Dhaka ০৬:৪৫ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ০৪ জুন ২০২৫, ২১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম:
বিদেশি ভিসা বন্ধের জন্য আমরাই দায়ী : পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মৌলভীবাজারে বিদ্যুৎ উপকেন্দ্রে পানি, সরবরাহ বন্ধ ঈদে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের ছুটি বাতিল: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা নির্বাচনী রোডম্যাপ ঘোষণায় দেরি হলে সরকারের উদ্দেশ্য নিয়ে প্রশ্ন উঠবে: মির্জা ফখরুল ‌‘পুশ ইন’ বন্ধে দিল্লিকে ফের চিঠি দেবে ঢাকা সরকারি চাকরি সংশোধন অধ্যাদেশ নিয়ে উচ্চপর্যায়ের কমিটি হচ্ছে: আইন উপদেষ্টা তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে শুধু জাতীয় নির্বাচন চায় বিএনপি: সালাহউদ্দিন আহমেদ বাজার বিশ্লেষণে আমরা স্বস্তির মধ্যে আছি : কৃষি উপদেষ্টা প্রতিযোগিতামূলক বাজার গড়ায় অর্থনীতিতে স্বচ্ছতা ফিরেছে : বাণিজ্য উপদেষ্টা সে‌প্টেম্বরের ম‌ধ্যে ৭ শতাংশে নাম‌বে মূল‌্যস্ফী‌তি : গভর্নর

চাকরি অধ্যাদেশ বাতিলের দাবিতে ফের সচিবালয়ে বিক্ষোভ

  • Reporter Name
  • Update Time : ০৬:৫৮:৩৫ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২ জুন ২০২৫
  • 28

‘সরকারি চাকরি (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫’ বাতিলের দাবিতে আজও সচিবালয়ে বিক্ষোভ করছেন সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।

সোমবার (২ জুন) বেলা ১১টার দিকে সচিবালয়ের ৪ নম্বর ভবনের সামনে থেকে কর্মচারীরা বিক্ষোভ মিছিল শুরু করেন।

এ সময় বিক্ষোভকারীরা ‘আমার সোনার বাংলায়, বৈষম্যের ঠাঁই নাই’, ‘লেগেছে রে লেগেছে, রক্তে আগুন লেগেছে’, ‘জেগেছে রে জেগেছে, সচিবালয় জেগেছে’, ‘মানি না মানব না, ফ্যাসিবাদী কালো আইন’, ‘মানি না মানব না, অবৈধ কালো আইন’, ‘ফ্যাসিবাদের দালালেরা, হুঁশিয়ার সাবধান’, ‘১৮ লাখ কর্মচারী, এক হও লড়াই করো’ স্লোগান দিতে থাকেন।

জানা গেছে, অন্তর্বর্তী সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মো. মাহফুজ আলম; স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় এবং যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়ার কাছে আজ অধ্যাদেশ বাতিলের দাবিতে স্মারকলিপি দেবেন কর্মচারীরা।

এর আগে, রোববার (১ জুন) তারা খাদ্য ও ভূমি মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আলী ইমাম মজুমদার; বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান এবং পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় এবং পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসানের কাছে স্মারকলিপি দেন।

প্রসঙ্গত, চার ধরনের শৃঙ্খলাভঙ্গের অপরাধের জন্য বিভাগীয় মামলা ছাড়াই শুধু কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়ে চাকরিচ্যুত করা যাবে- এমন বিধান রেখে ২৫ মে ‘সরকারি চাকরি (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫’ জারি করা হয়। তার আগে, ২২ মে উপদেষ্টা পরিষদের সভায় অধ্যাদেশটির খসড়া অনুমোদনের পর ২৪ মে থেকেই আইনটি প্রত্যাহারের দাবিতে সচিবালয়ে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সবগুলো সংগঠন সম্মিলিতভাবে আন্দোলন করে আসছিল। তারা এই অধ্যাদেশটিকে নিবর্তনমূলক ও কালো আইন হিসেবে অভিহিত করছেন।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Raj Kalam

Popular Post

বিদেশি ভিসা বন্ধের জন্য আমরাই দায়ী : পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

চাকরি অধ্যাদেশ বাতিলের দাবিতে ফের সচিবালয়ে বিক্ষোভ

Update Time : ০৬:৫৮:৩৫ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২ জুন ২০২৫

‘সরকারি চাকরি (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫’ বাতিলের দাবিতে আজও সচিবালয়ে বিক্ষোভ করছেন সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।

সোমবার (২ জুন) বেলা ১১টার দিকে সচিবালয়ের ৪ নম্বর ভবনের সামনে থেকে কর্মচারীরা বিক্ষোভ মিছিল শুরু করেন।

এ সময় বিক্ষোভকারীরা ‘আমার সোনার বাংলায়, বৈষম্যের ঠাঁই নাই’, ‘লেগেছে রে লেগেছে, রক্তে আগুন লেগেছে’, ‘জেগেছে রে জেগেছে, সচিবালয় জেগেছে’, ‘মানি না মানব না, ফ্যাসিবাদী কালো আইন’, ‘মানি না মানব না, অবৈধ কালো আইন’, ‘ফ্যাসিবাদের দালালেরা, হুঁশিয়ার সাবধান’, ‘১৮ লাখ কর্মচারী, এক হও লড়াই করো’ স্লোগান দিতে থাকেন।

জানা গেছে, অন্তর্বর্তী সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মো. মাহফুজ আলম; স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় এবং যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়ার কাছে আজ অধ্যাদেশ বাতিলের দাবিতে স্মারকলিপি দেবেন কর্মচারীরা।

এর আগে, রোববার (১ জুন) তারা খাদ্য ও ভূমি মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আলী ইমাম মজুমদার; বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান এবং পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় এবং পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসানের কাছে স্মারকলিপি দেন।

প্রসঙ্গত, চার ধরনের শৃঙ্খলাভঙ্গের অপরাধের জন্য বিভাগীয় মামলা ছাড়াই শুধু কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়ে চাকরিচ্যুত করা যাবে- এমন বিধান রেখে ২৫ মে ‘সরকারি চাকরি (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫’ জারি করা হয়। তার আগে, ২২ মে উপদেষ্টা পরিষদের সভায় অধ্যাদেশটির খসড়া অনুমোদনের পর ২৪ মে থেকেই আইনটি প্রত্যাহারের দাবিতে সচিবালয়ে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সবগুলো সংগঠন সম্মিলিতভাবে আন্দোলন করে আসছিল। তারা এই অধ্যাদেশটিকে নিবর্তনমূলক ও কালো আইন হিসেবে অভিহিত করছেন।