Dhaka ১০:২১ অপরাহ্ন, সোমবার, ০৭ জুলাই ২০২৫, ২৩ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম:
মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত ইতিহাস তুলে ধরতে বললেন প্রধান উপদেষ্টা দেশের জনসংখ্যার বেশির ভাগই কর্মক্ষম: ইউএনএফপিএ মঙ্গলবার ঢাকায় আসছেন তুরস্কের প্রতিরক্ষা শিল্প সংস্থার প্রধান জাতীয় পার্টির মহাসচিব হলেন শামীম হায়দার পাটোয়ারী ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেছেন জাপানি পর্ন তারকা, রাখছেন রোজাও জুনে মূল্যস্ফীতি কমে ৮.৪৮ শতাংশ, খাদ্যে দুই বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন: বিবিএস ডেঙ্গুতে আরও ৩ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ৪৯২ মিয়ানমারে তুমুল সংঘর্ষ, পালাচ্ছেন হাজার হাজার মানুষ চালের দাম বৃদ্ধি বন্ধে নজরদারি চলছে: খাদ্য উপদেষ্টা টেক্সাসের বন্যায় চরম বিপর্যয়, মার্কিন আবহাওয়া বিভাগের সক্ষমতা নিয়ে প্রশ্ন

কলকাতা-ঢাকা মৈত্রী পরিষদের দ্বিতীয় প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপিত

  • Reporter Name
  • Update Time : ০৪:২৯:০৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ১২ ডিসেম্বর ২০২০
  • 304

নিজস্ব প্রতিবেদক:

‘দুর্দান্ত শপথে বাংলা ও বাঙালির পক্ষে আমাদের পথচলা’ এই শ্লোগানকে ধারণ করে বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে কলকাতা-ঢাকা মৈত্রী পরিষদের দ্বিতীয় প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত হয়েছে।

শনিবার (১২ ডিসেম্বর) ঢাকাস্থ নোয়াখালী জেলা সমিতি মিলনায়তনে গুণীজন সংবর্ধনা,স্মরণিকার মোড়ক উন্মোচন এবং বিকেলে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে সাহিত্য, সংস্কৃতি, সাংবাদিকতা ও সামাজিকতায় বিশেষ অবদান রাখায় ৬ জন বিশেষ ব্যক্তিকে বঙ্গমৈত্রী পদক প্রদান করা হয়।

সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি রফিকুল আনোয়ারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ভূমি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য উম্মে ফাতেমা নাজমা বেগম এমপি, তথ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সদস্য জাকিয়া পারভীন খানম এমপি, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান ও নোয়াখালী সমিতির সভাপতি মোহাম্মদ শাহাব উদ্দিন, বাংলাদেশ পুলিশের অতিরিক্ত ডিআইজি মো. আবু সুফিয়ান, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের ডেপুটি এ্যাটর্নি জেনারেল একেএম আমিন উদ্দিন মানিক, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতা ইস্কান্দার মির্জা শামীম,ইসমাইল হোসেন টিটুসহ গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও কলকাতা-ঢাকা মৈত্রী পরিষদের সম্মানিত সদস্যবৃন্দ।

অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথি উম্মে ফাতেমা নাজমা বেগম এমপি বলেন, কলকাতা-বাংলাদেশ এই দুই বাংলার ভাষা এক, সংস্কৃতি এক ও অভিন্ন। কাঁটাতারের বেড়ায় ভৌগোলিক সীমানা পৃথক হলেও ঐতিহ্যে আমরা এক ও অভিন্ন। আমরা কথা বলি বাংলা ও বাঙালির। তিনি কলকাল-ঢাকা মৈত্রী পরিষদের প্রতিষ্ঠাতা রফিকুল আনোয়ারকে সাধুবাদ জানান।

কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান ও নোয়াখালী সমিতির সভাপতি মোহাম্মদ শাহাবুদ্দিন তার বক্তব্যে বলেন, কলকাতা-ঢাকা মৈত্রী পরিষদ শুধু বাংলা ও বাঙালির প্রতিনিধিত্ব নয়, প্রতিনিধিত্ব করবে পৃথিবীর যে কোন ভাষাবাসীর ঐক্য, ইতিহাস ও ঐতিহ্যের। তিনি কলকাতা-ঢাকা মৈত্রী পরিষদের সর্বাঙ্গীন মঙ্গল কামনা করেন।
সভাপতির ভাষণে সংগঠনের সভাপতি মো. রফিকুল আনোয়ার বলেন, এই সংগঠনটির শুরুতে অনেকের সহযোগিতা না পেলেও বর্তমানে সংগঠনটির গতি বাড়ছে।

গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রী, সংসদ সদস্য; পশ্চিমবঙ্গ সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রী,দুই বাংলার বিভিন্ন সমাজসেবক,লেখক, সাহিত্যিক ও সাংবাদিকরা আমাদের উৎসাহ প্রদান করে যাচ্ছেন। ইতিমধ্যে বাংলাদেশ-ভারতের প্রায় ৪ শতাধিক বিশিষ্ট ব্যক্তি কলকাতা-ঢাকা মৈত্রী পরিষদের সদস্যপদ গ্রহণ করেছেন।

চলতি বছরের ২৭ সেপ্টেম্বর পশ্চিমবঙ্গ সরকারের পঞ্চায়েত মন্ত্রী অধ্যাপক শ্যামল সাঁতরা ও বিষয়ক মানক মজুমদারের পৌরহিত্যে এক আন্তর্জাতিক সম্মেলনে সংগঠনটির সভাপতি হিসেবে আমার নাম এবং সাধারণ সম্পাদক হিসেবে ড. মহীতোষ বাবুর নাম ঘোষণা করেন। পরবর্তীতে আমরা ৮৫ সদস্যের একটি পূর্ণাঙ্গ কার্যকরি কমিটি গঠন করি। তিনি এপার বাংলা-ওপার বাংলার সকলের সহযোগিতা নিয়ে সংগঠনটি এগিয়ে নেয়ার দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। করোনার এই মহাসংকটকালে অনুষ্ঠানে আগত সম্মানিত অতিথি ও সদস্যদের তিনি আন্তরিক ধন্যবাদ জানান।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Raj Kalam

মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত ইতিহাস তুলে ধরতে বললেন প্রধান উপদেষ্টা

কলকাতা-ঢাকা মৈত্রী পরিষদের দ্বিতীয় প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপিত

Update Time : ০৪:২৯:০৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ১২ ডিসেম্বর ২০২০

নিজস্ব প্রতিবেদক:

‘দুর্দান্ত শপথে বাংলা ও বাঙালির পক্ষে আমাদের পথচলা’ এই শ্লোগানকে ধারণ করে বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে কলকাতা-ঢাকা মৈত্রী পরিষদের দ্বিতীয় প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত হয়েছে।

শনিবার (১২ ডিসেম্বর) ঢাকাস্থ নোয়াখালী জেলা সমিতি মিলনায়তনে গুণীজন সংবর্ধনা,স্মরণিকার মোড়ক উন্মোচন এবং বিকেলে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে সাহিত্য, সংস্কৃতি, সাংবাদিকতা ও সামাজিকতায় বিশেষ অবদান রাখায় ৬ জন বিশেষ ব্যক্তিকে বঙ্গমৈত্রী পদক প্রদান করা হয়।

সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি রফিকুল আনোয়ারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ভূমি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য উম্মে ফাতেমা নাজমা বেগম এমপি, তথ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সদস্য জাকিয়া পারভীন খানম এমপি, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান ও নোয়াখালী সমিতির সভাপতি মোহাম্মদ শাহাব উদ্দিন, বাংলাদেশ পুলিশের অতিরিক্ত ডিআইজি মো. আবু সুফিয়ান, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের ডেপুটি এ্যাটর্নি জেনারেল একেএম আমিন উদ্দিন মানিক, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতা ইস্কান্দার মির্জা শামীম,ইসমাইল হোসেন টিটুসহ গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও কলকাতা-ঢাকা মৈত্রী পরিষদের সম্মানিত সদস্যবৃন্দ।

অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথি উম্মে ফাতেমা নাজমা বেগম এমপি বলেন, কলকাতা-বাংলাদেশ এই দুই বাংলার ভাষা এক, সংস্কৃতি এক ও অভিন্ন। কাঁটাতারের বেড়ায় ভৌগোলিক সীমানা পৃথক হলেও ঐতিহ্যে আমরা এক ও অভিন্ন। আমরা কথা বলি বাংলা ও বাঙালির। তিনি কলকাল-ঢাকা মৈত্রী পরিষদের প্রতিষ্ঠাতা রফিকুল আনোয়ারকে সাধুবাদ জানান।

কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান ও নোয়াখালী সমিতির সভাপতি মোহাম্মদ শাহাবুদ্দিন তার বক্তব্যে বলেন, কলকাতা-ঢাকা মৈত্রী পরিষদ শুধু বাংলা ও বাঙালির প্রতিনিধিত্ব নয়, প্রতিনিধিত্ব করবে পৃথিবীর যে কোন ভাষাবাসীর ঐক্য, ইতিহাস ও ঐতিহ্যের। তিনি কলকাতা-ঢাকা মৈত্রী পরিষদের সর্বাঙ্গীন মঙ্গল কামনা করেন।
সভাপতির ভাষণে সংগঠনের সভাপতি মো. রফিকুল আনোয়ার বলেন, এই সংগঠনটির শুরুতে অনেকের সহযোগিতা না পেলেও বর্তমানে সংগঠনটির গতি বাড়ছে।

গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রী, সংসদ সদস্য; পশ্চিমবঙ্গ সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রী,দুই বাংলার বিভিন্ন সমাজসেবক,লেখক, সাহিত্যিক ও সাংবাদিকরা আমাদের উৎসাহ প্রদান করে যাচ্ছেন। ইতিমধ্যে বাংলাদেশ-ভারতের প্রায় ৪ শতাধিক বিশিষ্ট ব্যক্তি কলকাতা-ঢাকা মৈত্রী পরিষদের সদস্যপদ গ্রহণ করেছেন।

চলতি বছরের ২৭ সেপ্টেম্বর পশ্চিমবঙ্গ সরকারের পঞ্চায়েত মন্ত্রী অধ্যাপক শ্যামল সাঁতরা ও বিষয়ক মানক মজুমদারের পৌরহিত্যে এক আন্তর্জাতিক সম্মেলনে সংগঠনটির সভাপতি হিসেবে আমার নাম এবং সাধারণ সম্পাদক হিসেবে ড. মহীতোষ বাবুর নাম ঘোষণা করেন। পরবর্তীতে আমরা ৮৫ সদস্যের একটি পূর্ণাঙ্গ কার্যকরি কমিটি গঠন করি। তিনি এপার বাংলা-ওপার বাংলার সকলের সহযোগিতা নিয়ে সংগঠনটি এগিয়ে নেয়ার দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। করোনার এই মহাসংকটকালে অনুষ্ঠানে আগত সম্মানিত অতিথি ও সদস্যদের তিনি আন্তরিক ধন্যবাদ জানান।