ক্রীড়া ডেস্ক :
ক্যাচ মিস তো ম্যাচ মিস! প্রচলিত এ কথাটিই বাস্তবে ঘটল বাংলাদেশ দলের সঙ্গে। দু-দুটি সহজ ক্যাচ ফসকে গেল লিটন দাসের হাত থেকে।
প্রথমটি ১৩তম ওভারে আফিফের বল, আর দ্বিতীয়টি ১৫তম ওভারে মুস্তাফিজের বলে। যার খেসারতটা ভালোভাবেই দিতে হল বাংলাদেশকে।
একবার করে জীবন পেয়ে ব্যাটে চার-ছয়ের ফুলঝুরি ছুটিয়ে রিয়াদদের হারিয়ে তবেই মাঠ ছাড়েন চারিথ আসালাঙ্কা ও ভানুকা রাজাপাকসে। পাঁচ উইকেটের হারে সুপার টুয়েলভ শুরু করল টাইগাররা।
লঙ্কান ওই দুই ব্যাটারের ব্যাটে চড়ে ৭ বল হাতে রেখেই প্রয়োজনীয় ১৭২ রান তুলে নেয় শ্রীলঙ্কা। মাত্র পঞ্চম ম্যাচ খেলতে নামা চারিথ আসালাঙ্কা ক্যারিয়ারসেরা ৮০ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলে হন ম্যাচ সেরা। তাঁর ৪৯ বলের এই ম্যাচজয়ী তান্ডুবে ইনিংসে ছিল সমান পাঁচটি করে চার ও ছক্কার মার।
অন্যদিকে ভানুকা ৪৫ বলে ৫৩ করে শেষ দিকে এসে নাসুমের দ্বিতীয় শিকার হওয়া রাজাপাকসে মারেন তিনটি চার ও ছক্কা।
এর আগে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ইতিহাসে দ্বিতীয় রাউন্ডে প্রথম জয়ের স্বাদ পেতে রোববার (২৪ অক্টোবর) চলতি আসরের সুপার টুয়েলভে নিজেদের প্রথম ম্যাচে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ১৭১ রানের চ্যালেঞ্জিং স্কোর গড়ে বাংলাদেশ। জবাব দিতে নেমে নাসুম-সাকিবের স্পিন ভেল্কিতে ৭১ রানে ৩ উইকেট হারায় লঙ্কানরা। নিজের দ্বিতীয় ওভারে জোড়া উইকেট নিয়ে বিশ্বরেকর্ড গড়েন সাকিব।
ইনিংসের চতুর্থ বলেই নাসুমের স্পিনে পরাস্ত হয়ে উইকেট হারান লঙ্কান ওপেনার কুশল মেন্ডিস (১)। এরপর চারিথ আসালাঙ্কা এসে টাইগার বোলারদের উপর তাণ্ডব চালালে রীতিমত দিশেহারা হয়ে পড়ে বাংলাদেশ। তবে বিশ্বসেরা সাকিবেই মেলে রক্ষা।
ইনিংসের ৯ম ওভারে আক্রমণে এসে নিজের স্পিন ভেল্কিতে চার বলের ব্যবধানে সাজঘরে ফেরান ২১ বলে ২৪ করা পাথুম নিসাঙ্কা ও সদ্যই ক্রিজে আসা আভিস্কা ফার্নান্ডোকে (০)। আর এর মাধ্যেমেই সাবেক পাক অধিনায়ক শহীদ আফ্রিদিকে (৩৯) ছাড়িয়ে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ইতিহাসে সেরা উইকেট শিকারী বনে যান সাকিব (৪১)।
সাকিবের পর সাইফুদ্দিন আক্রমণে এসে তুলে নেন ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গাকে (৬)। যাতে ৭৯ রানেই চতুর্থ উইকেট হারিয়ে কিছুটা চাপে পড়ে শ্রীলঙ্কা। আসালাঙ্কা-রাজাপাকসে জুটিতে সেই চাপ উড়িয়ে দিয়ে উল্টো টাইগারদের ওপরই চেপে বসে লঙ্কানরা। তবে আসালাঙ্কা-রাজাপাকসে জুটিতে সেই চাপ উড়িয়ে দিয়ে উল্টো টাইগারদের ওপরই চেপে বসে জয় ছিনিয়ে নেয় লঙ্কানরা।
এর আগে শারজা স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ সময় বিকেল ৪টায় শুরু হওয়া এ ম্যাচে টস হেরে ব্যাটিং করতে নেমে শুরুতেই লিটন-সাকিবকে হারালেও নাঈম-মুশফিকের জোড়া ফিফটিতে চড়ে ১৭১ রানের চ্যালেঞ্জিং স্কোরই গড়েছে টাইগাররা। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৬১ রান করেন নাঈম। আর মুশফিক খেলেন অপরাজিত ৫৭ রানের ইনিংস।