Dhaka ০৪:৪৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ১০ মে ২০২৫, ২৭ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ঘূর্ণিঝড়ের শঙ্কায় ১২ মে’র মধ্যে সর্বোচ্চ তাপমাত্রার আভাস

  • Reporter Name
  • Update Time : ০৫:২১:২৬ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১০ মে ২০২৫
  • ১০ Time View

আগামী ১৬ থেকে ১৮ মে’র মধ্যে বঙ্গোপসাগরে একটি ঘূর্ণন সৃষ্টি হতে পারে। এটিই পর্যায়ক্রমে ঘনীভূত হয়ে ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ ওয়েদার অবজারভেশন টিম (বিডব্লিউওটি)। সেই সঙ্গে আজ থেকে ১২ মে’র মধ্যে তাপমাত্রা সর্বোচ্চ পর্যায়েও উঠতে পারে বলে জানিয়েছে সংস্থাটি।

শনিবার (১০ মে) বাংলাদেশ ওয়েদার অবজারভেশন টিম (বিডব্লিউওটি) এ তথ্য জানায়।

বিডব্লিউওটি জানায়, দেশের ওপর দিয়ে শক্তিশালী তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। বিশেষ করে খুলনা, রাজশাহী, ঢাকা ও বরিশাল বিভাগে তাপপ্রবাহের তীব্রতা বেশি। ধারণা করা হচ্ছে, আগামী ১৩ মে থেকে তাপপ্রবাহর শক্তি কমতে শুরু করবে ও ১৫ মে চলামান তাপপ্রবাহ পুরোপুরি শক্তি হারাবে। তবে খুলনা, রাজশাহী, বরিশাল ও রংপুর বিভাগে ও ঢাকা বিভাগের কিছু এলাকায় তাপপ্রবাহ ১৫ মে পর্যন্ত সক্রিয় থাকতে পারে। যা আগামী ১৩ মে পর্যন্ত তীব্র থাকতে পারে। চলমান তাপপ্রবাহের ফলে আজ থেকে ১২ মে পর্যন্ত সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হতে পারে।

সংস্থাটি আরও জানায়, চলমান এই তাপপ্রবাহের পরপরই দেশের দিকে একটি ক্রান্তীয় আংশিক বৃষ্টিবলয় আসবে, যা আগামী ১৩ মে থেকে দেশের ওপর সক্রিয় হতে পারে এবং আগামী ১৫ মে থেকে দেশের অনেক এলাকায় অধিক সক্রিয় হতে পারে।

এই বৃষ্টি বলয়ের জন্য তাপপ্রবাহ কমে যাবে। এই বৃষ্টিবলয়টি একটি শক্তিশালী ও তীব্র বজ্রপাতযুক্ত বৃষ্টিবলয়। যা সবচেয়ে বেশি সক্রিয় থাকতে পারে সিলেট ও ময়মনসিংহ বিভাগে। আর সবচেয়ে কম সক্রিয় থাকবে খুলনা, রাজশাহী ও চট্টগ্রাম বিভাগে। বৃষ্টিবলয়টি ১৩ মে থেকে ২০ মে পর্যন্ত সক্রিয় থাকতে পারে। বেশি সক্রিয় থাকতে পারে ১৫ থেকে ১৯ মে পর্যন্ত। এই বৃষ্টিবলয়ের পর তীব্র তাপপ্রবাহ আসার সম্ভাবনা রয়েছে।

বিডব্লিউওটি জানায়, বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টির জন্য অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টি হচ্ছে। মে মাসের তৃতীয় সপ্তাহে বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণিঝড়ের জন্য প্রয়োজনীয় সকল প্যারামিটার উপস্থিত থাকতে পারে। এতে করে আগামী ১৬ থেকে ১৮ মে’র মধ্যে বঙ্গোপসাগরে একটি ঘূর্ণন সৃষ্টি হতে পারে। যা ক্রমান্বয়ে ঘনীভূত হয়ে পরবর্তী চার পাঁচ দিনে পর্যায়ক্রমে লঘুচাপ, সুস্পষ্ট লঘুচাপ, নিম্নচাপ, গভীর নিম্নচাপ ও ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে।

সুতরাং মে মাসের তৃতীয় সপ্তাহে গভীর সাগরে বিচরণের ক্ষেত্রে সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে এবং এ সময়ে আবহাওয়া অফিসের সাথে নিয়মিত যোগাযোগ রাখার পরামর্শ দিয়েছে সংস্থাটি।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Raj Kalam

