Dhaka ০১:৪৯ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫, ৬ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ঘূর্ণিঝড় স্যালির আঘাতে বিপর্যস্ত যুক্তরাষ্ট্র,পাঁচ লাখেরও বেশি মানুষ বিদ্যুৎবিহীন

  • Reporter Name
  • Update Time : ০৮:৩২:৩৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২০
  • ১৭১ Time View

ঘূর্ণিঝড় স্যালির আঘাতে বিপর্যস্ত মার্কিন উপসাগর উপকূল। মুষলধারে বৃষ্টি ও ঝড় বয়ে যাচ্ছে উপকূলীয় অঙ্গরাজ্যগুলোতে। এর মধ্যে পাঁচ লাখেরও বেশি মানুষ বিদ্যুৎবিহীন হয়ে পড়েছে। গাছপালা উপড়ে ফেলেছে, ঘরের চালা উড়িয়ে নিয়ে গেছে এবং অনেক ঘরবাড়ি পানিতে তলিয়ে গেছে। খবর বিবিসি ও সিএনএন

যুক্তরাষ্ট্রের স্থানীয় সময় বুধবার ভোর ৪টা ৪৫ মিনিটে উপকূলে আঘাতে হানে ঘূর্ণিঝড় স্যালি। এ সময় ঝড়ের গতিবেগ ছিল ১০৫ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টায়। তবে দুপুর ১টার দিকে সেটার গতি কমে হয়েছে ৭০ কিলোমিটার। বিকেল ৫টার দিকে আরো কমে আসে গতি। তবে মুষলধারে বৃষ্টি অব্যাহত রয়েছে। কোথাও কোথাও ২৪ ইঞ্চির অধিক তলিয়ে গেছে। আবার কোথাও কোথায় ৩৫ ইঞ্চির মতো।

বিবিসি জানায়, বুধবার দ্বিতীয় ক্যাটাগরির হ্যারিকেন স্যালি উপকূলে আঘাত হানে। এরপর বাতাসের গতি কমে আসে। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রে ফ্লোরিডা ও আলাবামা অঞ্চলে ঝড় অব্যাহত রয়েছে। টানা বৃষ্টি ও ঝড় বয়ে যাচ্ছে। প্লাবিত হয়েছে বিশাল অঞ্চল।

ফ্লোরিডার পেনসাকোলায় সবচেয়ে বেশি আঘাত হানে স্যালি। শহরটির বিখ্যাত সেতু বে ব্রিজ ক্ষতিগ্রস্ত হয় এতে। ইতিমধ্যে পাঁচ ফুট উচ্চতার বন্যা সৃষ্টি হয়েছে মধ্য পেনসাকোলায়। পুলিশ স্থানীয় মানুষকে ঘরে থাকার জন্য আহ্বান করেছে।

পেনসাকোলার ফায়ার সার্ভিসের প্রধান গিনি ক্রানর সিএনএনকে বলেন, ‘ঝড়ের কারণে চার মাসের বৃষ্টি চার ঘণ্টায় হয়েছে।’

একই সময়ে স্যালি আঘাত হানে আলাবামা অঙ্গরাজ্যে। এসময় এই রাজ্যে বাতাসের সর্বোচ্চ গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ১৬৯ কিলোমিটার। বর্তমানে বাতাসে গতি অর্ধেকে কমে এসেছে। তবে ক্রমাগত বৃষ্টি ও প্রবল ঝড়ে বেশি ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।

স্থানীয় সংবাদমাধ্যম বলছে, আটলান্টিক মহাসাগরে উৎপত্তি এমন ঝড়ের মধ্যে স্যালি অন্যতম। ঘূর্ণিঝড়টি উপকূল থেকে উত্তরের দিকে ধাবিত হয়েছে।

ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার সাড়ে পাঁচ লাখ মানুষ বিদ্যুৎবিহীন হয়ে পড়েছে। গতমাসে আঘাত হানা ভয়াবহ হ্যারিকনে লরা দেশটির বিদ্যুৎ যোগাযোগে এভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারেনি।

দুটি রাজ্য থেকেই সাহায্যের জন্য ৯১১ নম্বরে প্রচুর কল আসছে। কিন্তু জরুরি উদ্ধারকর্মীরা সবার ডাকে সাড়া দিতে পারছে না। কারণ, পরিস্থিতি এখনও নিয়ন্ত্রণে আসেনি। পাশাপাশি নিরাপদও নয়।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Raj Kalam

