ক্রীড়া ডেস্ক :

ফুটবলবিশ্বে জনপ্রিয় দলগুলোর মধ্যে শীর্ষে ব্রাজিল ও আর্জেন্টিনা। যে কারণে দল দু’টি মুখোমুখি হলেই গোটাবিশ্বে সৃষ্টি হয় উন্মাদনা।

কিন্তু এখন পর্যন্ত নান্দনিক সৌন্দর্যের দল দু’টির বিশ্বকাপ ফাইনালে মুখোমুখি হওয়া হয়নি। তবে মহাদেশীয় শ্রেষ্ঠত্বে আসর কোপা আমেরিকার ফাইনালে এর আগে দুইবার মুখোমুখি হয়েছে কিংবদন্তি পেলে ও ম্যারাডোনার দেশ। ২০০৪ ও ২০০৭ সালের দুই ফাইনালেই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী আর্জেন্টিনাকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল ব্রাজিল।

এরপর লম্বা সময় আর কোনো পর্যায়ের ফুটবলের ফাইনালে দেখা হয়নি দল দু’টির। অবশেষে দীর্ঘ ১৪ বছর পর আবারও স্বপ্নের ফাইনালে মুখোমুখি হচ্ছে দর্শকনন্দিত দুই দল আর্জেন্টিনা ও ব্রাজিল। শেষবার ২০০৭ সালে কোপার ফাইনালের মঞ্চে ব্রাজিলকে প্রতিপক্ষ হিসেবে পেয়েছিল আর্জেন্টিনা। সে ম্যাচে অবশ্য কোনো সুখস্মৃতি নেই আর্জেন্টিনার। রিকেয়লেম-মেসির আর্জেন্টিনা হেরেছিল ৩-০ ব্যবধানে। কোপা আমেরিকায় সর্বশেষ ২০১৯ সালে দুই দল মুখোমুখি হয়েছিল। সেবার ব্রাজিলের কাছেই হেরেই সেমিফাইনাল থেকে বিদায় নিয়েছিল আর্জেন্টিনা।

সম্প্রতি কোপা আমেরিকায় সুপার ক্ল্যাসিকোতেও আর্জেন্টিনার কোনো সুখস্মৃতি নেই। আর্জেন্টিনার সর্বশেষ জয় ১৯৯১ সালে, সেবার ডিয়েগো ম্যারাডোনার জাদুতে ৩-২ গোলে জয় পেয়েছিল।
১৯৯১ আসরের পর দক্ষিণ আমেরিকার মঞ্চে ছয়বার হয়েছিল সুপার ক্ল্যাসিকো। একটিতেও জয় তুলে নিতে পারেনি আর্জেন্টিনা। এবার সেই শিরোপা খরা ঘোচাতে হলে করতে হবে রেকর্ড, ৩০ বছর জয়হীন থাকার রেকর্ড ভেঙেই জিততে হবে কোপা আমেরিকা।

তবে কোপায় শিরোপা জয়ের দিকে ব্রাজিলের চেয়ে বেশ এগিয়ে আলবিসেলেস্তেরা। দুটি বিশ্বকাপজয়ী আর্জেন্টিনা এই আসরে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ১৪ বার। অন্যদিকে ৫টি বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়ন সেলেকাওরা শিরোপা জিতেছে ৯ বার। মারাকানার ফাইনালে যদি ব্রাজিলকে হারাতে পারে তবে ১৫ শিরোপা নিয়ে শীর্ষে থাকা উরুগুয়েকে ছুঁয়ে ফেলবে আর্জেন্টিনা।

সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে মোট ১০৭ ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছে ব্রাজিল ও আর্জেন্টিনা। মুখোমুখি লড়াইয়ে এগিয়ে ব্রাজিল। সেলেসাওদের ৪৮ জয়ের বিপরীতে আর্জেন্টিনার জয় ৩৪ ম্যাচে। ড্র হয়েছে ২৫ ম্যাচ।

ব্রাজিল এবারের কোপায় ফাইনালে উঠেছে পেরুকে ১-০ গোলে হারিয়ে। গত আসরের ফাইনালেও একই দলকে হারিয়ে শিরোপা জেতে সেলেসাওরা।

বাংলাদেশ সময় আগামী রবিবার সকাল ৬টায় ব্রাজিলের বিখ্যাত মারাকানা স্টেডিয়ামে হবে লিওনেল মেসি ও নেইমারের দলের শ্রেষ্ঠত্বের লড়াই।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে