করোনার সঙ্গে লড়াইয়ে ডাক্তার, স্বাস্থ্যকর্মী, পুলিশকর্মীদের মতো প্রথম সারির যোদ্ধার সম্মান ও স্বীকৃতি পাবেন ভোটকর্মীরা। তাদের প্রত্যেককে দেওয়া হবে প্রতিষেধক। কোভিডে আক্রান্ত হয়ে ভোটের কাজে যুক্ত কারও মৃত্যু হলে তার পরিবারকে ৩০ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন। এ খবর আনন্দ বাজারের।

এ ছাড়া ভোটের সময় নাশকতায় কারও মৃত্যু হলে ক্ষতিপূরণের আওতায় থাকবে তার পরিবারও। যারা ভোটের কাজে পশ্চিমবঙ্গে আসবেন, তাদেরকে বিনাখরচায় চিকিৎসা করানোর জন্য রাজ্য সরকারকে নির্দেশ দিয়েছে কমিশন।

কোভিডের জন্য অনেক বিধিনিষেধ আরোপ করেছে কমিশন। এর প্রেক্ষিতে প্রত্যেক ভোটকর্মীকে প্রথম সারির কোভিড যোদ্ধা হিসেবে বিবেচনা করে প্রতিষেধক দেওয়ার কাজ শুরু করার নির্দেশ দিয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। তাদের বক্তব্য, ভোট গ্রহণের আগে কোনও ভোটকর্মীই যেন প্রতিষেধকের বাইরে না-থাকেন।

তবে প্রতিষেধক নেওয়া বাধ্যতামূলক নয়। কেউ না-চাইলে তাকে জোর করে প্রতিষেধক দেওয়া যাবে না। এই অবস্থায় কমিশনের সিদ্ধান্ত, ভোটের কাজ করতে গিয়ে কোভিডে আক্রান্ত হয়ে কারও মৃত্যু হলে ক্ষতিপূরণ হিসেবে ৩০ লাখ টাকা দেওয়া হবে। এই মর্মে সব রাজ্যের মুখ্যসচিবদের কাছে নির্দেশ পাঠিয়েছে তারা।

ভোটকর্মী এবং নিরাপত্তারক্ষীদের চিকিৎসার ব্যাপারেও আগে থেকে রাজ্যগুলোকে সতর্ক করে দিয়েছে কমিশন। সে ক্ষেত্রে কোভিডের চিকিৎসার উপরেও গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। জেলা প্রশাসকদের বলা হয়েছে, তারা যেন অবিলম্বে নিজেদের এলাকার হাসপাতালগুলোর সঙ্গে সমন্বয় রাখেন। বিশেষ করে কোয়ারেন্টাইনের পরিকাঠামোও প্রস্তুত রাখতে হবে প্রশাসনকে। ভোটের ফলাফল ঘোষণা পর্যন্ত এই বন্দোবস্ত রাখতে বলা হয়েছে।

ভোটগ্রহণ হবে ৮ দফায়। প্রথম দফা শুরু হবে ২৭ মার্চ আর শেষ দফা ২৯ এপ্রিল। তবে সব রাজ্যের ভোট গণনা হবে ২ মে।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে