খুলনা প্রতিনিধি :
 খুলনার রূপসায় প্রতিবন্ধির ভাতার টাকা আত্মসাত  করার প্রতিবাদে পত্রিকায় যে সংবাদ প্রকাশ করা হয়েছেন এবং  প্রকৃত ঘটনা তুলে ধরে ২৫ আগষ্ট বেলা ১১ টায় রূপসা উপজেলা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ইউপি সদস্য শাহ মোহাম্মদ রবিউল ইসলাম।
লিখিত বক্তৃতায় তিনি বলেন, নৈহাটি ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য রবিউল ইসলাম নেহালপুর ও দেবীপুর ওয়ার্ডবাসীর ভালবাসায় বিপুল ভোটের ব্যবধানে ইউপি সদস্য নির্বাচিত হয়ে সুনামের সাথে সেবা করে আসছি। নির্বাচনে পরাজিত হয়ে কয়েকজন প্রার্থী তার সর্ম্পকে তারা বিভিন্ন অপবাদ দিয়ে আসছে। সর্বশেষ আমার স্ত্রীর মোবাইলের বিকাশ নম্বর দিয়ে প্রতিবন্ধির টাকা আত্মসাত করার অভিযোগ করেছে তারা।
প্রতিবন্ধি মনিরুল শেখ নেহালপুর গ্রামের আইয়ুব আলী শেখের ছেলে। মনিরুল ও তার পরিবারের সাথে ইউপি সদস্যের ভাল সম্পর্ক। সরকারী সকল সহযোগিতা তাকে করে আসছে। ইতিমধ্যে জানতে পারেন মনিরুলের  প্রতিবন্ধি ভাতার টাকা অন্য একটি মোবাইল নম্বরে চলে গেছে। এই ঘটনার কিছুদিন পর দেখতে পাই কয়েকটি পত্রিকায় তার স্ত্রী নুরজাহান বেগম মোবাইল বিকাশের মাধ্যমে প্রতিবন্ধি মনিরুলের টাকা আতœসাত করেছে বলে সংবাদ প্রকাশ হয়।
 তিনি আরও বলেন, বিগত দিনগুলি থেকে শুরু করে আজ পর্যন্ত আমার ওয়ার্ডের কোন মানুষের নিকট থেকে টাকা নেওয়ার অভিযোগ নেই।
 দেবীপুর এলাকার বাসিন্দা আগামীতে সংরক্ষিত ইউপি সদস্য পদে নির্বাচন করার ঘোষনা দিয়েছেন লিপিকা রাণী দাস নামে এক মহিলা। এই লিপিকা তার বাড়িতে যাওয়া আসা এমনি কি খাওয়া দাওয়াও করত। হঠাৎ করে একদিন দুপুরে খাওয়া শেষ করে লিপিকা চলে আসার পর তার স্ত্রীর বাটনের একটা মোবাইলের মধ্যে থাকা সীমসহ ফোনটি চুরি হয়ে যায়। যার নং-০১৭৮৯-১৭৮৩৫১। মোবাইলের বিকাশের পিন কোডটিও সেভ করা ছিল তাতে। চুরি হওয়া ফোনটি লিপিকা নিয়েছে বলে তার সন্দেহ হয়।  প্রতিবন্ধি মনিরুলের কার্ডটি এমআইএস থেকে শুরু করে সব কিছু করেছে লিপিকা। ঐ কার্ডে তার কোন সর্ম্পক নেই বলেও জানান তিনি।
সমাজসেবা অফিসের হ্দয় নামে যে লোকটি বিভিন্ন ভাতাভোগীদের মোবাইলের বিকাশ নম্বরে টাকা দেন তিনি  বলছেন প্রতিবন্ধি মনিরুলের জাতীয় পরিচয়পত্রের উপরে একটা নম্বর পেয়েছি সেই নম্বরে আমি টাকা দিয়েছি। কাগজটি ইউনিয়ন পরিষদ থেকে সমাজসেবা দপ্তরে আসে। ইউপি সদস্য রবিউল ইসলাম আমাকে কোন নম্বর দেইনি বলে তিনি জানান।
 ইউপি সদস্য বলেন,আমার সাথে নির্বাচন করে যারা পরাজিত হয়েছে তারই আমার সুনাম নষ্ট করার জন্য ও সমাজের কাছে আমাকে ছোট করার জন্য এই অপপ্রচার চালিয়ে যাচ্ছে। এসময় উপস্থিত ছিলেন সেকেন্দার শেখ, ফিরোজা বেগম, হাবিবুর রহমান, মরিয়মবেগম, ইউসুফ ফারাজি, মনিরুল শেখ, ইসমাইল, মুন্নী বেগম, আকলিমা বেগম, আজিজুল ইসলাম, শেখ সাহেব আলীসহ প্রায় শতাধিক ভাতাভোগি।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে