নিজস্ব প্রতিবেদক:
ডিজিটাল মিডিয়ার আগ্রাসী উত্থানের কারণে বর্তমানে ছাপা সংবাদপত্রের বাজার সংকুচিত হয়েছে। প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে পত্রিকাগুলোকে নানামুখি উদ্যোগ নিতে হচ্ছে।
বৈরি এই বাজারে টিকে থাকতে প্রয়োজন সরকারের সহযোগিতা। বুধবার (৩০শে মার্চ) বিকেলে রাজধানীতে নিউজপেপার ওনার্স এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ-নোয়াব আয়োজিত অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন সম্পাদকরা। এ সময় তথ্যমন্ত্রী বলেন, গণমাধ্যম কর্মী আইনটি সকলের সঙ্গে আলোচনা করেই চূড়ান্ত করা হবে।
প্রকাশনার ২৫ বছর পার করেছে এমন ১১টি আঞ্চলিক ও জাতীয় সংবাদপত্রের সম্মাননা অনুষ্ঠানের আয়োজন করে নিউজপেপার ওনার্স এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ-নোয়াব। বুধবার সন্ধ্যায় রাজধানীতে এই আয়োজনে নোয়াবের সভাপতি এ কে আজাদ চৌধুরী জানান, সময়ের সাথে বদলেছে মানুষের খবর জানার ধরন। ডিজিটাল মিডিয়ার আগ্রাসী ভূমিকার কারণে সংকুচিত হচ্ছে ছাপা কাগজের বাজার।
বিভিন্ন পত্রিকার সম্পাদকরা বললেন, পত্রিকা ছাপানোর যে খরচ তার ব্যয় মেটানো দিন দিন কঠিন হয়ে পড়ছে। কিন্তু ভালো সাংবাদিকতার দায় এড়ানো যায় না। এরমধ্যেও অনেকেই সুনাম অক্ষুন্ন রেখে পত্রিকা ছাপিয়ে যাচ্ছেন।
তারা আরো বলেন, দেশের উন্নতিতে জনগনের যেমন অবদান রয়েছে, তেমনি সাংবাদিকরাও অবদান রেখেছে। ভালো খবরের পাশাপাশি ব্যর্থতার খবরও তুলে ধরে সাংবাদিকরা। এটা পেশারই অংশ।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বললেন, ইলেকট্রনিক মিডিয়ার দাপট থাকলেও প্রিন্ট মিডিয়ার গুরুত্ব কমেনি। ‘গণমাধ্যম কর্মী আইনটি’ সাংবাদিকদের সাথে আলোচনা করেই চূড়ান্ত হবে।
আর প্রধান অতিথির বক্তব্যে জাতীয় সংসদের স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, সাংবাদিকদের নৈতিকতা ও দায়িত্বশীলতার সাথে কাজ করে যেতে হবে।
অনুষ্ঠানে সম্মাননা পাওয়া ১১টি পত্রিকা হলো দৈনিক পূর্বাঞ্চল, দৈনিক করতোয়া, দৈনিক পূর্বকোন, দৈনিক ইনকিলাব, দৈনিক ভোরের কাগজ, দৈনিক জনকন্ঠ, দ্য ডেইলি স্টার, দ্য ফাইন্যান্সিয়াল এক্সপ্রেস, দৈনিক সংবাদ, দৈনিক ইত্তেফাক ও দৈনিক আজাদী।