজ শুরু করলেও সুযোগকে কাজে লাগিয়ে বালু ব্যবসায়ীরা ও সিন্ডিকেট কৌশল করে ড্রেজার দিয়ে বালু তুলে রমরমা ব্যবসা করছে, এতে করে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান যেমন সুবিধা পাচ্ছেন তেমনি, সরকারী খালের বালি মাটি বিক্রি করে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন সেন্ডিকেটটি। তবে ভয় আর ভিতির কারনে উক্ত সিন্ডিকেটের নাম প্রকাশ করতে তারা নারাজ। দীর্ঘদিন থেকে অবৈধ ভাবে বালু বিক্রির মহাউৎসব চললেও অজ্ঞাত কারনে নিরব ভুমিকা পালন করছে প্রশাসন। দেখেও না দেখার ভান করছে পানি উন্নয়ন বোর্ড। খালে উপর বসবাসরত মেরজান বলেন বালু ব্যবসায়ীরা ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলনের ফলে পাড়ের মাটি যে কোন মুহুত্বে ধসে তার বাড়িটিও ভেঙ্গে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। কিন্তু বলতে গেলেই ভয়ভিতি দেখাচ্ছে। মঙ্গলবার বিকালে সরেজমিন গেলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন বলেন, আবেদ আলীর ও সোলায়মানসহ বেশ কয়েকজনের নির্দেশে বালু উত্তোলন, বিক্রি ও জমিতে বালু ভরাট করা হচ্ছে এবং রানীগঞ্জ কোদাল ধোয়া ব্রীজের দু’পাশে ড্রেজার বসিয়ে বালু উত্তোলন ও ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে একটি সিন্টিকেট। এসময় ড্রেজার চালক ও উপস্থিত জরিত ব্যক্তিদের সাথে কথা বলতে চাইলে তারা বিষয়টি বিভিন্ন খাতে নেয়ার চেষ্টা করেন। কথা হলে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ মাহবুবুর রহমান বলেন, আমি নতুন এসেছি খোজ নিয়ে নিয়ম অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে। এ ব্যাপারে পানি উন্নয়ন বোর্ড নির্বাহী অফিসার কুড়িগ্রাম মোঃ আরিফুল ইসলাম সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে, তিনি ফোন রিসিব করেননি। এ ব্যাপারে রানীগঞ্জ ইউনিয়ন চেয়ারম্যান, মোঃ মন্জুরুল ইসলাম মন্জু, সাথে কথা হলে তিনি বলেনঃ কে বা কাহারা বালু বিক্রি করছে তা আমি জানি না, তবে বাড়ী করার জন্য মাটি কাটছে, তা শুনেছি।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Raj Kalam

চিলমারীতে প্রশাসনকে বৃদ্ধা আঙ্গুল দেখিয়ে বুড়ি তিস্তার বালু বিক্রি হচ্ছে

Update Time : ১২:৩৪:৫৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ২ জুন ২০২১

হাবিবুর রহমান, চিলমারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধিঃ

কুড়িগ্রামের চিলমারীতে “সাপ্তাহিক সহযোগী” পত্রিকার অনলাইন ভার্সনে “চিলমারীতে খাল খননের নামে ড্রেজার বসিয়ে বালু বিক্রি” এই শিরোনামে নিউজ প্রকাশিত হওয়ার পরে ও প্রশাসন কিংবা বালু ব্যবসায়ী কাউকে দেখা যাচ্ছে না।