ঘূর্ণিঝড়ের শঙ্কায় ১২ মে’র মধ্যে সর্বোচ্চ তাপমাত্রার আভাস

Update Time : ০৫:২১:২৬ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১০ মে ২০২৫

আগামী ১৬ থেকে ১৮ মে’র মধ্যে বঙ্গোপসাগরে একটি ঘূর্ণন সৃষ্টি হতে পারে। এটিই পর্যায়ক্রমে ঘনীভূত হয়ে ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ ওয়েদার অবজারভেশন টিম (বিডব্লিউওটি)। সেই সঙ্গে আজ থেকে ১২ মে’র মধ্যে তাপমাত্রা সর্বোচ্চ পর্যায়েও উঠতে পারে বলে জানিয়েছে সংস্থাটি।

শনিবার (১০ মে) বাংলাদেশ ওয়েদার অবজারভেশন টিম (বিডব্লিউওটি) এ তথ্য জানায়।

বিডব্লিউওটি জানায়, দেশের ওপর দিয়ে শক্তিশালী তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। বিশেষ করে খুলনা, রাজশাহী, ঢাকা ও বরিশাল বিভাগে তাপপ্রবাহের তীব্রতা বেশি। ধারণা করা হচ্ছে, আগামী ১৩ মে থেকে তাপপ্রবাহর শক্তি কমতে শুরু করবে ও ১৫ মে চলামান তাপপ্রবাহ পুরোপুরি শক্তি হারাবে। তবে খুলনা, রাজশাহী, বরিশাল ও রংপুর বিভাগে ও ঢাকা বিভাগের কিছু এলাকায় তাপপ্রবাহ ১৫ মে পর্যন্ত সক্রিয় থাকতে পারে। যা আগামী ১৩ মে পর্যন্ত তীব্র থাকতে পারে। চলমান তাপপ্রবাহের ফলে আজ থেকে ১২ মে পর্যন্ত সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হতে পারে।

সংস্থাটি আরও জানায়, চলমান এই তাপপ্রবাহের পরপরই দেশের দিকে একটি ক্রান্তীয় আংশিক বৃষ্টিবলয় আসবে, যা আগামী ১৩ মে থেকে দেশের ওপর সক্রিয় হতে পারে এবং আগামী ১৫ মে থেকে দেশের অনেক এলাকায় অধিক সক্রিয় হতে পারে।

এই বৃষ্টি বলয়ের জন্য তাপপ্রবাহ কমে যাবে। এই বৃষ্টিবলয়টি একটি শক্তিশালী ও তীব্র বজ্রপাতযুক্ত বৃষ্টিবলয়। যা সবচেয়ে বেশি সক্রিয় থাকতে পারে সিলেট ও ময়মনসিংহ বিভাগে। আর সবচেয়ে কম সক্রিয় থাকবে খুলনা, রাজশাহী ও চট্টগ্রাম বিভাগে। বৃষ্টিবলয়টি ১৩ মে থেকে ২০ মে পর্যন্ত সক্রিয় থাকতে পারে। বেশি সক্রিয় থাকতে পারে ১৫ থেকে ১৯ মে পর্যন্ত। এই বৃষ্টিবলয়ের পর তীব্র তাপপ্রবাহ আসার সম্ভাবনা রয়েছে।

বিডব্লিউওটি জানায়, বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টির জন্য অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টি হচ্ছে। মে মাসের তৃতীয় সপ্তাহে বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণিঝড়ের জন্য প্রয়োজনীয় সকল প্যারামিটার উপস্থিত থাকতে পারে। এতে করে আগামী ১৬ থেকে ১৮ মে’র মধ্যে বঙ্গোপসাগরে একটি ঘূর্ণন সৃষ্টি হতে পারে। যা ক্রমান্বয়ে ঘনীভূত হয়ে পরবর্তী চার পাঁচ দিনে পর্যায়ক্রমে লঘুচাপ, সুস্পষ্ট লঘুচাপ, নিম্নচাপ, গভীর নিম্নচাপ ও ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে।

সুতরাং মে মাসের তৃতীয় সপ্তাহে গভীর সাগরে বিচরণের ক্ষেত্রে সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে এবং এ সময়ে আবহাওয়া অফিসের সাথে নিয়মিত যোগাযোগ রাখার পরামর্শ দিয়েছে সংস্থাটি।