চলন্ত যাত্রীবাহী বাস থেকে লাফিয়ে পড়ে গুরুত্বর আহত হয়েছেন এক কলেজছাত্রী। ওই বাসের চালক ও হেলপার কর্তৃক বার বার শ্লীলতাহানির শিকার হয়ে নিজের ইজ্জত বাঁচাতেই তিনি লাফ দেন বলে অভিযোগ।

শনিবার (২৬ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় সিলেট শহর থেকে সুনামগঞ্জের দিরাইয়ে আসার পথে এই ঘটনা ঘটে।

আহত ছাত্রীটি দিরাই পৌর শহরের মজলিশপুর এলাকার বাসিন্দা এবং দিরাই ডিগি কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রী বলে জানা যায়।

স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে- আজ শনিবার বিকেল সাড়ে ৫টায় সিলেট থেকে দিরাইয়ের উদ্দেশ্যে ছেড়ে আসা একটি যাত্রীবাহী লোকাল বাস দিরাইয়ের পার্শ্ববর্তী কর্ণগাও এলাকায় আসার পর অন্যান্য যাত্রীদেরকে নামিয়ে দেয়। এসময় বাসে একমাত্র যাত্রী ছিলেন ঐ কলেজ ছাত্রী। তাকে একা পেয়ে চলন্ত বাসে হেলপার মেয়েটিকে বার বার ধর্ষণের চেষ্টা চালায় এবং টেনে হিঁচড়ে মেয়েটির শ্লীলতাহানির চেষ্টা করে।

এ সময় মেয়েটি ইজ্জত বাচাঁতে চলন্তবাসের জানালা দিয়ে লাফ দিলে সে পার্শ্ববর্তী খাদে পড়ে মাথায় ও পায়ে আঘাতপ্রাপ্ত হন। পরবর্তীতে আশপাশের লোকজন মেয়েটির আর্তচিৎকার শুনে এগিয়ে আসলে চালক ও হেলপার পালিয়ে যায়। পরে হাবিব মিয়া নামে একজন ব্যক্তি ঐ মেয়েটিকে উদ্ধার করে দিরাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে ডাক্তার তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাকে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন।

এ ব্যাপারে দিরাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকের অফিসার ডা. বিদ্যুৎ রঞ্জন তালুকদার জানান- কলেজ ছাত্রীকে আহত অবস্থায় মো. হাবিবুর রহমান নামে এক ব্যক্তি নিয়ে আসে। তার অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে সিলেটে প্রেরণ করা হয়েছে।

এদিকে এমন শ্লীলতাহানির ঘটনার খবর পেয়ে ছাত্রছাত্রীসহ স্থানীয় লোকজন সন্ধ্যায় রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ মিছিল করে এবং ঐ চালক ও হেলপারকে দ্রুত গ্রেফতার করে কঠোর শাস্তি প্রদানের দাবী জানান। তবে এখনও পর্যন্ত গাড়ির চালক ও হেলপারের পরিচয় জানা যায়নি।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে