কৈশোর
শাহরিন সুলতানা
ইচ্ছে তারা
নাহ দিল সাড়া
তাহতে কি উড়িতে মানা ?
এই যে শুনো ,জানা অজানা
সব ই তো জানিবে, কিসের তাড়া?
হতে চাহি দিশেহারা
ধরনীর মস্ত জ্ঞানে
চলি এই পণে।
সবুর কর, সবুর কর
তাহার পর জানিবে আরো ।
একটু বসো
হিসেব কষো।
শুধু ছুটিলে , করিলে তাড়া
সে তো দিহবে না ধরা।
তবে মাটিতে পরিব লুটে , যেমন করে মানুষ মরে
দেখিতে যখন আসবে আমায় , অমনি ধরিব ঘাপুত করে।
ভুল বকিতেছ এক্কেবারে
যায় না ছোঁয়া কভু তারে।
হাওয়া হয়ে বেড়ায় ঘুরে
তবে, রাখিব তারে শিশিতে ভরে ।
রোজ সকালে খুলিব ছিপি, শুঁকে নেব একটু করে
যাতে করে জ্ঞানের আলোয় মনটা ভরে।
নাহ ,তাহ ভুল
হইওনা এতো মশগুল।
একটু ভাবো
কোথায় পাব?
তোমার আশেই
তোমার পাশেই।
পড়িল মনে
এতক্ষণে।
লাইব্রেরির সেই মস্ত ঘর
জ্ঞানের পাহাড়, জ্ঞানের সাগর।
ডেকেছে আমারে,আয়!
ছুটিবার লাগি অরসর নাহি পাই।
তবে যাই ,ভাঙিবারে তার অভিমান
উঠবস করি লবে বুঝি ধরিয়া দু কান।
শুনো, ধরনীর যত জ্ঞান লাইব্রেরীতে রাখিয়াছে লুটে
একটু খানি রহিয়াছে তবু,পারেনি সব বটে।
তা তুমি দেখ জগৎ ঘুড়িয়া
আমার তরে আনিবে কিছু শিশিতে ভরিয়া।
ঘাপুত ধরে আনিতে পারো,তাও মন্দ নয় বটে
এখন তবে যাই,ওঠছো কেন চটে?