নিজস্ব প্রতিবেদক:
পৃথিবীর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ও পাকিস্তানের সবচেয়ে উঁচু এবং দুর্গম পর্বতশৃঙ্গ কে-টু জয় করে দেশে ফিরেছেন ওয়াসফিয়া নাজরীন।
তিনিই প্রথম বাংলাদেশি, যিনি সাত মহাদেশের সাতটি সর্বোচ্চ পর্বতশৃঙ্গ জয় করেছেন। গত ২২ শে জুলাই দুর্গম পর্বতশৃঙ্গ কে-টু জয় করার ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতা তুলে ধরেন ওয়াসফিয়া।
পাকিস্তানের গিলগিট বালতিস্থানের কারাকোরাম রেঞ্জে অবস্থিত পৃথিবীর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ও দুর্গম পর্বতশৃঙ্গ কে-টু। এর উচ্চতা আট ৮ হাজার ৬১১ মিটার। পৃথীবির খুব কম ব্যক্তি রয়েছে, পর্বত জয় করে জীবিত ফিরেছেন। এরমধ্যে প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে দুর্গম এই পর্বতশৃঙ্গ কে-টু জয় করে ফিরেছেন ওয়াসফিয়া নাজরীন।
বুধবার রাজধানীর বনানীর একটি হোটেলে সংবাদ সম্মেলনে দুই মাসব্যাপী অভিযানের ভয়ঙ্কর ও রোমাঞ্চকর অভিজ্ঞতা তুলে ধরেন তিনি। বাংলাদেশের বিজয়ের যখন ৪০ তখন থেকেই সেভেন সামিট জয় করার যাত্রা শুরু করেন ওয়াসফিয়া। এজন্য ১০ বছরের কঠোর পরিশ্রমে তিনিই প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে সাত মহাদেশের সাতটি সর্বোচ্চ পর্বতশৃঙ্গ জয়ের ইতিহাস গড়েন তিনি।
এই জয়ের পিছনে জীবন বাজি রাখা ও মৃত্যুর হাত থেকে রক্ষা পাবার অভিজ্ঞতা তুলে ধরেন ওয়াসফিয়া নাজরীন।
বিশ্বের অনেক পর্বতারোহী বছরের পর বছর চেষ্টা করে কে-টু জয় করতে পারেননি জানিয়ে ওয়াসফিয়া বলেন, পিরামিডের মতো ঢাল এবং অনিশ্চিত আবহাওয়ার এই পর্বতশৃঙ্গে পা রাখতে পেরেছেন মাত্র ৪০০ পর্বতারোহী।
আর এই সাফল্যের জন্য দলের প্রতিটি সদস্যের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন ওয়াসফিা নাজরীন। বাংলাদেশের বিজয়ের ৫০ তম বার্ষিকীতে উৎসর্গ করেন তার এই সাফল্য।