রাজশাহী প্রতিনিধিঃ
রাজশাহী চারঘাট থানাধীন উইসুফপুর এলাকায় সুজনের উপর প্রাণ নাশের হামলার ঘটনায় কুখ্যাত মাদক কারবারি ও সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজ জোয়াদকে আটক করেছেন চারঘাট মডেল থানা পুলিশ।
পালিয়েছে অপর আসামি জামিরুল ইসলাম জামু।
গতকাল রবিবার রাত্রী ১০টার সময় চারঘাট থানাধীন উইসুফপুর বাজার থেকে জোয়াদ (৩৫) কে আটক করছে চারঘাট মডেল থানার এসআই মুজাহারুল ইসলাম সহ সঙ্গীয় ফোর্স। কিন্তুু পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে আরেক আসামি জামু সেখান থেকে পালিয়ে যায়। জোয়াদের আটকের ঘটনা শুনার পর, এলাকার মানুষের মধ্যে অনেক আনন্দ দেখা যায়। এদিকে জোয়াদ আটক হলেও অপর তিনজন আসামী স্বপন, জামু, সাইদুল পুলিশের ধরাছোঁয়ার বাইরেই আছে বলে শোনা গেছে। অনুসন্ধানে জানা যায় গত ২১/০৩/২০২১ তারিখ (রবিবার) রাত্রী ৮টায় ইউসুফপুর এলাকায় কুখ্যাত মাদক কারবারিদের অতর্কিত হামলায় সুজন (২৭) নামের এক ব্যাক্তি গুরুত্বর আহত করেন সন্ত্রাসীরা। আহত সুজন ইউসুফপুর পশ্চিম পাড়া এলাকার জিয়ারুলের ছেলে। এ ঘটনায় ইউসুফপুর বাজারে সন্ধ্যা নামলেই সকলের মধ্যে আতঙ্ক ও ভয় দেখা যায়। কারণ জানতে চাইলে বলে ভয়ের একটাই কারণ জোয়াদ, জামু, স্বপন ও সাইদুল। ফলে এলাকার জনশূন্য হয়ে পড়েছে এবং সকলের মধ্যে আতংকের ছায়া দেখা যাচ্ছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সেই এলাকার একাধিক ব্যাক্তি জানান, এলাকার কুখ্যাত মাদক ব্যবসায়ী (১) মৃত আমলুর ছেলে স্বপন আলী, (২) মৃত ফনুর ছেলে জোয়াদ, (৩) মৃত দাউদের ছেলে জামু (৪) মৃত গাজীর ছেলে সাইদুল। এরা সবাই সুুুজনকে ইউসুফপুর বাজার থেকে ডেকে নিয়ে ফাঁকা জায়গায় কথা বলবে বলে ডাকে। সেখানে সুজন গেলেই মাদক ব্যবসায়ীরা ধারালো অস্ত্র দিয়ে মারতে থাকে সুজনকে। পরে সুজন চিৎকার দিলে ইউসুফ পুর বাজারের লোকজন তার চিৎকার শুনতে পেয়ে সেখানে ছুটে যান। তারা দেখেন সুজন রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে আছে এবং সুজনের শরীরের বিভিন্ন স্থানে গভীর ক্ষত দেখা যায়। বাজারের লোকজনের উপস্থিতি টের পেয়ে মাদক ব্যবসায়ী সন্ত্রাসীরা সেখান থেকে পালিয়ে যায়। এলাকাবাসী আহত সুজনকে উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল (রামেকে) ভর্তি করেন। মাদক ব্যবসায়ীরা সকলেই ইউসুফপুর এলাকার সিপাইপাড়ার বাসিন্দা। তাদের বিরুদ্ধে থানায় একাধীক মাদক সহ অন্যান্য মামলা আছে বলে জানা যায়। তারা আরো বলেন মাদক ব্যবসায়ীরা সকাল থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত তাদের মাদক ব্যবসা চালিয়ে জান। কেউ প্রতিবাদ করলেই প্রাণ নাশের হুমকি, নইলে মাদক দিয়ে ফাঁসিয়ে দেবার হুমকি দেয় বলে জানান তারা।
সুজনের ভাই জানান, কিছুদিন আগে স্বপন, জোয়াদ, জামু ও সাইদুলের ফেন্সিডিলের চালান বিজিবির হাতে ধরা পড়ে। সে সকল মাদক কারবারিদের ধারনা আমার ভাই সুজন ধরিয়ে দিয়েছে। সে জন্যই আমার ভাইকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে গুরুতর আহত করেন। সুজন রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজের ৫নং ওয়ার্ডে ভর্তি আছে তার শরীলে ১৫০ টির ও বেশি সেলাই পড়েছে। এখনো আমার ভাইয়ের অবস্থার কোন উন্নতি হয়নি বলে জানান তিনি।
এ বিষয়ে জানতে চারঘাট থানার সার্কেল এএসপি নূরে আলমের মুঠোফোনে ফোন দিলে তিনি বলেন, জোয়াদকে ধরা হয়েছে । কিন্তুু পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে আরেকজন আসামী পালিয়ে গেছে। বাকি আসামীদের অল্প সময়ের মধ্যেই ধরে ফেলব বলে জানান তিনি।