Dhaka ০৬:৫৩ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১১ এপ্রিল ২০২৫, ২৮ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম:
প্রথমদিনে অনুপস্থিত প্রায় ২৭ হাজার, বহিষ্কার ২২ পোল্যান্ডের বাংলাদেশের দূত হলেন সাবেক আইজিপি ময়নুল ইসলাম ‘পোশাক রপ্তানিতে বিশ্বে শীর্ষস্থানে উঠতে প্রস্তুত বাংলাদেশ’ সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর মামলার সাক্ষী আবছার আটক ১৩ দিন বৃষ্টিবলয়ে থাকবে পুরো দেশ, হবে কালবৈশাখী-বজ্রপাত যুক্তরাষ্ট্রের ওপর পাল্টা শুল্ক স্থগিত করলো ইউরোপীয় ইউনিয়ন পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌপথে ফেরি চলাচল বন্ধ ভারত থেকে শেখ হাসিনাকে ফেরানোর উদ্যোগ নেওয়া হবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লুট হওয়া অস্ত্র নিরাপত্তার জন্য হুমকি: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা ভারতের ট্রান্সশিপমেন্ট বাতিলে বাণিজ্যে প্রভাব পড়বে না: বাণিজ্য উপদেষ্টা

ক্যাসিনোকাণ্ডের ১২ মামলা তদন্তের দায়িত্বে সিআইডি

  • Reporter Name
  • Update Time : ০১:০৯:৫৮ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৩১ অগাস্ট ২০২০
  • ১৩৮ Time View

ক্যাসিনোকাণ্ডের ১২ মামলা তদন্তের দায়িত্বে সিআইডি। এরই মধ্যে এনু-রুপনসহ ৪৮ জনকে আাসামী করে ৭ মামলার চার্জশিট দেয়া হয়েছে। একুশে টেলিভিশনকে সিআইডি প্রধান জানালেন, আরও ২টি মামলার অভিযোগপত্র শিগগিরই দেয়া হবে। অন্য মামলাগুলোর তদন্তও শেষ পর্যায়ে।

গত বছর সেপ্টম্বরে রাজধানীসহ দেশজুড়ে দুর্নীতি বিরোধী অভিযান শুরু করে আইন-শৃংখলা বাহিনী। এরই ধারাবাহিকতায় রাজধানীর ক্লাব পাড়ায় র‌্যাবের অভিযানে সামনে আসে ক্যাসিনোর অবৈধ কারবার। গ্রেফতার হন, প্রভাবশালী ঠিকাদার জিকে শামীম, খালেদ মাহমুদ ভুইয়া ওরফে ল্যাংড়া খালেদ, যুবলীগ ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি ইসমাইল হোসেন সম্রাট এবং বিসিবির বিতর্কিত পরিচালক লোকমান হোসেন ভুইয়া।

টানা দুই দফা অভিযানে এনু-রুপনকে ধরা না গেলেও তাদের ডেরা থেকে বেরিয়ে আসে কোটি কোটি টাকা আর স্বর্ণালংকার। পরে অবশ্য কেরানীগঞ্জ থেকে তাদের গ্রেফতার করে সিআইডি। এনু-রুপনসহ গ্রেফতার সবাই এখন কারাগারে।

ক্যাসিনোকাণ্ডে মামলা হয়েছে একাধিক। তদন্ত শেষে একের পর এক মামলার চার্জশীট দিচ্ছে সিআইডি।

সিআইডি প্রধান ব্যারিস্টার মাহবুবুর রহমান জানান, ইনকোয়ারিগুলো শেষ পর্যায়ে। আমরা আশা করছি যে, অল্প কিছুদিনের মধ্যেই ইনকোয়ারির রিপোর্ট পেয়ে যাব। পেয়ে গেলেই ইনকোয়ারি রিপোর্টের ফাইন্ডিং শুরু করে নেক্সট এক্সটেপ নিব। আরও কয়েকটি মামলা আছে, সেগুলোও অলমোস্ট শেষ করে ফেলেছি। কিছু কিছু মামলার ক্ষেত্রে আশা করছি, আগামী এক-দুই সপ্তাহের মধ্যে শেষ করে ফেলবো।

অপরাধের সঙ্গে যাদের সম্পৃক্ততা পাওয়া যাবে তাদের রাজনৈতিক পরিচয় যাই থাক না কেন সবার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও জানান সিআইডি প্রধান।

