মোঃ আনোয়ার হোসেন কাজিপুর প্রতিনিধিঃ
সোনামুখি ইউনিয়নে স্থল বাড়ি গ্রামে অলৌকিক একটা ঘটনা ঘটে গেছে দুই রমজানে কালবৈশাখী ঝড়ে বটগাছটি উপড়ে পড়ে যায়, বট গাছটি ১৫ দিন আগে এক ব্যাপারির কাছে বিক্রি করা হয় এবং ডালপালা সব সেটে দেওয়া হয়, হঠাৎ করে আজ সকাল সোয়া সাতটা সময় গাছটা একা একাই আগে যে রকম ছিলো ঠিক সেই রকমই হয়ে যায়।
শনিবার(১১ জুন) দুপুরে সরেজমিন ওই গাছের নিকট গিয়ে দেখা গেছে হঠাৎ দাঁড়িয়ে যাওয়া ওই বটগাছের চারপাশ ঘিরে বেড়া দিচ্ছেন স্থানীয়রা। গাছের গোড়ায় জায়নামাজ বিছিয়ে দেয়া হয়েছে। এরইমধ্যে কেউ কেউ সেখানে টাকা পয়সাও ফেলেছে।
সেখানে উপস্থিত ওই বট গাছটির পাশের বাড়ির সোবহান মিয়া(৬৪) জানান, সকালে ওই বটগাছের পাশে অবস্থিত মসজিদে ফজরের নামাজ পড়েছি। যাবার সময়ও দেখেছি গাছটি পড়েই ছিলো। নামাজ পড়ে কোরআন তেলায়াত করছি। এসময় আনুমানিক সোয়া সাতটার দিকে কয়েকজন ছেলেপেলে চিৎকার করে বলতে থাকে দেখো দেখো বটগাছ নড়ছে। বাইরে এসে দেখি সত্যিই বটগাছটি সোজা পূর্বের মতো দাঁড়িয়ে গেছে।
সেখানে উপস্থিত স্থলবাড়ি গ্রামের স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতা মাহবুবুর রহমান বিপ্লব জানান, বটগাছটি উপড়ে গেলে ওটা বিক্রি করে দেয়া হয় বলে শুনেছি। যারা কিনেছে তারা পুরো গাছটির ডালপালা কেটে শুধু পনের হাত লম্বা কান্ডটি রেখে দিয়েছিলো। সকালে খবর পেলাম সেটা দাঁড়িয়ে গেছে। এসে দেখি সত্যিই তাই।
এসময় ওই গ্রামের প্রবীণ মুরব্বি লুৎফর রহমান বলেন, ‘কয়দিন আগে ওই গাছের কাছ(নিকট) থাইকা সাপুড়ে আইসা চারডা গোখরো সাপ ধইরা নিয়া গ্যাছে।গাছ ভাইঙ্গা পড়ায় ওগুইল্লা(সাপ) আশপাশে পলায়া (পালিয়ে) আছিলো। আবার আইজক্যা গাছ খাড়ায়া গেলো। সবই আল্লাহ ইচ্ছা। বাপ জন্মেও এমন ঘটনা দেহি নাই।
ওই গ্রামের ইউপি সদস্য আনোয়ার মুন্সী জানান, ঝড়ে উপড়ে পড়া গাছটির ছবি আমার ফোনে রয়েছে। তখন আমি সাথে থেকে ওই গাছটি বিক্রি করে দিয়েছিলাম। যারা কিনেছে তারা এরইমধ্যে কান্ডটি রেখে ডালপালা কেটে নিয়েছে। কিন্তু সেই উপডানো গাছের কান্ডটি আজকে দাঁড়িয়ে গেছে।