নিজস্ব প্রতিবেদক: কারাগারে আটক জঙ্গীকে ছিনিয়ে নেয়ার হুমকি দেয়ায় সারাদেশের কারাগারে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। কারাগারে নিশ্চিদ্র নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সকল কারা কর্তৃপক্ষকে ১৮ দফা শর্তযুক্ত জরুরী চিঠি দিয়েছে কারা অধিদপ্তর।
১৮ দফা নির্দেশনায় প্রতিটি কারাগারে জেলারের নেতৃত্বে একজন ডেপুটি জেলার, ১ জন প্রধান কারারক্ষী ও ৫ জন কারারক্ষীর নেতৃত্বে একটি স্ট্রাইকিং ফোর্স গঠন করার কথা বলা হয়েছে। এই ফোর্স সম্ভাব্য আক্রমণ প্রতিরোধ বা দাঙ্গা দমনে সর্বদা প্রস্তুত থাকবে।
যেসব কারাগারে, জঙ্গী, শীর্ষ সন্ত্রাসী, বিডিআর মামলার আসামি, আইএসসহ বিভিন্ন সংবেদনশীল মামলার আসামি আটক রয়েছে সেসব কারাগারে তাদের চলাচল ও গতিবিধি নজরদারি করতে বলা হয়েছে। এছাড়া তাদের জন্য বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
এছাড়া সকল কারা কর্মকর্তা-কর্মচারীকে সর্বোচ্চ সতর্কতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করতে হবে। কারাগারের আরপি গেটে বাধ্যতামূলকভাবে বুলেটপ্রুফ জ্যাকেট পরে হ্যান্ডহেল্ড মেটাল ডিটেক্টরসহ কঠোরভাবে তল্লাশি কার্যক্রম পরিচালনা করা ও প্রয়োজনে অভ্যাগতদের সবার পরিচয় জানতে নিশ্চিত করতে হবে। প্রয়োজনীয় সংখ্যক সশস্ত্র সেন্ট্রির ডিউটির ব্যবস্থা করা, অস্ত্র ও অস্ত্রাগারের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, প্রয়োজন হলে অস্ত্রাগার থেকে অস্ত্র ও গোলাবারুদ সংগ্রহের মহড়া দেয়া।
কারা অধিদফতরের চিঠিতে বলা হয়, দুষ্কৃতকারীদের অপতৎপরতা নস্যাত করে বন্দী পলায়নসহ যে কোন দুর্ঘটনা রোধ করতে তৎপর থাকা কারা কর্তৃপক্ষের সকল কর্মকর্তা কর্মচারীর প্রধান ও অন্যতম দায়িত্ব। চিঠিতে আরও বলা হয়, সম্প্রতি কিছু কারাগারে নিরাপত্তা ব্যবস্থায় শৈথিল্যের প্রমাণ পাওয়া গেছে। তাই সকল কারাগারে নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিদ্র করার জন্য দায়িত্বপ্রাপ্তদের নির্দেশনা প্রদান করা হলো।
জঙ্গীরা চিঠি পাঠিয়ে ও মোবাইলে কারাগারে আটক বন্দী জঙ্গীদের ছিনিয়ে নেয়ার হুমকি দিয়েছে কারা কর্তৃপক্ষকে। কারাগারে পাঠানো এমন এক চিঠির প্রেক্ষিতে দেশের সকল কারাগারে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সকল কারা কর্তৃপক্ষকে ১৮ দফা শর্তযুক্ত অতীব জরুরী চিঠি দিয়েছে কারা অধিদফতর। দেশের সকল কারাগারে যে কোন প্রকার হামলা প্রতিহত করতে জেলারের নেতৃত্বে স্ট্রাইকিং ফোর্স গঠন করেছে দেশের প্রতিটি কারা কর্তৃপক্ষ।
কারাগার থেকে আদালতে আনা-নেয়ার সময় রাস্তায় কিংবা কারাভ্যন্তরে অবস্থান করা অবস্থায় যে কোন সময়ই এসব জঙ্গীকে ছিনিয়ে নেয়ার পরিকল্পনা করা হচ্ছে এমন কথা চিঠিতে বলা হয়েছে।
সোমবার বোমা মেরে উড়িয়ে দিয়ে সঙ্গীদের মুক্ত করার হুমকি দিয়ে লালমনিরহাট জেলা কারাগারের সুপার কিশোর কুমার নাগকে একটি টেলিটক নাম্বার থেকে বার্তা পাঠানো হয়।