Dhaka ০৩:৫৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৫, ১৭ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

কাশ্মির সীমান্তে ভারত-পাকিস্তানের সেনাদের মধ্যে ব্যাপক গোলাগুলি

  • Reporter Name
  • Update Time : ০৬:২০:১৩ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৫
  • ৯ Time View

কাশ্মির সীমান্তের নিয়ন্ত্রণরেখা (এলওসি) বরাবর ভারত ও পাকিস্তানের সেনাদের মধ্যে ফের গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) রাতে এই গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। তবে এতে হতাহতের কোনও খবর পাওয়া যায়নি।

এনিয়ে টানা ছয়রাত ধরে কাশ্মির সীমান্তে ভারত ও পাকিস্তানের সেনাদের মধ্যে গোলাগুলির ঘটনা ঘটল। বুধবার (৩০ এপ্রিল) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।

অবশ্য ভারতীয় গণমাধ্যমে গোলাগুলির বিষয়ে বরাবরের মতো পাকিস্তানকে দোষারোপ করা হলেও পাকিস্তানের পক্ষ থেকে বা দেশটির সংবাদমাধ্যমে এখনও এ বিষয়ে কোনও তথ্য পাওয়া যায়নি।

এনডিটিভি বলছে, জম্মু ও কাশ্মিরের পারগওয়াল সেক্টরে আন্তর্জাতিক সীমান্তজুড়ে পাকিস্তানের দিক থেকে ভারী গুলিবর্ষণের ঘটনা ঘটেছে বলে জানিয়েছে ভারতীয় সেনাবাহিনী। পেহেলগামে ২৬ জন নিহত হওয়ার পর এই গোলাগুলি পাকিস্তানের সবচেয়ে বড় যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের ঘটনা বলে দাবি করা হয়েছে।

গত ছয় রাত ধরেই জম্মু অঞ্চলের তিনটি গুরুত্বপূর্ণ সেক্টরে লাইন অব কন্ট্রোল বা নিয়ন্ত্রণ রেখার (এলওসি)-এ পাকিস্তান একতরফাভাবে গুলি চালিয়েছে বলে দাবি করেছে ভারত। ভারতীয় সেনাবাহিনী জানিয়েছে, ভারতীয় বাহিনী প্রতিটি স্থানে “কার্যকর জবাব” দিয়েছে।

এই গোলাগুলির ঘটনা এমন এক সময়ে ঘটল যখন কয়েকদিন আগেই জম্মু ও কাশ্মিরের পেহেলগামে ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলায় ২৬ জন নিহত হয়েছেন। ২০১৯ সালের পুলওয়ামা হামলার পর কাশ্মিরে এটিই সবচেয়ে বড় হামলা।

এর আগে গত বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে প্রথমবার কাশ্মিরের নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর দুই দেশের সেনাদের মধ্যে গোলাগুলি হয়। সম্প্রতি অধিকৃত কাশ্মিরে পর্যটকদের ওপর বন্দুকধারীদের হামলার জেরে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা চরমে পৌঁছেছে।

এদিকে পেহেলগামের ভয়াবহ ওই হামলার জেরে ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক তলানিতে ঠেকেছে। দুই দেশের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ সিন্ধু পানিবণ্টন চুক্তি স্থগিত করেছে ভারত। জবাবে সিমলা চুক্তি স্থগিত ও ভারতীয় বিমানের জন্য নিজেদের আকাশসীমা বন্ধের ঘোষণা দেয় পাকিস্তান।

তাছাড়া, হামলার পরে দুই দেশই ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে প্রতিবেশী দেশের নাগরিকদের ভিসা বাতিল করে ফিরে যাওয়ার নির্দেশ দেয়। এতে ভারত ও পাকিস্তানের নাগরিকেরা নিজ নিজ দেশে ফিরে যেতে শুরু করেন।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Raj Kalam

Popular Post

কাশ্মির সীমান্তে ভারত-পাকিস্তানের সেনাদের মধ্যে ব্যাপক গোলাগুলি

Update Time : ০৬:২০:১৩ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৫

কাশ্মির সীমান্তের নিয়ন্ত্রণরেখা (এলওসি) বরাবর ভারত ও পাকিস্তানের সেনাদের মধ্যে ফের গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) রাতে এই গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। তবে এতে হতাহতের কোনও খবর পাওয়া যায়নি।

এনিয়ে টানা ছয়রাত ধরে কাশ্মির সীমান্তে ভারত ও পাকিস্তানের সেনাদের মধ্যে গোলাগুলির ঘটনা ঘটল। বুধবার (৩০ এপ্রিল) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।

অবশ্য ভারতীয় গণমাধ্যমে গোলাগুলির বিষয়ে বরাবরের মতো পাকিস্তানকে দোষারোপ করা হলেও পাকিস্তানের পক্ষ থেকে বা দেশটির সংবাদমাধ্যমে এখনও এ বিষয়ে কোনও তথ্য পাওয়া যায়নি।

এনডিটিভি বলছে, জম্মু ও কাশ্মিরের পারগওয়াল সেক্টরে আন্তর্জাতিক সীমান্তজুড়ে পাকিস্তানের দিক থেকে ভারী গুলিবর্ষণের ঘটনা ঘটেছে বলে জানিয়েছে ভারতীয় সেনাবাহিনী। পেহেলগামে ২৬ জন নিহত হওয়ার পর এই গোলাগুলি পাকিস্তানের সবচেয়ে বড় যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের ঘটনা বলে দাবি করা হয়েছে।

গত ছয় রাত ধরেই জম্মু অঞ্চলের তিনটি গুরুত্বপূর্ণ সেক্টরে লাইন অব কন্ট্রোল বা নিয়ন্ত্রণ রেখার (এলওসি)-এ পাকিস্তান একতরফাভাবে গুলি চালিয়েছে বলে দাবি করেছে ভারত। ভারতীয় সেনাবাহিনী জানিয়েছে, ভারতীয় বাহিনী প্রতিটি স্থানে “কার্যকর জবাব” দিয়েছে।

এই গোলাগুলির ঘটনা এমন এক সময়ে ঘটল যখন কয়েকদিন আগেই জম্মু ও কাশ্মিরের পেহেলগামে ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলায় ২৬ জন নিহত হয়েছেন। ২০১৯ সালের পুলওয়ামা হামলার পর কাশ্মিরে এটিই সবচেয়ে বড় হামলা।

এর আগে গত বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে প্রথমবার কাশ্মিরের নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর দুই দেশের সেনাদের মধ্যে গোলাগুলি হয়। সম্প্রতি অধিকৃত কাশ্মিরে পর্যটকদের ওপর বন্দুকধারীদের হামলার জেরে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা চরমে পৌঁছেছে।

এদিকে পেহেলগামের ভয়াবহ ওই হামলার জেরে ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক তলানিতে ঠেকেছে। দুই দেশের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ সিন্ধু পানিবণ্টন চুক্তি স্থগিত করেছে ভারত। জবাবে সিমলা চুক্তি স্থগিত ও ভারতীয় বিমানের জন্য নিজেদের আকাশসীমা বন্ধের ঘোষণা দেয় পাকিস্তান।

তাছাড়া, হামলার পরে দুই দেশই ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে প্রতিবেশী দেশের নাগরিকদের ভিসা বাতিল করে ফিরে যাওয়ার নির্দেশ দেয়। এতে ভারত ও পাকিস্তানের নাগরিকেরা নিজ নিজ দেশে ফিরে যেতে শুরু করেন।