চলতি অর্থবছরে দেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধি ১ দশমিক ৬ শতাংশে নেমে আসতে পারে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে বিশ্বব্যাংক।

করোনার কারণে অর্থনীতি কর্মসংস্থান, রপ্তানি, প্রবাসী আয়সহ বিভিন্ন খাতে নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে, তাই এত প্রবৃদ্ধি কমার কথা বলছে এই দাতা সংস্থা। 

আজ বৃহস্পতিবার প্রকাশিত সাউথ এশিয়া ইকোনমিক ফোকাস প্রতিবেদনে বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি সম্পর্কে এই পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে।

সাউথ এশিয়া ইকোনমিক ফোকাস প্রতিবেদনে সংস্থাটি বলছে, করোনায় বাংলাদেশের নিম্ন আয়ের মানুষের উপার্জন ও ব্যায়ের প্রবণতা কমেছে। বাড়ছে না বেসরকারি বিনিয়োগ। আর কয়েক দফা বন্যায় ব্যাহত হয়েছে কৃষি উৎপাদন।

বিশ্বব্যাংক বলছে, করোনার প্রভাবে দিনমজুরসহ অনানুষ্ঠানিক খাতের শ্রমিক ও উৎপাদন খাতের বেতনভুক্ত কর্মীদের জীবন-জীবিকার ওপর সবচেয়ে বেশি প্রভাব পড়েছে। তবে আগামী অর্থবছরে প্রবৃদ্ধি বেড়ে ৩ দশমিক ৪ শতাংশ হতে পারে বলে মনে করছে বিশ্বব্যাংক।

গতকাল সন্ধ্যায় এক ভার্চ্যুয়াল প্রেস ব্রিফিংয়ে বিশ্বব্যাংকের দক্ষিণ এশিয়াবিষয়ক প্রধান অর্থনীতিবিদ হ্যান্স টিমার বলেন, ‘বাংলাদেশের বিপুলসংখ্যক মানুষের আয় কমেছে, ভোগও কমেছে। বিশেষ করে অনানুষ্ঠানিক খাতে করোনার প্রভাব বেশি পড়েছে। এতে সার্বিকভাবে দারিদ্র্যও বেড়েছে। তাঁর মতে, বাংলাদেশের ঝুঁকিতে থাকা এসব মানুষকে সঠিকভাবে সামাজিক সুরক্ষার আওতায় আনা যায়নি।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে