আমাদের শরীরের তাপমাত্রা দিনের বিভিন্ন সময় বিভিন্ন রকম থাকে। এই বিভিন্ন তাপমাত্রার সামঞ্জস্য বজায় রাখতে ঘামের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। ঘামের মাধ্যমে শরীর অতিরিক্ত তাপ বর্জন করে দেহের তাপমাত্রার ভারসাম্য ঠিকঠাক রাখে। কিন্তু এই ঘামই আবার বিভিন্ন সময়ে হয়ে ওঠে লজ্জার কারণ। কোনও অনুষ্ঠানে বা কর্মক্ষেত্রে যখন লোকের সঙ্গে মেলামেশা করার প্রয়োজন পড়ে, ঘাম ও ঘামের দুর্গন্ধ আপনাকে অপ্রস্তুত করে তোলে। ফলে ঘামের সমস্যা থেকে মুক্তি একান্তই প্রয়োজন এখনের জীবনে, আর সে নিয়েই এই লেখা।
গ্রীষ্মকাল হোক বা বর্ষার ভ্যাপসা গরম, ঘামের সমস্যা থেকে মুক্তি নেই প্রায় কারও। পরিপাটি গোসল, নামী পারফিউম- কোনও কিছুতেই ঘাম ও তার দুর্গন্ধ এড়ানো যায় না। কিন্তু এই ঘাম থেকে রক্ষা পাওয়ার হাতিয়ার কিন্তু রয়েছে আপনার রান্নাঘরেই! জানেন সে সব কী কী?
লেবুর রস:
লেবু ত্বকের পিএইচ মাত্রা কমিয়ে দিতে সক্ষম। এর ফলে শরীরে দুর্গন্ধ সৃষ্টিকারী জীবাণু ধ্বংস হয়। পাতি লেবুর সঙ্গে সামান্য লবণ মিশিয়ে শরীরে লাগান, মিনিট পাঁচেক রেখে ধুয়ে ফেলুন। লবণের সোডিয়াম রোমকূপের মুখ পরিষ্কার করে ও ঘামের দুর্গন্ধ সরায়। শরীরে ক্ষত থাকলে সেখানে এটি লাগাবেন না।
টম্যাটো:
ভিতরের শাঁস বাইরে আনুন। তা শরীরের নানা অংশে লাগিয়ে মিনিট পনেরো রাখুন। টম্যাটো রোদে পোড়া দাগ কমাতে সাহায্য যেমন করে, তেমনই ঘাম আটকাতে এর ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। ভাল ফল পেতে এক বালতি গোসলের পানিতে মেশান এক কাপ টম্যাটোর রস।
চা:
চায়ের ট্যানিন ত্বককে শুষ্ক রাখতে সাহায্য করে। এ ক্ষেত্রে সবচেয়ে উপকারি গ্রিন টি। পানি ফুটিয়ে তাতে গ্রিন টি-র পাতা দিন। সেই চা এবার ভরে নিন বোতলে। বেশি ঘাম হয় শরীরের এমন নানা জায়গায় স্প্রে করুন। উপকার মিলবে।
বেকিং সোডা:
শরীরের অতিরিক্ত আর্দ্রতা শুষে নেয়। ফলে ঘাম ও তার দুর্গন্ধ দুই থেকেই বাঁচায় এটি। যে সব অংশ বেশি ঘামে সেখানে পাউডারের মতো করে ব্যবহার করুন বেকিং সোডা। ভাল ফল পেতে খানিকটা পানিতে দু’চামচ বেকিং সোডা মিশিয়ে তা স্প্রে করুন। শুকিয়ে গেলে ঝেড়ে ফেলুন।
ভিনিগার:
সাদা ভিনিগার ও অ্যাপেল সাইডার ভিনিগার দুই-ই ঘামের পিএইচ মাত্রা কমাতে ওস্তাদ। প্রাকৃতিক পারফিউমের উপকার পেতে দুই টেবিল চামচ ভিনিগার, কয়েক ফোঁটা পিপারমিন্ট ও রোজমেরির তেল একসঙ্গে মিশিয়ে বোতলে রাখুন। বেরোনোর আগে পারফিউমের মতো স্প্রে করুন শরীরে।