এক বছরের জন্য ধার হিসেবে কুতিনহোকে নিয়েছিল বায়ার্ন মিউনিখ। নতুন করে ইউরোপীয়ান চ্যাম্পিয়ন লিগে তার সাথে স্থায়ীভাবে চুক্তি করতে অস্বীকৃতি জানায় বায়ার্ন। যার ফলে নিজের ঘর বার্সেলোনায় ফিরে এসেছেন কুতিনহো।
বুধবার (২ সেপ্টেম্বর) ব্রাজিলিয়ান প্লে-মেকার ফিলিপ কুতিনহোকে আনুষ্ঠানিক বিদায় জানিয়েছে জার্মান জায়ান্ট বায়ার্ন মিউনিখ।
তবে গত মাসেই রুমেনিগে ইঙ্গিত দিয়েছিলেন কুতিনহোর সাথে স্থায়ী কোন চুক্তি করবে না বায়ার্ন। এর আগে ২০১৮ সালে লিভারপুল থেকে হাই প্রোফাইাল ট্রান্সফারের আওতায় ২৮ বছর বয়সী কুতিনহোকে দলে ভিড়িয়েছিল বেভারিয়ান্সরা। বার্সেলোনা থেকে সাড়ে আট মিলিয়ন ইউরোতে ধারে বায়ার্নে এসেছিলেন কুতিনহো। তবে কুতিনহোকে স্থায়ীভাবে কিনতে হলে বায়ার্নকে ১২০ মিলিয়ন ইউরো ব্যয় করতে হতো, যা তারা দিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে।
বায়ার্ন চেয়ারম্যান কার্ল হেইঞ্জ রুমেনিগে বলেছিলেন, ‘অর্থনৈতিক এই মন্দার মধ্যে বড় অঙ্কের অর্থ ব্যয় করাটা আমাদের জন্য কঠিন হয়ে পড়েছে।’
বায়ার্নের হয়ে এবারের মৌসুমে ৩৮ ম্যাচে ১১টি গোল ও ৯টি এসিস্ট করেছেন কুতিনহো। এর মধ্যে কোয়ার্টার ফাইনালে বার্সেলোনার বিপক্ষে ৮-২ গোলের উড়ন্ত জয়ে কুতিনহো করেছেন দুই গোল। লিসবনের ফাইনালে পিএসজির বিপক্ষে ১-০ গোলের জয়ের ম্যাচটিতেও দ্বিতীয়ার্ধে বদলী হিসেবে খেলতে নেমেছিলেন এই ব্রাজিলিয়ান।
তাই তো রুমেনিগে বলেছেন, ‘স্বকীয়তা ও দুর্দান্ত টেকনিক দিয়ে কুতিনহো আমাদের ট্রিপল জয়ী মৌসুমে অন্যতম একজন সদস্য ছিলেন।’
গত নভেম্বরে নিকো কোভাচের পরিবর্তে বায়ার্নের প্রধান কোচ হিসেবে হান্সি ফ্লিক স্থলাভিষিক্ত হওয়ার পর থেকে কুতিনহো মূল দলে খুব কমই সুযোগ পেয়েছেন। কুতিনহোর পরিবর্তে অ্যাটাকিং মিডফিল্ডে থমাস মুলারের উপরই বেশি আস্থা রেখেছেন ফ্লিক।
তবে বার্সার নতুন কোচ রোনাল্ড কোম্যানের অধীনে কুতিনহোকে নিয়ে পরিকল্পনা হচ্ছে বলে ইঙ্গিত পাওয়া গেছে।