Dhaka ০৪:৪৯ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৮ মে ২০২৫, ২৪ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম:
বাংলাদেশি হলে গ্রহণ করা হবে, ভারতের পুশইন ইস্যুতে নিরাপত্তা উপদেষ্টা আপাতত গ্যাস-বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেই: উপদেষ্টা দেশের প্রধান অর্থনৈতিক উদ্বেগ মূল্যস্ফীতি তিউনিশিয়া থেকে ১৫৬ কোটি ব্যয়ে ২৫ হাজার টন সার কিনবে সরকার অনলাইনে রিটার্ন ১৬ লাখ ছাড়িয়েছে উপদেষ্টাদের বিদেশ সফরের বিল সংক্রান্ত ইস্যুতে নতুন নির্দেশনা পাক-ভারত সংঘাত : সীমান্তের জেলাগুলোতে পুলিশকে সতর্ক থাকার নির্দেশ ভাঙা হবে কমলাপুর স্টেশন, হবে ‘মাল্টিমোডাল ট্রান্সপোর্ট হাব’ সশস্ত্র বাহিনীকে পাল্টা জবাব দেওয়ার অনুমতি দিলো পাকিস্তান ‘বউ যেন সব স্বর্ণ নিয়ে যায় আর বাকি সবকিছু মায়ের জন্য’

কলকাতা নাইট রাইডার্সের বিপক্ষে সহজ জয় পেল মুম্বাই

  • Reporter Name
  • Update Time : ০১:২৬:১৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৭ অক্টোবর ২০২০
  • ১৮১ Time View

কলকাতা নাইট রাইডার্সের বিপক্ষে নিজেদের উড়ন্ত ফর্ম ধরে রাখল মুম্বাই ইন্ডিয়ানস। প্রথম সাক্ষাতের পর দ্বিতীয়বারেও সহজ জয় পেয়েছে আইপিএলের বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা। যার সুবাদে ফের পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষস্থান দখল করেছে তারা।

এবারের আসরে পয়েন্ট টেবিলের শ্রেষ্ঠত্ব নিয়ে দিল্লি ক্যাপিট্যালস ও মুম্বাই ইন্ডিয়ানসের মধ্যে চলছে নীরব লড়াই। মুম্বাইয়ের আগেই অষ্টম ম্যাচ খেলে ফেলা দিল্লি ছয় জয়ে উঠে গিয়েছিল এক নম্বরে। তবে তাদের নিচে নামিয়ে সিংহাসনে বসতে সময় নেয়নি মুম্বাই।

শুক্রবার রাতে কলকাতার বিপক্ষে ৮ উইকেটের বড় ব্যবধানের জয়ে ফের দিল্লিকে সরিয়ে আইপিএলের সিংহাসনে বসেছে মুম্বাই। আগে ব্যাট করে ১৪৮ রানে থেমেছিল কলকাতার ইনিংস। জবাবে মাত্র ২ উইকেট হারিয়ে ১৯ বল হাতে রেখেই ম্যাচ জিতে  নিয়েছে মুম্বাই।

কলকাতার করা ১৪৮ রান তাড়া করতে নেমে উদ্বোধনী জুটিতেই সহজ জয় নিশ্চিত করে ফেলেন অধিনায়ক রোহিত শর্মা ও উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান কুইন্টন ডি কক। দুজনের জুটিতে আসে ৯৪, মাত্র ১০.৩ ওভারে। শেষের ৫৭ বলে বাকি থাকে আর মাত্র ৫৫ রান।

অপরপ্রান্তে ডি কক আক্রমণাত্মক খেলছিলেন বিধায় রোহিত খোলস ছেড়ে বের হননি। আউট হওয়ার আগে ৩৬ বল খেলে করেন ৩৫ রান, ততক্ষণে মাত্র ২৭ বলে ৫৪ রান করে ফেলেন ডিক কক। সুর্যকুমার যাদব বেশিক্ষণ থাকতে পারেননি, ফিরে যান ১০ বলে ১০ রান করে।

তবে চার নম্বরে নামা হার্দিক পান্ডিয়া আর উইকেট পড়তে দেননি। ডি ককের সঙ্গে অবিচ্ছিন্ন তৃতীয় জুটিতে যোগ করেন ২০ বলে ৩৮; নিজে ৩ চার ও ১ ছয়ের মারে অপরাজিত থাকেন ২১ রান করে। ইনিংসের ১৭তম ওভারের পঞ্চম বলে উইনিং শটটাও আসে তার ব্যাট থাকে।

