খুলনা প্রতিনিধিঃ
 রূপসা উপজেলার নৈহাটি ইউনিয়নের আমদাবাদ গ্রামের এক স্কুল ছাত্রের অপহরন নাটকের অবসান হলো মাত্র ১৭ ঘন্টা পরে।
থানা পুলিশ ভিকটিমকে উদ্ধার করে এই অপহরণ নাটকের অবসান ঘটায়। সূত্র মতে উক্ত গ্রামের সাবেক সেনা সদস্য আজম খানের পুত্র, লখপুর আলহাজ¦ আমবিয়া ইসহাক স্কুল এ্যান্ড কলেজের নবম শ্রেনির ছাত্র আহনাফ মোজাহিদ ওরফে নিয়াজ (১৪) অপহরন হয়েছে বলে তার পিতা থানায় লিখিত অভিযোগ করে। অভিযোগ মতে গত ২৭ মে সন্ধ্যায় একটি সাদা মাইক্রোবাস যোগে উক্ত স্কুল ছাত্রকে কয়েকজন ব্যক্তি জোর পূর্বক আমদাবাদ বাড়ীর সামনে থেকে অপহরন করে নিয়ে যায়। অভিযোগ পেয়ে থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ সরদার মোশাররফ হোসেনের নেতৃত্বে থানা পুলিশের ২ টি দল রাতভর বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালায় ভিকটিমকে উদ্ধারের জন্য। স্কুল ছাত্রের পিতার ভাষ্যমতে থানা পুলিশ উক্ত এলাকার ৩ জনকে আটকও করে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য। কিন্তু কোন ভাবেই ভিকটিমকে উদ্ধার করা যাচ্ছিল না। অবশেষে থানা পুলিশ সু-কৌশলে ভিকটিমের পিতার মোবাইল থেকে ভিকটিমের মোবাইল নম্বর সংগ্রহ করে এবং রাতভর অভিযান পরিচালনা করে। অবশেষে গত ২৮ মে সকাল ১১টার দিকে থানা পুলিশের একটি দল খুলনা শিববাড়ী মোড় এলাকা থেকে নিয়াজকে উদ্ধার করে এবং থানায় নিয়ে আসে। নিয়াজ পুলিশের কাছে তার অপহরন নাটকের বর্ণনা দেয় এবং বলে তার পিতার কাছ থেকে সু-কৌশলে ৫০ হাজার টাকা হাতিয়ে নেওয়ার জন্য উক্ত অপহরন নাটক রচনা করে। কিন্তু এলাকাবাসীর দাবী উক্ত আজম খান স্থানীয় একটি পরিবারের সাথে জমিজমা সংক্রান্ত ঘটনার জের ধরে প্রতিপক্ষকে হয়রানি করার উদ্দেশ্যে তার ছেলেকে লুকিয়ে রেখে অপহরনের নাটক সাজিয়ে থানা পুলিশ মিথ্যা অভিযোগ প্রদান করে। এ ব্যাপারে রূপসা থানার অফিসার ইনচার্জ সরদার মোশাররফ হোসেন জানান, অভিযোগের ভিত্তিতে থানা পুলিশ সারারাত অভিযান চালিয়েছে ভিকটিমকে উদ্ধারের জন্য। অবশেষে উদ্ধার অভিযান শেষে প্রকৃত রহস্য উন্মোচন  হয়েছে। এ ব্যাপারে মিথ্যা অভিযোগকারীর বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে এবং মিথ্যা অভিযোগের ভিত্তিতে আটককৃত উক্ত ৩ ব্যক্তিদের সকালেই থানা থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে