হাবিবুর রহমান, চিলমারী(কুড়িগ্রাম)প্রতিনিধিঃ
কুড়িগ্রামের চিলমারীতে দীর্ঘদিন থেকে জীবিত ব্যাক্তিকে ভোটার তালিকায় মৃত দেখিয়ে বয়স্ক ভাতা থেকে বন্চিত কাচু শেখ।
জানা যায় কুড়িগ্রামের চিলমারী উপজেলার শামসপাড়া এলাকার, মৃত আসমত শেখের পুত্র মো.কাচু শেখ জীবিত থেকেও ভোটার তালিকায় মৃত। তিনি ২০১০ সাল থেকে বয়স্ক ভাতা পেলেও ২০২০ সালের জুন মাসে সর্বশেষ ভাতা তুলে সেটিও বন্ধ হয়ে যায়। দীর্ঘ ১বছর ভাতা বন্ধ থাকায়, মানবেতর জীবন যাপন করছেন কাচু শেখ। ভোটার ডাটাবেজে মৃত দেখায় ভাতা বন্ধ করা হয়েছে বলে সমাজসেবা দপ্তরের দাবী। নির্বাচন অফিসের তথ্যানুযায়ী গত রোববার তিনি জীবিত হলেও ফিরে পাচ্ছেন না হারানো বয়স্ক ভাতা। সরেজমিনে সোমবার দুপুরে উপজেলার শামসপাড়া এলাকায় দেখা যায় ৭৭বছর বয়সী কাচু শেখ রাস্তায় হাটছেন। এ সময় তিনি জানান,দীর্ঘদিন ধরে সরকারীভাবে পাওয়া বয়স্ক ভাতা তুলে আসছিলেন তিনি। গত বছর জুলাই মাসে ব্যাংকে ভাতা তুলতে গেলে ব্যাংক ভাতা বই নিয়ে সমাজসেবা দপ্তরে যোগাযোগ করতে বলে। সে মোতাবেক তিনি সমাজসেবা অফিসে যান। বই হালনাগাদ করতে স্মার্ট কার্ড নিতে নির্বাচন অফিসে যান তিনি। ভোটার ডাটাবেজে মৃত দেখায় স্মার্ট কার্ড দিতে না পারায় বই হালনাগাদ হয়নি, ফলে তখন থেকেই তার ভাতা বন্ধ। তিনি আরও বলেন,বিভিন্ন দপ্তরে বার বার ঘুরেও
কোন লাভ হয়নি। কাচু শেখের দাবী তার বয়স্ক ভাতা এক বছরের বকেয়াসহ পরিশোধ করা হোক। সমাজসেবা অফিসার মো.লুৎফর রহমান জানান,ভাতাভোগীদের নাম অনলাইনে হালনাগাদ করতে গিয়ে এন্ট্রি না নেয়ায়,দেখা যায় ভোটার ডাটাবেজে মৃত দেখানো হয়েছে। ফলে তার ভাতা স্বংক্রিয়ভাবে বন্ধ হয়ে গেছে।
উপজেলা নির্বাচন অফিসার মো.ইকবাল হোসেন বলেন,তথ্য সংগ্রহকারী ও মেম্বারদের তথ্য ভুলের কারনে জীবিতরা মৃত হয়ে গেছে। পরে যখন জানাগেল তারা জীবিত,তখন আবেদন স্বাপেক্ষে কমিশনে অনুরোধ করে তাদের জীবিত করা হয়েছ।