Popular Post

ঘূর্ণিঝড় স্যালির আঘাতে বিপর্যস্ত যুক্তরাষ্ট্র,পাঁচ লাখেরও বেশি মানুষ বিদ্যুৎবিহীন

Update Time : ০৮:৩২:৩৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২০

ঘূর্ণিঝড় স্যালির আঘাতে বিপর্যস্ত মার্কিন উপসাগর উপকূল। মুষলধারে বৃষ্টি ও ঝড় বয়ে যাচ্ছে উপকূলীয় অঙ্গরাজ্যগুলোতে। এর মধ্যে পাঁচ লাখেরও বেশি মানুষ বিদ্যুৎবিহীন হয়ে পড়েছে। গাছপালা উপড়ে ফেলেছে, ঘরের চালা উড়িয়ে নিয়ে গেছে এবং অনেক ঘরবাড়ি পানিতে তলিয়ে গেছে। খবর বিবিসি ও সিএনএন

যুক্তরাষ্ট্রের স্থানীয় সময় বুধবার ভোর ৪টা ৪৫ মিনিটে উপকূলে আঘাতে হানে ঘূর্ণিঝড় স্যালি। এ সময় ঝড়ের গতিবেগ ছিল ১০৫ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টায়। তবে দুপুর ১টার দিকে সেটার গতি কমে হয়েছে ৭০ কিলোমিটার। বিকেল ৫টার দিকে আরো কমে আসে গতি। তবে মুষলধারে বৃষ্টি অব্যাহত রয়েছে। কোথাও কোথাও ২৪ ইঞ্চির অধিক তলিয়ে গেছে। আবার কোথাও কোথায় ৩৫ ইঞ্চির মতো।

বিবিসি জানায়, বুধবার দ্বিতীয় ক্যাটাগরির হ্যারিকেন স্যালি উপকূলে আঘাত হানে। এরপর বাতাসের গতি কমে আসে। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রে ফ্লোরিডা ও আলাবামা অঞ্চলে ঝড় অব্যাহত রয়েছে। টানা বৃষ্টি ও ঝড় বয়ে যাচ্ছে। প্লাবিত হয়েছে বিশাল অঞ্চল।

ফ্লোরিডার পেনসাকোলায় সবচেয়ে বেশি আঘাত হানে স্যালি। শহরটির বিখ্যাত সেতু বে ব্রিজ ক্ষতিগ্রস্ত হয় এতে। ইতিমধ্যে পাঁচ ফুট উচ্চতার বন্যা সৃষ্টি হয়েছে মধ্য পেনসাকোলায়। পুলিশ স্থানীয় মানুষকে ঘরে থাকার জন্য আহ্বান করেছে।

পেনসাকোলার ফায়ার সার্ভিসের প্রধান গিনি ক্রানর সিএনএনকে বলেন, ‘ঝড়ের কারণে চার মাসের বৃষ্টি চার ঘণ্টায় হয়েছে।’

একই সময়ে স্যালি আঘাত হানে আলাবামা অঙ্গরাজ্যে। এসময় এই রাজ্যে বাতাসের সর্বোচ্চ গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ১৬৯ কিলোমিটার। বর্তমানে বাতাসে গতি অর্ধেকে কমে এসেছে। তবে ক্রমাগত বৃষ্টি ও প্রবল ঝড়ে বেশি ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।

স্থানীয় সংবাদমাধ্যম বলছে, আটলান্টিক মহাসাগরে উৎপত্তি এমন ঝড়ের মধ্যে স্যালি অন্যতম। ঘূর্ণিঝড়টি উপকূল থেকে উত্তরের দিকে ধাবিত হয়েছে।

ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার সাড়ে পাঁচ লাখ মানুষ বিদ্যুৎবিহীন হয়ে পড়েছে। গতমাসে আঘাত হানা ভয়াবহ হ্যারিকনে লরা দেশটির বিদ্যুৎ যোগাযোগে এভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারেনি।

দুটি রাজ্য থেকেই সাহায্যের জন্য ৯১১ নম্বরে প্রচুর কল আসছে। কিন্তু জরুরি উদ্ধারকর্মীরা সবার ডাকে সাড়া দিতে পারছে না। কারণ, পরিস্থিতি এখনও নিয়ন্ত্রণে আসেনি। পাশাপাশি নিরাপদও নয়।