অন্যদিকে মুম্বাইয়ের জয়ের নায়ক ও ম্যাচসেরা খেলোয়াড় ডি কক খেলেন আইপিএলে নিজের তৃতীয় সর্বোচ্চ রানের ইনিংস। দলকে জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন ৪৪ বলে ৯ চার ও ৩ ছয়ে ৭৮ রান করে। এ ইনিংসের সুবাদেই মূলত সহজ জয় পেয়েছে মুম্বাই।

এর আগে নতুন অধিনায়ক ইয়ন মরগ্যানের প্রথম ম্যাচে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকেই নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে কেকেআর। দুই অংকে যেতে পারেননি রাহুল ত্রিপাথি (৯ বলে ৭), নিতিশ রানা (৬ বলে ৫) ও অধিনায়কত্ব ছেড়ে দীনেশ কার্তিক (৮ বলে ৪)। ধরে খেললেও ইনিংস বড় করতে পারেননি শুভমান গিল (২৩ বলে ২১)।

ইনিংসের অষ্টম ওভারে দলের মাত্র ৪২ রানের মাথায় সাজঘরে ফিরে যান এ চার ব্যাটসম্যান। এর মধ্যে রাহুল চাহারের পরপর দুই বলে আউট হন শুভমান ও কার্তিক। ফলে জাগে হ্যাটট্রিকের সম্ভাবনা। সেই বলটি সহজভাবেই খেলেন ছয় নম্বরে নামা আন্দ্রে রাসেল। তবে তিনিও উইকেট থাকতে পারেননি উইকেটে।

জাসপ্রিত বুমরাহর বাউন্সারে পুরোপুরি পরাস্ত হয়ে কুইন্টন ডি ককের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন ৯ বলে ১ চার ও ১ ছয়ের মারে ১২ রান করা রাসেল। মাত্র ৬১ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে তখন কঠিন বিপদের মাঝে কলকাতা, চলে গিয়েছিল ১১টি ওভার। সেখান থেকে আর উইকেট পড়তে দেননি অধিনায়ক মরগ্যান ও প্যাট কামিনস।

দুজন মিলে অবিচ্ছিন্ন ষষ্ঠ উইকেট জুটিতে মাত্র ৫৬ বলে করেন ৮৭ রান। নাথান কাউল্টার নাইলের করা শেষ ওভার থেকেই নেন ২১ রান। তার আগের ওভারেই নিজের ফিফটি পূরণ করেন কামিনস। শেষপর্যন্ত ৫ চার ও ২ ছয়ে ৩৬ বলে ৫৩ রান করেন কামিনস। অধিনায়ক মরগ্যানে ব্যাট থেকে আসে দুইটি করে চার-ছয়ের মারে ২৯ বলে ৩৯ রানের ইনিংস।

মুম্বাইয়ের পক্ষে ৪ ওভারে মাত্র ১৮ রান খরচায় ২টি উইকেট শিকার করেন রাহুল চাহার। এছাড়া ট্রেন্ট বোল্ট, নাথান কাউল্টার নিল এবং ট্রেন্ট বোল্ট নেন ১টি করে উইকেট।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Raj Kalam

বাংলাদেশি হলে গ্রহণ করা হবে, ভারতের পুশইন ইস্যুতে নিরাপত্তা উপদেষ্টা

কলকাতা নাইট রাইডার্সের বিপক্ষে সহজ জয় পেল মুম্বাই

Update Time : ০১:২৬:১৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৭ অক্টোবর ২০২০

কলকাতা নাইট রাইডার্সের বিপক্ষে নিজেদের উড়ন্ত ফর্ম ধরে রাখল মুম্বাই ইন্ডিয়ানস। প্রথম সাক্ষাতের পর দ্বিতীয়বারেও সহজ জয় পেয়েছে আইপিএলের বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা। যার সুবাদে ফের পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষস্থান দখল করেছে তারা।

এবারের আসরে পয়েন্ট টেবিলের শ্রেষ্ঠত্ব নিয়ে দিল্লি ক্যাপিট্যালস ও মুম্বাই ইন্ডিয়ানসের মধ্যে চলছে নীরব লড়াই। মুম্বাইয়ের আগেই অষ্টম ম্যাচ খেলে ফেলা দিল্লি ছয় জয়ে উঠে গিয়েছিল এক নম্বরে। তবে তাদের নিচে নামিয়ে সিংহাসনে বসতে সময় নেয়নি মুম্বাই।

শুক্রবার রাতে কলকাতার বিপক্ষে ৮ উইকেটের বড় ব্যবধানের জয়ে ফের দিল্লিকে সরিয়ে আইপিএলের সিংহাসনে বসেছে মুম্বাই। আগে ব্যাট করে ১৪৮ রানে থেমেছিল কলকাতার ইনিংস। জবাবে মাত্র ২ উইকেট হারিয়ে ১৯ বল হাতে রেখেই ম্যাচ জিতে  নিয়েছে মুম্বাই।