অবাদে হচ্ছে বালু বিক্রি, দেখার যেন কেউ নেই। অবৈধ ও নিয়ম নীতিকে তোয়াক্কা না করেই খাল খননের নামে চলছে বালু উত্তোলন ও রমরমা ব্যবসা। সুবিধা নিচ্ছে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান, লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে স্থানীয় ক’য়েকজন প্রভাবশালী ও বালু ব্যবসায়ীরা। দেখেও না দেখার ভান করে অজ্ঞাত কারনে নিরব ভুমিকা পালন করছে প্রশাসন। সরকারী খাল বা নদী থেকে মাটি ও বালু বিক্রির নিয়ম নেই বলেই খালাস পানি উন্নয়ন বোর্ড। জানা গেছে, কুড়িগ্রামের চিলমারী উপজেলার রাণীগঞ্জ ইউনিয়নের কোদাল ধোয়ার পাড় এলাকার ব্রীজ, মাগুয়া খাল থেকে দীর্ঘদিন হতে মাটি বালি উত্তোলন করে যাচ্ছে একটি বালু মহল। স্থানীয় প্রভাব ও একটি সিন্ডিকেট অবৈধ ভাবে ড্রেজার বসিয়ে দীর্ঘদিন থেকে বালু ও মাটি বিক্রি করে হাতিয়ে নিচ্ছে লক্ষ লক্ষ টাকা। আইনকে তোয়াক্কা না করেই বালু উত্তোলন করায় দু’পাশের পাড়সহ কৃষি জমির ক্ষতির আশঙ্কা মাথায় নিয়ে প্রভাবশালীদের ভয়ে মুখ খুলছেনা কিছু অসহায় ও গরীব কৃষকরা। মুখ খুললেই তাদের বিরুদ্ধে নানা রকম হুমকি আসতে পারে, বলেও জানান স্থানীয় এলাকার নাম প্রকাশে কিছু মানুষজন। এদিকে উক্ত খাল খননের জন্য সরকারী ভাবে কোটি কোটি টাকা বরাদ্দ দেয়া হলেও ঠিকাদারের লোকজন বালু ব্যবসায়ী ও সিন্ডিকেটের সাথে আতাত করে সুবিধা নিতে ব্যস্ত। ব্যবসায়ীদের ভয়ে নাম প্রকাশে অনেক এলাকাবাসী জানান, কাকড়া গাড়ি দিয়ে মাটি খুড়ে দু’পাড়ে মাটি ভরাট করার কথা থাকলেও নামে মাত্র কাজ শুরু করলেও সুযোগকে কাজে লাগিয়ে বালু ব্যবসায়ীরা ও সিন্ডিকেট কৌশল করে ড্রেজার দিয়ে বালু তুলে রমরমা ব্যবসা করছে, এতে করে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান যেমন সুবিধা পাচ্ছেন তেমনি, সরকারী খালের বালি মাটি বিক্রি করে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন সেন্ডিকেটটি। তবে ভয় আর ভিতির কারনে উক্ত সিন্ডিকেটের নাম প্রকাশ করতে তারা নারাজ। দীর্ঘদিন থেকে অবৈধ ভাবে বালু বিক্রির মহাউৎসব চললেও অজ্ঞাত কারনে নিরব ভুমিকা পালন করছে প্রশাসন। দেখেও না দেখার ভান করছে পানি উন্নয়ন বোর্ড। খালে উপর বসবাসরত মেরজান বলেন বালু ব্যবসায়ীরা ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলনের ফলে পাড়ের মাটি যে কোন মুহুত্বে ধসে তার বাড়িটিও ভেঙ্গে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। কিন্তু বলতে গেলেই ভয়ভিতি দেখাচ্ছে। মঙ্গলবার বিকালে সরেজমিন গেলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন বলেন, আবেদ আলীর ও সোলায়মানসহ বেশ কয়েকজনের নির্দেশে বালু উত্তোলন, বিক্রি ও জমিতে বালু ভরাট করা হচ্ছে এবং রানীগঞ্জ কোদাল ধোয়া ব্রীজের দু’পাশে ড্রেজার বসিয়ে বালু উত্তোলন ও ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে একটি সিন্টিকেট। এসময় ড্রেজার চালক ও উপস্থিত জরিত ব্যক্তিদের সাথে কথা বলতে চাইলে তারা বিষয়টি বিভিন্ন খাতে নেয়ার চেষ্টা করেন। কথা হলে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ মাহবুবুর রহমান বলেন, আমি নতুন এসেছি খোজ নিয়ে নিয়ম অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে। এ ব্যাপারে পানি উন্নয়ন বোর্ড নির্বাহী অফিসার কুড়িগ্রাম মোঃ আরিফুল ইসলাম সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে, তিনি ফোন রিসিব করেননি। এ ব্যাপারে রানীগঞ্জ ইউনিয়ন চেয়ারম্যান, মোঃ মন্জুরুল ইসলাম মন্জু, সাথে কথা হলে তিনি বলেনঃ কে বা কাহারা বালু বিক্রি করছে তা আমি জানি না, তবে বাড়ী করার জন্য মাটি কাটছে, তা শুনেছি।