সোহেল রানা,কুড়িগ্রাম জেলা প্রতিনিধিঃ

এই দুনীতিবাজ চেয়ারম্যান ও সচিবের অপসারণ চাই এই স্লোগান সামনে রেখে ১০ ইউপি সদস্যের অনাস্থার প্রস্তাব।

কুড়িগ্রামের রাজারহাট উপজেলার চাকিরপশার ইউনিয়ন চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ ও সচিব আশরাফুল ইসলাম এর বিরুদ্ধে মেম্বারদের অনাস্থা প্রস্তাব অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ।

চাকিরপশার ইউপি চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ ও সচিব আশরাফুল ইসলাম বিভিন্ন অনিয়ম দুর্নীতির ১০টি সুনির্দিষ্ট অভিযোগ এনে পরিষদের ১০জন মেম্বার গতকাল ২৪ জুলাই অনাস্থা প্রস্তাব ও অপসারণের জন্য রাজারহাট উপজেলা নির্বাহী অফিসার এবং জেলা প্রশাসক বরাবর আবেদন জানায়।

অভিযোগে জানা যায়,বর্তমান চেয়ারম্যান
৬মাস যাবৎ ইউনিয়ন পরিষদের সাধারণ ও বিশেষ সভা আহবান করেন না।তিনি হোডিং ট্যাক্স,রেট লাইসেন্স,জন্ম নিবন্ধন, সরকারি টাকা আত্মসাৎ ও ভিজিডি কার্ডের অনিয়ম ও দুর্নীতি।বিভিন্ন প্রাপ্তির প্রায় ০৮ থেকে ১০ লক্ষ টাকা আত্মসাৎ করেছেন ঈদুল আজহা উপলক্ষে অসহায় দু:স্থ ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের নামে বরাদ্দকৃত ভিজিএফ চালের তালিকায় মৃত: ব্যক্তি,ডাবল ব্যক্তিসহ জাল টিপ দিয়ে চাল আত্মসাৎ এবং সনাতন ধর্মাবলম্বিদের নামও তালিকায় অন্তভূর্ক্ত করেছেন।

এছাড়াও এলজিএসপি, কাবিটা,টিআর প্রকল্পে ওয়ার্ডসভা ও ইউপি সভা ছাড়াই দুর্নীতি করে একই প্রকেল্পে বার বার প্রকল্প নির্ধারণ করে অর্থ আত্মসাৎ করেছেন।তিনি ভিজিএফ এর কার্ড নিজের কাছে রেখে ইচ্ছেমত চাল বিতরণ করেন।

তিনি খোয়ারা ইজারা বরাদ্দের টাকা সংশ্লিষ্ট ব্যাংকে বা কার্যবিবরণি না করেই নিজেই আত্মসাৎ করেন।এছাড়াও বাড়িতে বসে সরকারি চিঠিপত্র লেনদেন করা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ঘর বরাদ্দে গৃহহীনদের কাছে ৩০ হাজার টাকা করে উৎকোচ গ্রহন এবং দু:স্থ ও বিধবা মহিলোদের কাছ থেকে এলজিইডি কর্তৃক আরএমপি প্রকল্পে ১৫-২০ হাজার টাকা করে ঘুষ নেয়ার অভিযোগ করা হয়েছে।

এছাড়াও বয়স্ক,প্রতিবন্ধী, মাতৃত্বকালিন ও বিধবা ভাতা প্রদানে তার ব্যক্তিগত লোক দিয়ে ২ থেকে আড়াই হাজার টাকা করে ঘুষ গ্রহন করেছেন।

এমন বিস্তর অভিযোগ এনে চাকিরপশার ইউপি চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ ও সচিব আশরাফুল ইসলামের বিরুদ্ধে অনাস্থা ও অপসারণ প্রস্তাব স্থানীয় সরকার(ইউনিয়ন পরিষদ)আইন ও বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নেয়ার অনুরোধ জানিয়েছেন।

স্বাক্ষরকারী নির্বাচিত ইউনিয়ন সদস্যগণ হলেন, মোসলেম উদ্দিন মন্ডল,আবেদ আলী,সন্তোষ চন্দ্র মোহন্ত,নারায়ণ চন্দ্র রায,হায়দার আলী,তহমিনা বেগম,নুরজাহান বেগম, রোকসানা বেগম, আজিজুল হক, নুরুজ্জামান মিয়া সহ অনাস্থা পত্র পাওয়ার কথা নিশ্চিত করেন।

এ বিষয়ে রাজারহাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নুরে তাসনিম জানান, অভিযোগ খতিয়ে দেখতে ৩ সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি ১০ কার্যদিবসের মধ্যে গঠন করা হবে।

এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক মোঃ রেজাউল করিম জানান,বুধবার সকালে জেলা প্রশাসনে এ ধরণের একটি অভিযোগপত্র জমা দেয়া হয়েছে। এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সাথে যোগাযোগ সাপেক্ষ স্থানীয় সরকার আইন ও বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে