Dhaka ০৬:৩৬ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১১ এপ্রিল ২০২৫, ২৮ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম:
প্রথমদিনে অনুপস্থিত প্রায় ২৭ হাজার, বহিষ্কার ২২ পোল্যান্ডের বাংলাদেশের দূত হলেন সাবেক আইজিপি ময়নুল ইসলাম ‘পোশাক রপ্তানিতে বিশ্বে শীর্ষস্থানে উঠতে প্রস্তুত বাংলাদেশ’ সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর মামলার সাক্ষী আবছার আটক ১৩ দিন বৃষ্টিবলয়ে থাকবে পুরো দেশ, হবে কালবৈশাখী-বজ্রপাত যুক্তরাষ্ট্রের ওপর পাল্টা শুল্ক স্থগিত করলো ইউরোপীয় ইউনিয়ন পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌপথে ফেরি চলাচল বন্ধ ভারত থেকে শেখ হাসিনাকে ফেরানোর উদ্যোগ নেওয়া হবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লুট হওয়া অস্ত্র নিরাপত্তার জন্য হুমকি: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা ভারতের ট্রান্সশিপমেন্ট বাতিলে বাণিজ্যে প্রভাব পড়বে না: বাণিজ্য উপদেষ্টা

গুলশান, বনানী ও প্রগতি সরণি এলাকায় প্রায় ৭ শতাধিক অবৈধ সাইনবোর্ড উচ্ছেদ

  • Reporter Name
  • Update Time : ০৩:৩৪:৫৪ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২০
  • ১২৪ Time View

গুলশান, বনানী ও প্রগতি সরণি এলাকায় প্রায় ৭ শতাধিক অবৈধ সাইনবোর্ড উচ্ছেদ করেছে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) ভ্রাম্যমাণ আদালত।

এছাড়া স্পট নিলামের মাধ্যমে এসব সাইনবোর্ড ও অন্যান্য মালামাল ১ লাখ ৭৭ হাজার টাকা বিক্রয় করা হয়। ফুটপাত ও সড়ক দখল করে ব্যবসা করা, ট্রেড লাইসেন্স না থাকা, সরকারি কাজে বাধা প্রদান করা এবং অন্যান্য অপরাধে ১ লাখ ৯১ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

সংস্থার নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটদের পরিচালনায় আজ এসব সাইনবোর্ড উচ্ছেদ করা হয়।

অবৈধ সাইনবোর্ড, বিলবোর্ড উচ্ছেদের সময় গুলশান ১ নম্বর গোলচত্বরে ডিএনসিসি মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম পরিদর্শন করেন। এ সময় তিনি বলেন, যত্রতত্রভাবে বড় বড় সাইনবোর্ড, বিলবোর্ডে বিজ্ঞাপন দিয়ে যারা ব্যবসা করছেন। কিন্তু সিটি কর্পোরেশনের পাওনা ট্যাক্স দিচ্ছেন না। এধরনের বিলবোর্ড একশতভাগ অবৈধ। আমরা এ বিলবোর্ডের পারমিশন দিই নাই। যারা এধরনের বিলবোর্ড লাগাচ্ছেন, তাদেরকে সাবধান করে বলছি – এগুলো অবৈধ। এগুলোকে কোনমতেই পারমিশন দিবো না।’

এ সময় সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে আতিকুল ইসলাম বলেন, অনেকে দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের ট্রেড লাইসেন্স নিয়ে এখানে ব্যবসা করছে, কিভাবে তারা এ কাজটি করে? এরকম অনেক আছে। উত্তর সিটি কর্পোরেশনের লাইসেন্স নিয়ে গুলশানে ব্যবসা করতে হবে, মোহাম্মদপুরের লাইসেন্স নিয়ে গুলশানে ব্যবসা করা যাবে না। আবার লাইসেন্সে গুলশানের ঠিকানা দেয়া থাকলে গুলশানেই ব্যবসা করতে হবে।

আজ গুলশান ১ নম্বর গোলচত্বরে প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আবদুল হামিদ মিয়ার নেতৃত্বে প্রায় ৩ শতাধিক অবৈধ সাইনবোর্ড, বিলবোর্ড, ব্যানার, প্যানাফ্লেক্স ইত্যাদি উচ্ছেদ করা হয়। উচ্ছেদ করা এসব সামগ্রী ১ লাখ ৫২ হাজার টাকায় বিক্রয় করা হয়। এসময় যথাযথভাবে সাইনবোর্ড স্থাপন না করায় এবং সরকারি কাজে বাধা দেওয়ায় শান্তা গ্রুপকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

বনানী ১১ নম্বর সড়কে অঞ্চল-৭ এর আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোতাকাব্বীর আহমেদের নেতৃত্বে উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করা হয়। এ সময় প্রায় দুই শতাধিক সাইনবোর্ড, বিলবোর্ড ইত্যাদি উচ্ছেদ করা হয়। এছাড়া সড়ক ও ফুটপাত অবৈধভাবে দখল করে জনগণের চলাচলে বিঘ্ন সৃষ্টি এবং অন্যান্য অপরাধে মোট ১ লাখ ১৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

এছাড়া প্রগতি সরণির শহজাদপুরে অঞ্চল-৬ এর আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সাজিয়া আফরিনের পরিচালনায় উচ্ছেদ অভিযানে মোট ২ শতাধিক সাইনবোর্ড, বিলবোর্ড ইত্যাদি উচ্ছেদ করা হয়। উচ্ছেদকৃত এসব সিনবোর্ড, বিলবোর্ড ইত্যাদি নিলামে ২৫ হাজার টাকা নিলামে বিক্রয় করা হয়। এছাড়া ফুটপাত ও সড়ক দখল করে ব্যবসা করা এবং ট্রেড লাইসেন্স না থাকায় ৪টি প্রতিষ্ঠানকে মোট ২৬ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Raj Kalam

Popular Post

প্রথমদিনে অনুপস্থিত প্রায় ২৭ হাজার, বহিষ্কার ২২

গুলশান, বনানী ও প্রগতি সরণি এলাকায় প্রায় ৭ শতাধিক অবৈধ সাইনবোর্ড উচ্ছেদ

Update Time : ০৩:৩৪:৫৪ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২০

গুলশান, বনানী ও প্রগতি সরণি এলাকায় প্রায় ৭ শতাধিক অবৈধ সাইনবোর্ড উচ্ছেদ করেছে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) ভ্রাম্যমাণ আদালত।

এছাড়া স্পট নিলামের মাধ্যমে এসব সাইনবোর্ড ও অন্যান্য মালামাল ১ লাখ ৭৭ হাজার টাকা বিক্রয় করা হয়। ফুটপাত ও সড়ক দখল করে ব্যবসা করা, ট্রেড লাইসেন্স না থাকা, সরকারি কাজে বাধা প্রদান করা এবং অন্যান্য অপরাধে ১ লাখ ৯১ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

সংস্থার নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটদের পরিচালনায় আজ এসব সাইনবোর্ড উচ্ছেদ করা হয়।

অবৈধ সাইনবোর্ড, বিলবোর্ড উচ্ছেদের সময় গুলশান ১ নম্বর গোলচত্বরে ডিএনসিসি মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম পরিদর্শন করেন। এ সময় তিনি বলেন, যত্রতত্রভাবে বড় বড় সাইনবোর্ড, বিলবোর্ডে বিজ্ঞাপন দিয়ে যারা ব্যবসা করছেন। কিন্তু সিটি কর্পোরেশনের পাওনা ট্যাক্স দিচ্ছেন না। এধরনের বিলবোর্ড একশতভাগ অবৈধ। আমরা এ বিলবোর্ডের পারমিশন দিই নাই। যারা এধরনের বিলবোর্ড লাগাচ্ছেন, তাদেরকে সাবধান করে বলছি – এগুলো অবৈধ। এগুলোকে কোনমতেই পারমিশন দিবো না।’

এ সময় সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে আতিকুল ইসলাম বলেন, অনেকে দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের ট্রেড লাইসেন্স নিয়ে এখানে ব্যবসা করছে, কিভাবে তারা এ কাজটি করে? এরকম অনেক আছে। উত্তর সিটি কর্পোরেশনের লাইসেন্স নিয়ে গুলশানে ব্যবসা করতে হবে, মোহাম্মদপুরের লাইসেন্স নিয়ে গুলশানে ব্যবসা করা যাবে না। আবার লাইসেন্সে গুলশানের ঠিকানা দেয়া থাকলে গুলশানেই ব্যবসা করতে হবে।

আজ গুলশান ১ নম্বর গোলচত্বরে প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আবদুল হামিদ মিয়ার নেতৃত্বে প্রায় ৩ শতাধিক অবৈধ সাইনবোর্ড, বিলবোর্ড, ব্যানার, প্যানাফ্লেক্স ইত্যাদি উচ্ছেদ করা হয়। উচ্ছেদ করা এসব সামগ্রী ১ লাখ ৫২ হাজার টাকায় বিক্রয় করা হয়। এসময় যথাযথভাবে সাইনবোর্ড স্থাপন না করায় এবং সরকারি কাজে বাধা দেওয়ায় শান্তা গ্রুপকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

বনানী ১১ নম্বর সড়কে অঞ্চল-৭ এর আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোতাকাব্বীর আহমেদের নেতৃত্বে উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করা হয়। এ সময় প্রায় দুই শতাধিক সাইনবোর্ড, বিলবোর্ড ইত্যাদি উচ্ছেদ করা হয়। এছাড়া সড়ক ও ফুটপাত অবৈধভাবে দখল করে জনগণের চলাচলে বিঘ্ন সৃষ্টি এবং অন্যান্য অপরাধে মোট ১ লাখ ১৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

এছাড়া প্রগতি সরণির শহজাদপুরে অঞ্চল-৬ এর আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সাজিয়া আফরিনের পরিচালনায় উচ্ছেদ অভিযানে মোট ২ শতাধিক সাইনবোর্ড, বিলবোর্ড ইত্যাদি উচ্ছেদ করা হয়। উচ্ছেদকৃত এসব সিনবোর্ড, বিলবোর্ড ইত্যাদি নিলামে ২৫ হাজার টাকা নিলামে বিক্রয় করা হয়। এছাড়া ফুটপাত ও সড়ক দখল করে ব্যবসা করা এবং ট্রেড লাইসেন্স না থাকায় ৪টি প্রতিষ্ঠানকে মোট ২৬ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।