কলকাতার করা ১৪৮ রান তাড়া করতে নেমে উদ্বোধনী জুটিতেই সহজ জয় নিশ্চিত করে ফেলেন অধিনায়ক রোহিত শর্মা ও উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান কুইন্টন ডি কক। দুজনের জুটিতে আসে ৯৪, মাত্র ১০.৩ ওভারে। শেষের ৫৭ বলে বাকি থাকে আর মাত্র ৫৫ রান।

অপরপ্রান্তে ডি কক আক্রমণাত্মক খেলছিলেন বিধায় রোহিত খোলস ছেড়ে বের হননি। আউট হওয়ার আগে ৩৬ বল খেলে করেন ৩৫ রান, ততক্ষণে মাত্র ২৭ বলে ৫৪ রান করে ফেলেন ডিক কক। সুর্যকুমার যাদব বেশিক্ষণ থাকতে পারেননি, ফিরে যান ১০ বলে ১০ রান করে।

তবে চার নম্বরে নামা হার্দিক পান্ডিয়া আর উইকেট পড়তে দেননি। ডি ককের সঙ্গে অবিচ্ছিন্ন তৃতীয় জুটিতে যোগ করেন ২০ বলে ৩৮; নিজে ৩ চার ও ১ ছয়ের মারে অপরাজিত থাকেন ২১ রান করে। ইনিংসের ১৭তম ওভারের পঞ্চম বলে উইনিং শটটাও আসে তার ব্যাট থাকে।

অন্যদিকে মুম্বাইয়ের জয়ের নায়ক ও ম্যাচসেরা খেলোয়াড় ডি কক খেলেন আইপিএলে নিজের তৃতীয় সর্বোচ্চ রানের ইনিংস। দলকে জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন ৪৪ বলে ৯ চার ও ৩ ছয়ে ৭৮ রান করে। এ ইনিংসের সুবাদেই মূলত সহজ জয় পেয়েছে মুম্বাই।

এর আগে নতুন অধিনায়ক ইয়ন মরগ্যানের প্রথম ম্যাচে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকেই নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে কেকেআর। দুই অংকে যেতে পারেননি রাহুল ত্রিপাথি (৯ বলে ৭), নিতিশ রানা (৬ বলে ৫) ও অধিনায়কত্ব ছেড়ে দীনেশ কার্তিক (৮ বলে ৪)। ধরে খেললেও ইনিংস বড় করতে পারেননি শুভমান গিল (২৩ বলে ২১)।

ইনিংসের অষ্টম ওভারে দলের মাত্র ৪২ রানের মাথায় সাজঘরে ফিরে যান এ চার ব্যাটসম্যান। এর মধ্যে রাহুল চাহারের পরপর দুই বলে আউট হন শুভমান ও কার্তিক। ফলে জাগে হ্যাটট্রিকের সম্ভাবনা। সেই বলটি সহজভাবেই খেলেন ছয় নম্বরে নামা আন্দ্রে রাসেল। তবে তিনিও উইকেট থাকতে পারেননি উইকেটে।

জাসপ্রিত বুমরাহর বাউন্সারে পুরোপুরি পরাস্ত হয়ে কুইন্টন ডি ককের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন ৯ বলে ১ চার ও ১ ছয়ের মারে ১২ রান করা রাসেল। মাত্র ৬১ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে তখন কঠিন বিপদের মাঝে কলকাতা, চলে গিয়েছিল ১১টি ওভার। সেখান থেকে আর উইকেট পড়তে দেননি অধিনায়ক মরগ্যান ও প্যাট কামিনস।

দুজন মিলে অবিচ্ছিন্ন ষষ্ঠ উইকেট জুটিতে মাত্র ৫৬ বলে করেন ৮৭ রান। নাথান কাউল্টার নাইলের করা শেষ ওভার থেকেই নেন ২১ রান। তার আগের ওভারেই নিজের ফিফটি পূরণ করেন কামিনস। শেষপর্যন্ত ৫ চার ও ২ ছয়ে ৩৬ বলে ৫৩ রান করেন কামিনস। অধিনায়ক মরগ্যানে ব্যাট থেকে আসে দুইটি করে চার-ছয়ের মারে ২৯ বলে ৩৯ রানের ইনিংস।

মুম্বাইয়ের পক্ষে ৪ ওভারে মাত্র ১৮ রান খরচায় ২টি উইকেট শিকার করেন রাহুল চাহার। এছাড়া ট্রেন্ট বোল্ট, নাথান কাউল্টার নিল এবং ট্রেন্ট বোল্ট নেন ১টি করে উইকেট।