আসন্ন ঈদুল আজহা উপলক্ষে বিশেষ ব্যবস্থায় ট্রেন পরিচালনা করছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। ঈদযাত্রার আজ (শনিবার) প্রথম দিন। সকাল ৬টা থেকে সাড়ে ৯টা পর্যন্ত ঢাকা থেকে দেশের বিভিন্ন গন্তব্যে ১২টি আন্তঃনগর ট্রেন ছেড়ে গেছে। এর মধ্যে শুধুমাত্র রংপুর এক্সপ্রেস ২০ মিনিট বিলম্বে ছাড়ে।
সকালে রাজধানীর কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন ঘুরে দেখা যায়, ভোর থেকেই হাজারো যাত্রী স্টেশনে আসছেন। ঈদ উদ্যাপন করতে প্রিয়জনের কাছে ফিরতে মুখিয়ে থাকা মানুষের পদচারণায় স্টেশন চত্বর মুখরিত।
যাত্রীদের নিরাপত্তা ও শৃঙ্খলা বজায় রাখতে স্টেশনে তিন স্তরের চেকিং ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। টিকিটবিহীন কেউ যেন স্টেশনে প্রবেশ করতে না পারে, সে জন্য রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনী, রেল পুলিশ এবং আনসার সদস্যরা যৌথভাবে দায়িত্ব পালন করছেন।
স্টেশনে আসা যাত্রীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, অধিকাংশই শিক্ষার্থী ও চাকরিজীবী পরিবারের সদস্য, যারা ঈদের ছুটি কাটাতে নিজ নিজ বাড়ির উদ্দেশে রওনা হচ্ছেন।
জামালপুর এক্সপ্রেসের যাত্রী দীনি ইসলাম বলেন, পরিবারের সঙ্গে ঈদের ছুটি কাটাতে আমি বাড়ি যাচ্ছি। গতকাল থেকে ছুটি শুরু হলেও গতকালের টিকিট পাইনি, ফলে আজ বাড়ি যাচ্ছি। ঈদ উপলক্ষে বাড়ি যাওয়ার আনন্দটাই অন্যরকম।
রংপুর এক্সপ্রেস ট্রেনে পরিবারের সদস্যদের বাড়ি পাঠাচ্ছেন ইমরান হোসেন। তিনি বলেন, ঈদে ঠিক কাছাকাছি সময়ে রংপুর যাওয়াটা অনেক কঠিন হয়ে ওঠে। ফলে নিরাপদে বাড়ি পৌঁছার জন্য পরিবারের সদস্যদের আজই বাড়ি পাঠাচ্ছি। আগে থেকে টিকিট কাটা হয়েছিল। আমার ঈদের ছুটি শুরু হতে আরও ৫ দিন লাগবে।
সুন্দরবন এক্সপ্রেসের যাত্রী আফসানা বেগম বলেন, ঈদ মানেই পরিবারের সঙ্গে সময় কাটানো, আর তাই অনেক কষ্ট করেও টিকিট সংগ্রহ করেছি। প্ল্যাটফর্মে প্রবেশের সময় চেকিংয়ে টিটিইরা টিকিট চেক করেছে। কিছুটা ভিড় থাকলেও সবাই শৃঙ্খলার মধ্যে রয়েছে, এটা প্রশংসনীয়।
বাংলাদেশের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, যাত্রীদের ঈদ যাত্রা নির্বিঘ্ন করতে সকল চেষ্টাই আমরা করেছি। প্রত্যেকটি ট্রেন ঢাকায় আনা হয়েছে গত রাতের মধ্যে। এখন ট্রেনগুলো নির্ধারিত সময়ে ছেড়ে যাচ্ছে।