সিআইডি প্রধান বলেন, যার বিরুদ্ধে প্যানেল পিসি প্রুফ হবে তার বিরুদ্ধে আমরা কোর্টে রায় চাইবো। তার পরিচয় এখানে ইম্পর্টেন্ড না। তার বিরুদ্ধে অ্যাভিডেন্স আসলেই আমরা তার বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করি।

তদন্ত-অনুসন্ধানে অপরাধের নতুন তথ্য আসলে অভিযানের পাশাপাশি মামলাও করবে সংস্থাটি। ব্যারিস্টার মাহবুবুর রহমান জানান, এই ক্ষেত্রে একদমই কোন চাপ নেই। আমরা একদমই প্রফেশনালই করার চেষ্টা করছি।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Raj Kalam

Popular Post

প্রথমদিনে অনুপস্থিত প্রায় ২৭ হাজার, বহিষ্কার ২২

ক্যাসিনোকাণ্ডের ১২ মামলা তদন্তের দায়িত্বে সিআইডি

Update Time : ০১:০৯:৫৮ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৩১ অগাস্ট ২০২০

ক্যাসিনোকাণ্ডের ১২ মামলা তদন্তের দায়িত্বে সিআইডি। এরই মধ্যে এনু-রুপনসহ ৪৮ জনকে আাসামী করে ৭ মামলার চার্জশিট দেয়া হয়েছে। একুশে টেলিভিশনকে সিআইডি প্রধান জানালেন, আরও ২টি মামলার অভিযোগপত্র শিগগিরই দেয়া হবে। অন্য মামলাগুলোর তদন্তও শেষ পর্যায়ে।

গত বছর সেপ্টম্বরে রাজধানীসহ দেশজুড়ে দুর্নীতি বিরোধী অভিযান শুরু করে আইন-শৃংখলা বাহিনী। এরই ধারাবাহিকতায় রাজধানীর ক্লাব পাড়ায় র‌্যাবের অভিযানে সামনে আসে ক্যাসিনোর অবৈধ কারবার। গ্রেফতার হন, প্রভাবশালী ঠিকাদার জিকে শামীম, খালেদ মাহমুদ ভুইয়া ওরফে ল্যাংড়া খালেদ, যুবলীগ ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি ইসমাইল হোসেন সম্রাট এবং বিসিবির বিতর্কিত পরিচালক লোকমান হোসেন ভুইয়া।

টানা দুই দফা অভিযানে এনু-রুপনকে ধরা না গেলেও তাদের ডেরা থেকে বেরিয়ে আসে কোটি কোটি টাকা আর স্বর্ণালংকার। পরে অবশ্য কেরানীগঞ্জ থেকে তাদের গ্রেফতার করে সিআইডি। এনু-রুপনসহ গ্রেফতার সবাই এখন কারাগারে।

ক্যাসিনোকাণ্ডে মামলা হয়েছে একাধিক। তদন্ত শেষে একের পর এক মামলার চার্জশীট দিচ্ছে সিআইডি।

সিআইডি প্রধান ব্যারিস্টার মাহবুবুর রহমান জানান, ইনকোয়ারিগুলো শেষ পর্যায়ে। আমরা আশা করছি যে, অল্প কিছুদিনের মধ্যেই ইনকোয়ারির রিপোর্ট পেয়ে যাব। পেয়ে গেলেই ইনকোয়ারি রিপোর্টের ফাইন্ডিং শুরু করে নেক্সট এক্সটেপ নিব। আরও কয়েকটি মামলা আছে, সেগুলোও অলমোস্ট শেষ করে ফেলেছি। কিছু কিছু মামলার ক্ষেত্রে আশা করছি, আগামী এক-দুই সপ্তাহের মধ্যে শেষ করে ফেলবো।

অপরাধের সঙ্গে যাদের সম্পৃক্ততা পাওয়া যাবে তাদের রাজনৈতিক পরিচয় যাই থাক না কেন সবার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও জানান সিআইডি প্রধান।

সিআইডি প্রধান বলেন, যার বিরুদ্ধে প্যানেল পিসি প্রুফ হবে তার বিরুদ্ধে আমরা কোর্টে রায় চাইবো। তার পরিচয় এখানে ইম্পর্টেন্ড না। তার বিরুদ্ধে অ্যাভিডেন্স আসলেই আমরা তার বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করি।

তদন্ত-অনুসন্ধানে অপরাধের নতুন তথ্য আসলে অভিযানের পাশাপাশি মামলাও করবে সংস্থাটি। ব্যারিস্টার মাহবুবুর রহমান জানান, এই ক্ষেত্রে একদমই কোন চাপ নেই। আমরা একদমই প্রফেশনালই করার চেষ্টা করছি।