নিজস্ব প্রতিবেদক:
অতিমারী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় মারা গেছে আরো ৩৩ জন। এ নিয়ে দেশে মোট মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়ালো ১২ হাজার ৫ জনে।
একই সময়ে নতুন করে শনাক্ত হয়েছে ১ হাজার ২৩০ জন। আজ মঙ্গলবার (১১ মে) স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
সংক্রমণের বিস্তার রোধে কঠোর লকডাউনের মধ্যেই গত ২৫ এপ্রিল দেশে করোনাভাইরাসে মৃতের মোট সংখ্যা ১১ হাজার পেরিয়েছিল। তার সঙ্গে আরও এক হাজার নাম যুক্ত হতে সময় লাগল ১৬ দিন। ৩৩ জনের মৃত্যুর যে তথ্য স্বাস্থ্য অধিদপ্তর মঙ্গলবার জানিয়েছে, তা সাত সপ্তাহের মধ্যে সবচেয়ে কম।
এর আগে সবশেষ ২৪ মার্চ করো নাভাইরাসে এর চেয়ে কম মৃত্যু দেখতে হয়েছিল বাংলাদেশকে, সেদিন মোট ২৫ জন মারা যাওয়ার খবর এসেছিল। গত এক দিনে আরও ১ হাজার ২৩০ জনের মধ্যে সংক্রমণ ধরা পড়ায় দেশে এ পর্যন্ত শনাক্ত রোগীর সংখ্যা বেড়ে ৭ লাখ ৭৬ হাজার ২৫৭ জন হয়েছে।
দৈনিক শনাক্ত রোগীর এই সংখ্যাও আট সপ্তাহের মধ্যে সবচেয়ে কম। এর আগে এর চেয়ে কম রোগী শনাক্তের খবর এসেছিল গত ১৪ মার্চ। সেদিন ১ হাজার ১৫৯ জনের মধ্যে সংক্রমণ ধরা পড়ার খবর দিয়েছিল স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, একই সময়ে সরকারি ও বেসরকারি ৪৫৪টি ল্যাবরেটরিতে ১৪ হাজার ৩২টি নমুনা সংগ্রহ ও ১৪ হাজার ১৮৪টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এ নিয়ে দেশে এ পর্যন্ত মোট নমুনা পরীক্ষা করা হলো ৫৬ লাখ ৬১ হাজার ৯২৬টি। নমুনা পরীক্ষায় শনাক্তের হার আট দশমিক ৬৭ শতাংশ। গত বছরের ৮ মার্চ প্রথম রোগী শনাক্ত হওয়ার পর থেকে এ পর্যন্ত শনাক্তের মোট হার ১৩ দশমিক ৭১ শতাংশ।
গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়ে উঠেছেন তিন হাজার ৪৪ জন। এ নিয়ে দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার পর চিকিৎসা শেষে সুস্থ হয়ে ওঠা রোগীর সংখ্যা সাত লাখ ১৫ হাজার ৩২১ জন। ২৪ ঘণ্টায় সুস্থতার হার ৯২ দশমিক ১৫ শতাংশ।
গত ২৪ ঘন্টায় করোনায় মৃত ৩৩ জনের মধ্যে ত্রিশোর্ধ্ব দুইজন, চল্লিশোর্ধ্ব পাঁচজন, পঞ্চাশোর্ধ্ব ১০ জন এবং ষাটোর্র্ধ্ব ১৬ জন রয়েছেন।
বিভাগওয়ারী দেখা গেছে, ৩৩ জনের মধ্যে ঢাকা বিভাগে ১৯ জন, চট্টগ্রামে সাতজন, রাজশাহীতে একজন, বরিশালে একজন, সিলেটে তিনজন এবং রংপুর বিভাগে দুইজনের মৃত্যু হয়।