কোন প্রকার সমস্যা ছাড়াই বসানো হয়েছে পদ্মাসেতুর ৩৭তম স্প্যান (২-সি)। এটি মুন্সীগঞ্জের মাওয়া প্রান্তের ৯ ও ১০ নম্বর পিলারের উপর বসানো হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার (১২ নভেম্বর) দুপুর ২টা ৫০ মিনিটের দিকে ৩৭তম স্প্যানটি (২-সি) বসানো হয়।
এর আগে গত ৬ নভেম্বর বসানো হয় সেতুর ৩৬তম স্প্যান। মাত্র ৬ দিনের মাথায় বসানো হলো এ স্প্যান। আর বাকি থাকলো ৪টি স্প্যান। এ মাসে আরও ২টি স্প্যান ও আগামী ডিসেম্বরে বাকি ২টি স্প্যান বসানোর সিডিউল রয়েছে বলে জানা গেছে।
পদ্মা সেতুর নির্বাহী প্রকৌশলী (মূল সেতু) দেওয়ান আব্দুল কাদের জানান, সকালে মাওয়া কনস্ট্রাকশন ইয়ার্ড থেকে ৩ হাজার ৬শ’ টন ওজন ধারণ ক্ষমতা সম্পন্ন ভাসমান ক্রেন তিয়ান-ই এর মাধ্যমে ৩ হাজার ১৪০ টন ওজনের ধূসর রঙ এর ১৫০ মিটার দৈর্ঘ্যের ৩৭তম স্প্যানটিকে নির্ধারিত ৯ ও ১০ নাম্বার পিলারের কাছে নিয়ে আসা হয়। পরে দুপুরে বসানো হয় ৩৭তম স্প্যান।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, বর্তমানে দুইটি স্প্যানের রঙ বাকি আছে। এছাড়া বাকি স্প্যানগুলোর শতভাগ কাজ সম্পন্ন আছে। পদ্মাসেতু নির্মাণে প্রয়োজন হবে ২ হাজার ৯১৭টি রোডওয়ে স্ল্যাব। এছাড়া দুই হাজার ৯৫৯টি রেলওয়ে স্ল্যাব বসানো হবে। মাওয়া ও জাজিরা প্রান্তের বসানো স্প্যানগুলোতে এসব স্ল্যাব বসানোর কাজ চলমান আছে।
উল্লেখ্য, ২০১৪ সালের ডিসেম্বরে পদ্মা সেতুর নির্মাণ কাজ শুরু হয়। ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের দ্বিতল সেতুটি কংক্রিট ও স্টিল দিয়ে নির্মাণ করা হচ্ছে। চীনের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান চায়না রেলওয়ে মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং গ্রুপ কোম্পানি লিমিটেড (এমবিইসি) মূল সেতুর কাজ ও নদীশাসনের কাজ করছে চীনের আরেকটি প্রতিষ্ঠান সিনো হাইড্রো করপোরেশন।