Dhaka ০৭:১৬ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১১ এপ্রিল ২০২৫, ২৮ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম:
প্রথমদিনে অনুপস্থিত প্রায় ২৭ হাজার, বহিষ্কার ২২ পোল্যান্ডের বাংলাদেশের দূত হলেন সাবেক আইজিপি ময়নুল ইসলাম ‘পোশাক রপ্তানিতে বিশ্বে শীর্ষস্থানে উঠতে প্রস্তুত বাংলাদেশ’ সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর মামলার সাক্ষী আবছার আটক ১৩ দিন বৃষ্টিবলয়ে থাকবে পুরো দেশ, হবে কালবৈশাখী-বজ্রপাত যুক্তরাষ্ট্রের ওপর পাল্টা শুল্ক স্থগিত করলো ইউরোপীয় ইউনিয়ন পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌপথে ফেরি চলাচল বন্ধ ভারত থেকে শেখ হাসিনাকে ফেরানোর উদ্যোগ নেওয়া হবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লুট হওয়া অস্ত্র নিরাপত্তার জন্য হুমকি: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা ভারতের ট্রান্সশিপমেন্ট বাতিলে বাণিজ্যে প্রভাব পড়বে না: বাণিজ্য উপদেষ্টা

চিলমারীতে জরা-জীর্ণ ঘরে বসবাস ছকিতন বেগমের সরকারের নিকট একটি ঘরের জন্য আবেদন

  • Reporter Name
  • Update Time : ০৩:৫৫:২৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ৪ জুলাই ২০২১
  • ৪০ Time View
হাবিবুর রহমান, চিলমারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধিঃ
কুড়িগ্রামের চিলমারীতে রমনা ইউনিয়নের পশ্চিম খরখরিয়া গ্রামের প্রতিবন্ধী ছকিতন বেগম(৪০) ছেলে-মেয়ে নিয়ে জিবন যাপন করছেন ভাঙ্গা একটি টিনের ঘরে।
চালের টিনের ফুটো দিয়ে যেমন আকাশের তারা গোনা যায়, তেমনি বর্তমানে বর্ষাকালে ফুটো দিয়ে বৃষ্টির পানি পড়ে অঝড়ে রাত-দিন। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, প্রতিবন্ধী ছকিতন বেগমের ঘরটির এমনই চিত্র দেখা যায়। প্রতিবন্ধী ছকিতন বেগম রমনা ইউনিয়নের পশ্চিম খরখরিয়া এলাকায়, মৃত মতিয়া রহমানের মেয়ে। স্বামী একটি চায়ের দোকানে মেসিয়ারি(দিন মজুরী) কাজ করেন। তাও বর্তমানে করোনার জন্য বন্ধ আছে। একদিন কাজ না থাকলে বসে থাকতে হয়। ছকিতন বেগম বলেন ,আমার স্বামী ও প্রতিবন্ধী তার শরীর ভালো না তার দুই পায়ে গুটি গুটি ঘাঁ দেখা দিয়েছে। যে টাকা পায় তার ঔষধ আর সংসারের খরচ করতে শেষ হয়ে যায়, জমানোর মতো কোনো টাকা থাকে না । ছকিতন বেগম আর ও বলেন, স্বামী যদি একদিন কাজে না যায় তাহলে দুই জনাকে বসে থাকতে হয়। অনেক সময় ছেলে-মেয়েসহ উপবাসে দিন কাটাতে হয়। তিনি বলেন, আমার জীবনের শেষ চাওয়া মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নিকট তার আকুল আবেদন,আমাকে যেন একটি ঘর উপহার দেয়া হয়। প্রতিবন্ধী ছকিতন আরও বলেন, বৃষ্টি এলে টিনের ফুটো দিয়ে পানি পড়ে, ঘরে সহ বিছানা ভিজে যায় আর ভিজা বিছানায় ছেলে-মেয়েসহ রাত কাটাতে হয়। প্রতিবন্ধী ছকিতনের সম্পর্কে স্থানীয়দের সাথে কথা বলে, জানতে চাইলে তারা বলেন সত্যিকার অর্থে প্রতিবন্ধী ছকিতন বেগম একজন হত দরিদ্র মেয়ে। তার স্বামীও একটি চায়ের দোকানে কাজ করে। যে টাকা পায় সংসারের খরচ চালাতে শেষ। যদি একদিন কাজ না করে তাহলে সবাই কে উপবাসে থাকতে হয়। সে যে ঘরে থাকে তার ঘরের টিনের ফুটো দিয়ে এ বর্ষাতে যেভাবে পানি পড়ে, তা বলার মত না।
Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Raj Kalam

Popular Post

প্রথমদিনে অনুপস্থিত প্রায় ২৭ হাজার, বহিষ্কার ২২

চিলমারীতে জরা-জীর্ণ ঘরে বসবাস ছকিতন বেগমের সরকারের নিকট একটি ঘরের জন্য আবেদন

Update Time : ০৩:৫৫:২৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ৪ জুলাই ২০২১
হাবিবুর রহমান, চিলমারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধিঃ
কুড়িগ্রামের চিলমারীতে রমনা ইউনিয়নের পশ্চিম খরখরিয়া গ্রামের প্রতিবন্ধী ছকিতন বেগম(৪০) ছেলে-মেয়ে নিয়ে জিবন যাপন করছেন ভাঙ্গা একটি টিনের ঘরে।
চালের টিনের ফুটো দিয়ে যেমন আকাশের তারা গোনা যায়, তেমনি বর্তমানে বর্ষাকালে ফুটো দিয়ে বৃষ্টির পানি পড়ে অঝড়ে রাত-দিন। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, প্রতিবন্ধী ছকিতন বেগমের ঘরটির এমনই চিত্র দেখা যায়। প্রতিবন্ধী ছকিতন বেগম রমনা ইউনিয়নের পশ্চিম খরখরিয়া এলাকায়, মৃত মতিয়া রহমানের মেয়ে। স্বামী একটি চায়ের দোকানে মেসিয়ারি(দিন মজুরী) কাজ করেন। তাও বর্তমানে করোনার জন্য বন্ধ আছে। একদিন কাজ না থাকলে বসে থাকতে হয়। ছকিতন বেগম বলেন ,আমার স্বামী ও প্রতিবন্ধী তার শরীর ভালো না তার দুই পায়ে গুটি গুটি ঘাঁ দেখা দিয়েছে। যে টাকা পায় তার ঔষধ আর সংসারের খরচ করতে শেষ হয়ে যায়, জমানোর মতো কোনো টাকা থাকে না । ছকিতন বেগম আর ও বলেন, স্বামী যদি একদিন কাজে না যায় তাহলে দুই জনাকে বসে থাকতে হয়। অনেক সময় ছেলে-মেয়েসহ উপবাসে দিন কাটাতে হয়। তিনি বলেন, আমার জীবনের শেষ চাওয়া মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নিকট তার আকুল আবেদন,আমাকে যেন একটি ঘর উপহার দেয়া হয়। প্রতিবন্ধী ছকিতন আরও বলেন, বৃষ্টি এলে টিনের ফুটো দিয়ে পানি পড়ে, ঘরে সহ বিছানা ভিজে যায় আর ভিজা বিছানায় ছেলে-মেয়েসহ রাত কাটাতে হয়। প্রতিবন্ধী ছকিতনের সম্পর্কে স্থানীয়দের সাথে কথা বলে, জানতে চাইলে তারা বলেন সত্যিকার অর্থে প্রতিবন্ধী ছকিতন বেগম একজন হত দরিদ্র মেয়ে। তার স্বামীও একটি চায়ের দোকানে কাজ করে। যে টাকা পায় সংসারের খরচ চালাতে শেষ। যদি একদিন কাজ না করে তাহলে সবাই কে উপবাসে থাকতে হয়। সে যে ঘরে থাকে তার ঘরের টিনের ফুটো দিয়ে এ বর্ষাতে যেভাবে পানি পড়ে, তা বলার মত না।