Dhaka ০৭:২৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৫, ৫ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

খুলনায় অবহেলায় শিশু মৃত্যুর অভিযোগ, ক্লিনিক সিলগালা

  • Reporter Name
  • Update Time : ০২:৫৯:৩০ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৯ জুন ২০২১
  • ৭৬ Time View
খুলনা প্রতিনিধিঃ
খুলনায় ক্লিনিকে চিকিৎসকদের অবহেলায় আবু সুফিয়ান নামে সাত বছর বয়সী এক শিশু মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। শনিবার (১৯ জুন) সকালে পাইকগাছা উপজেলা সদরের শাপলা ক্লিনিক অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে এ ঘটনা ঘটে। সংবাদ পেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এ বি এম খালিদ হোসেন সিদ্দিকী ক্লিনিকের লাইসেন্সসহ প্রয়োজনীয় কাগজপত্র না পাওয়ায় ক্লিনিকটি সিলগালা ও জরিমানা করেন। শিশু মো. আবু সুফিয়ান দাকোপের গড়খালী এলাকার আব্দুস সালামের ছেলে।
স্থানীয়রা ও শিশুর বাবা আবদুস সালাম বলেন, ছেলের পেটব্যথা। তাকে নিয়ে এসেছিলাম এখানে। ডাক্তার বলেন, অ্যাপেন্ডিসাইটিস হইছে। অপারেশন করতে হবে। ছেলেকে অপারেশন করার জন্য শুক্রবার সকাল ৯টায় ভর্তি করাইছি। বিকেল ৫টার দিকে ডা. ফারুক আমার ছেলের অপারেশন করেন। অপারেশনের পরে ছেলের হুঁশ (জ্ঞান) ফেরে নাই। ভোররাতেও না ফেরায় আমরা উদ্বিগ্ন হয়ে পড়ি।
পরে চিকিৎসকদের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তারা তাড়াহুড়া করে খুলনায় পাঠানোর ব্যবস্থা করেন। তৎক্ষণিক ছেলেটি মারা যায়। তবু তারা খুলনায় পাঠানোর জন্য মৃত শিশুকে গাড়িতে তোলার চেষ্টা করলে পাইকগাছা বাজারের লোকজন বাধা দেয়। এ ঘটনার সংবাদ পেয়ে ইউএনও এবং পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়।
পাইকগাছা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সরদার ইব্রাহিম হোসেন সোহেল বলেন, শিশুর পরিবারের পক্ষ থেকে ভুল চিকিৎসায় তাদের কোনো অভিযোগ নেই মর্মে থানায় লিখিত দিয়েছেন। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ক্লিনিকটিকে সিলগালা ও জরিমানা করেছেন।
পাইকগাছা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এ বি এম খালিদ হোসেন সিদ্দিকী বলেন, ক্লিনিকে একটি শিশু মারা গেছে, এমন সংবাদ পেয়ে সেখানে যাই। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে ক্লিনিকে চিকিৎসকদের অবহেলায় শিশুটির মৃত্যু হয়েছে। শিশুটির পরিবারকে বলেছি কোনো অভিযোগ থাকলে জানাতে। কিন্তু তার পরিবারের কোনো অভিযোগ নেই, এমনটা লিখিত দিয়েছে।
তবে ক্লিনিকের নেই কোনো লাইসেন্স, যে রোগী মারা গেছে, তার অপারেশন কে করেছে, সেই তথ্য নেই। ওটি নোট নেই। এ কারণে ক্লিনিকটিকে সিলগালা করা হয়েছে। একই সঙ্গে পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। তদন্ত শেষে বিস্তারিত জানাতে পারব, বলেন ইউএনও।
Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Raj Kalam

Popular Post

খুলনায় অবহেলায় শিশু মৃত্যুর অভিযোগ, ক্লিনিক সিলগালা

Update Time : ০২:৫৯:৩০ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৯ জুন ২০২১
খুলনা প্রতিনিধিঃ
খুলনায় ক্লিনিকে চিকিৎসকদের অবহেলায় আবু সুফিয়ান নামে সাত বছর বয়সী এক শিশু মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। শনিবার (১৯ জুন) সকালে পাইকগাছা উপজেলা সদরের শাপলা ক্লিনিক অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে এ ঘটনা ঘটে। সংবাদ পেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এ বি এম খালিদ হোসেন সিদ্দিকী ক্লিনিকের লাইসেন্সসহ প্রয়োজনীয় কাগজপত্র না পাওয়ায় ক্লিনিকটি সিলগালা ও জরিমানা করেন। শিশু মো. আবু সুফিয়ান দাকোপের গড়খালী এলাকার আব্দুস সালামের ছেলে।
স্থানীয়রা ও শিশুর বাবা আবদুস সালাম বলেন, ছেলের পেটব্যথা। তাকে নিয়ে এসেছিলাম এখানে। ডাক্তার বলেন, অ্যাপেন্ডিসাইটিস হইছে। অপারেশন করতে হবে। ছেলেকে অপারেশন করার জন্য শুক্রবার সকাল ৯টায় ভর্তি করাইছি। বিকেল ৫টার দিকে ডা. ফারুক আমার ছেলের অপারেশন করেন। অপারেশনের পরে ছেলের হুঁশ (জ্ঞান) ফেরে নাই। ভোররাতেও না ফেরায় আমরা উদ্বিগ্ন হয়ে পড়ি।
পরে চিকিৎসকদের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তারা তাড়াহুড়া করে খুলনায় পাঠানোর ব্যবস্থা করেন। তৎক্ষণিক ছেলেটি মারা যায়। তবু তারা খুলনায় পাঠানোর জন্য মৃত শিশুকে গাড়িতে তোলার চেষ্টা করলে পাইকগাছা বাজারের লোকজন বাধা দেয়। এ ঘটনার সংবাদ পেয়ে ইউএনও এবং পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়।
পাইকগাছা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সরদার ইব্রাহিম হোসেন সোহেল বলেন, শিশুর পরিবারের পক্ষ থেকে ভুল চিকিৎসায় তাদের কোনো অভিযোগ নেই মর্মে থানায় লিখিত দিয়েছেন। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ক্লিনিকটিকে সিলগালা ও জরিমানা করেছেন।
পাইকগাছা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এ বি এম খালিদ হোসেন সিদ্দিকী বলেন, ক্লিনিকে একটি শিশু মারা গেছে, এমন সংবাদ পেয়ে সেখানে যাই। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে ক্লিনিকে চিকিৎসকদের অবহেলায় শিশুটির মৃত্যু হয়েছে। শিশুটির পরিবারকে বলেছি কোনো অভিযোগ থাকলে জানাতে। কিন্তু তার পরিবারের কোনো অভিযোগ নেই, এমনটা লিখিত দিয়েছে।
তবে ক্লিনিকের নেই কোনো লাইসেন্স, যে রোগী মারা গেছে, তার অপারেশন কে করেছে, সেই তথ্য নেই। ওটি নোট নেই। এ কারণে ক্লিনিকটিকে সিলগালা করা হয়েছে। একই সঙ্গে পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। তদন্ত শেষে বিস্তারিত জানাতে পারব, বলেন ইউএনও।