অভিনেত্রী শ্রীলেখা মিত্রের সংসার ভেঙেছে সেই অনেক আগে। এখনো কি তিনি ‘প্রাক্তন’ স্বামী পরিচালক শিলাদিত্য সান্যালকে মিস করছেন? ১৭ বছর আগে আজকের দিনে অর্থাৎ ২০ নভেম্বর বিয়ে করেছিলেন তাঁরা। বিয়ের মুহূর্তের দুটো ছবি পোস্ট করে স্মৃতি ভাগ করে নিয়েছেন অভিনেত্রী।

সঙ্গে মনছোঁয়া ক্যাপশন, ‘আজ হতে পারত আমাদের ১৭ তম বিবাহবার্ষিকী। হ্যান্ডসাম না আমার প্রাক্তন? তাই তো আর সেভাবে কাউকে মনে ধরল না…।’

সঙ্গে বিধিবদ্ধ সতর্কীকরণ, ‘দুঃখের ইমোজি আর শুভ বিবাহবার্ষিকী বললে ততক্ষণাৎ আনফ্রেন্ড করব!’

শ্রীলেখা স্মৃতিতে ডুব দিলেন? বাকি তারকারা যখন বিয়ে, বিবাহ বিচ্ছেদ ‘পুরোটাই ব্যক্তিগত’ বলে এড়িয়ে যান তখন এই রকম স্পর্শকাতর বিষয় নিয়েও আনন্দবাজার ডিজিটালের কাছে অকপট অভিনেত্রী। বললেন, ‘‘ভারাক্রান্ত নয়, মনে পড়ছে। মনে করছি। আজকের দিনেই তো ভালবেসে সাত পাক ঘুরেছিলাম। আমার মেয়ের বাবা আফটার অল। তাঁকে ভুলি বা অস্বীকার করি কী করে?”

এ কথাও জানাতে ভুললেন না, জীবনসঙ্গী পছন্দের ক্ষেত্রে মানসিকতার পাশাপাশি বাহ্যিক রূপের দিকেও জোর দেন তিনি। একটু খুঁতখুঁতেমি আছে তাঁর এই ব্যপারে। তাই-ই এত বছরেও আর কাউকে বেছে নিতে পারলেন না। এখনও তাঁর চোখে সেরা ‘হ্যান্ডসাম’ তাঁর ‘প্রাক্তন’।

Aaj hote parto amader 17th anniversary. Handsome na amar ex? Taito r sebhabe kauke mone dhorlona????(sad emoji r happy anniversary bolle totkhonat unfriend kora hobe…statutory warning)

শিলাদিত্যও কি বিশেষ দিনে এ ভাবেই মনে করেন শ্রীলেখাকে? কথা হয় এই দিনে তাঁদের? শ্রীলেখা আত্মবিশ্বাসী, ‘‘নিশ্চয়ই মনে করে! হয়ত আমার মতো করে প্রকাশ করে না। আমাদের মধ্যে কোনও তিক্ততা নেই। ফলে, মনে না করারও কোনও কারণ নেই। তাছাড়া, আমার মধ্যে রসবোধ যথেষ্ট। নিজেকে নিয়ে মজা করতে ভালবাসি। সেটা আজকের পোস্ট আর ক্যাপশন দেখলেই বোঝা যাবে। আমার কোনও বিষয় নিয়েই ন্যাকামি নেই, সেটাও বুঝে গিয়েছেন অনুরাগীরা।’’

সম্ভবত সেই জন্যেই মাত্র কয়েক ঘণ্টায় পোস্ট সাত হাজারের উপর!

শ্রীলেখার আরও দাবি, দু’জন ভাল মানুষও চিরকাল এক ছাদের নীচে না-ই থাকতে পারেন। বন্ধুত্ব রয়েই যায়। তাই শিলাদিত্য-শ্রীলেখার মেয়ে ‘হ্যাপি চাইল্ড’। ‘‘আমরা একে অন্যের বাড়ি যাই। কথা হয়। শুধু ছাদটুকু শেয়ার করি না, এই যা।’’

এটা কি অনেক লড়াইয়ের মধ্যে দিয়ে যাওয়া শ্রীলেখার উপলব্ধি? ‘‘বলতে পারেন পরিণতমনস্কতা। আমি যেমন ১-এ আটকে, অনেকে হয়ত একাধিক বার ‘সোল মেট’ খোঁজেন। সেটাও অন্যায় নয়। কারওর ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে কাটাছেঁড়া করার অধিকার বোধহয় কারওরই নেই। ঠিক যেমন বেডরুমে ঢোকার কোনও অধিকার থাকে না বাইরের লোকের।’’

ইদানিং শ্রাবন্তীর তৃতীয় বিবাহবিচ্ছেদ নিয়ে সরব সোশ্যাল মিডিয়া এবং সংবাদমাধ্যম। উপরে বলা কথার মাধ্যমে কি সহকর্মীর প্রতি সহমর্মিতা প্রকাশ করলেন শ্রীলেখা?

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে