Dhaka ০৭:২৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৫, ৫ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করেছে বাংলাদেশের গার্মেন্টস শিল্প

  • Reporter Name
  • Update Time : ০৩:০২:১০ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২০
  • ১১২ Time View

বৈশ্বিক মহামারি করোনার কারণে গত মার্চ থেকে এপ্রিল পর্যন্ত বন্ধ হয়ে যায় চট্টগ্রামসহ সারা দেশের অনেক গার্মেন্টস কারখানা। রফতানির আদেশ বাতিল হওয়ায় দুশ্চিন্তায় পড়েন গার্মেন্টস মালিকরা। এর মধ্যে করোনা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হওয়ায় ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করেছে বাংলাদেশের গার্মেন্টস শিল্প। 

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, করোনার কারণে তৈরি পোশাক শিল্পখাতে প্রায় ২৭ হাজার কোটি টাকার রপ্তানি আদেশ স্থগিত হয়েছিল। পরিস্থিতি সামাল দিতে সরকারের তরফ থেকে দেয়া হয় বিপুল পরিমাণ আর্থিক প্রণোদনা। তবে সম্প্রতি করোনার দাপট কমতে থাকায় চট্টগ্রামের বিভিন্ন কারখানায় আবার ব্যস্থ হয়ে উঠছেন মালিক-শ্রমিকরা। স্থগিত হওয়া রপ্তানি আদেশ ফিরে পাওয়ায় বন্ধ হয়ে যাওয়া অনেক গার্মেন্টসও সচল হতে শুরু করেছ।

তবে বিজিএমইএ বলছে, এই ধারা অব্যাহত রাখতে সরকারের সহযোগিতা প্রয়োজন।

রফতানির অর্ডার যেভাবে ফিরে আসছে তাতে গার্মেন্টস সেক্টরে আগামী বছর সুবাতাস বইবে বলে মনে করেন বিজিএমইএ নেতৃবৃন্দ। জানতে চাইলে বিজিএমই’র পরিচালক নাসির উদ্দিন চৌধুরী বলেন, ‘আগামী বছর পোশাক খাতে একটা সুবাতাস বইবে বলে আমরা আশা করছি। এটি ধরে রাখা ও প্রতিযোগি দেশের সঙ্গে টিকে থাকতে আমাদের পলিসিগত সাপোর্ট খুবই জরুরি।’

তবে, এজন্য এখন থেকে কর্ম পরিকল্পনা তৈরির উপর জোড় দিয়েছেন তৈরি পোশাক শিল্পের মালিকরা। এ ব্যাপারে বিজিএমইএ’র সাবেক প্রথম সহ সভাপতি এস এম আবু তৈয়ব বলেন, ‘সাম্প্রতিককালে যেহতু ওই দেশগুলো খুলতে শুরু করেছে, ফলে কিছু কিছু রপ্তানি আদেশ আমরা পাচ্ছি। আগামী সিজনে বাংলাদেশ ভালও একটা অর্ডার পাচ্ছে বলে আমরা মনে করছি।’

বাংলাদেশের তৈরি পোশাক খাতকে ঘিরে যে সম্ভবাবনা তৈরি হয়েছে তার জন্য সরকারি সহায়তার কথা তুলে ধরে বিজিএমইএ পরিচালক অঞ্জন শেখড় দাশ বলেন, ‘যেভাবে হোক আমরা যাতে আগামী ছয়মাস কারখানাগুলো চালিয়ে যেতে পারি, সেটার দিকে গুরুত্ব দিতে হবে।’

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Raj Kalam

Popular Post

ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করেছে বাংলাদেশের গার্মেন্টস শিল্প

Update Time : ০৩:০২:১০ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২০

বৈশ্বিক মহামারি করোনার কারণে গত মার্চ থেকে এপ্রিল পর্যন্ত বন্ধ হয়ে যায় চট্টগ্রামসহ সারা দেশের অনেক গার্মেন্টস কারখানা। রফতানির আদেশ বাতিল হওয়ায় দুশ্চিন্তায় পড়েন গার্মেন্টস মালিকরা। এর মধ্যে করোনা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হওয়ায় ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করেছে বাংলাদেশের গার্মেন্টস শিল্প। 

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, করোনার কারণে তৈরি পোশাক শিল্পখাতে প্রায় ২৭ হাজার কোটি টাকার রপ্তানি আদেশ স্থগিত হয়েছিল। পরিস্থিতি সামাল দিতে সরকারের তরফ থেকে দেয়া হয় বিপুল পরিমাণ আর্থিক প্রণোদনা। তবে সম্প্রতি করোনার দাপট কমতে থাকায় চট্টগ্রামের বিভিন্ন কারখানায় আবার ব্যস্থ হয়ে উঠছেন মালিক-শ্রমিকরা। স্থগিত হওয়া রপ্তানি আদেশ ফিরে পাওয়ায় বন্ধ হয়ে যাওয়া অনেক গার্মেন্টসও সচল হতে শুরু করেছ।

তবে বিজিএমইএ বলছে, এই ধারা অব্যাহত রাখতে সরকারের সহযোগিতা প্রয়োজন।

রফতানির অর্ডার যেভাবে ফিরে আসছে তাতে গার্মেন্টস সেক্টরে আগামী বছর সুবাতাস বইবে বলে মনে করেন বিজিএমইএ নেতৃবৃন্দ। জানতে চাইলে বিজিএমই’র পরিচালক নাসির উদ্দিন চৌধুরী বলেন, ‘আগামী বছর পোশাক খাতে একটা সুবাতাস বইবে বলে আমরা আশা করছি। এটি ধরে রাখা ও প্রতিযোগি দেশের সঙ্গে টিকে থাকতে আমাদের পলিসিগত সাপোর্ট খুবই জরুরি।’

তবে, এজন্য এখন থেকে কর্ম পরিকল্পনা তৈরির উপর জোড় দিয়েছেন তৈরি পোশাক শিল্পের মালিকরা। এ ব্যাপারে বিজিএমইএ’র সাবেক প্রথম সহ সভাপতি এস এম আবু তৈয়ব বলেন, ‘সাম্প্রতিককালে যেহতু ওই দেশগুলো খুলতে শুরু করেছে, ফলে কিছু কিছু রপ্তানি আদেশ আমরা পাচ্ছি। আগামী সিজনে বাংলাদেশ ভালও একটা অর্ডার পাচ্ছে বলে আমরা মনে করছি।’

বাংলাদেশের তৈরি পোশাক খাতকে ঘিরে যে সম্ভবাবনা তৈরি হয়েছে তার জন্য সরকারি সহায়তার কথা তুলে ধরে বিজিএমইএ পরিচালক অঞ্জন শেখড় দাশ বলেন, ‘যেভাবে হোক আমরা যাতে আগামী ছয়মাস কারখানাগুলো চালিয়ে যেতে পারি, সেটার দিকে গুরুত্ব দিতে হবে।’