আবুধাবির শেখ জায়েদ স্টেডিয়ামে টস জিতে মুম্বাইকে আগে ব্যাটিং করার আমন্ত্রণ জানায় কলকাতা। শুরুতেই কুইন্টন ডি কককে (১) সাজঘরে ফিরিয়ে অধিনায়কের সিদ্ধান্তের প্রতিদান দিয়েছিলেন শিবম মাবী। তবে সে ধারণা বেশিক্ষণ টেকেনি। দ্বিতীয় উইকেটে ঝড়ো গতিতে রান তুলতে থাকেন সূর্যকুমার যাদব ও অধিনায়ক রোহিত। ৯০ রানের জুটি গড়ে বিদায় নেন সূর্যকুমার। তার ব্যাট থেকে আসে ২৮ বলে ৪৭ রান।
তৃতীয় উইকেটে ৪৯ রানের জুটি গড়েন রোহিত ও সৌরভ তিওয়ারি। ১৩ বলে ২১ রান করে সুনীল নারাইনের শিকার হন তিনি। এরপরে পান্ডিয়া ১৩ বলে ১৭ এবং কাইরন পোলার্ড ৭ বলে ১৩ রানের ছোট ছোট ইনিংস খেলেন।
মুম্বাইয়ের অধিনায়ক রোহিত একাই করেন ৮০ রান। মাবীর বলে প্যাট কামিন্সের তালুবন্দী হয়ে তার সেঞ্চুরির আশা ভেঙে যায়। রোহিতের ৫৪ বলের ইনিংসে ছিল তিনটি চার ও ছয়টি ছক্কা। নির্ধারিত ২০ ওভারে মুম্বাই সংগ্রহ করে ১৯৫ রান।
কলকাতার মাবী ৩২ রানে শিকার করেন দুই উইকেট। নারাইন ৪ ওভারে ২২ রানের বিনিময়ে নেন একটি উইকেট। অপরদিকে কামিন্স ৩ ওভারে ৪৯ রান খরচ করে থাকেন উইকেটশূন্য।
জবাবে শুরুতেই হোঁচট খায় কলকাতা। ২৫ রানের মধ্যে দুই ওপেনার নারাইন ও শুবমান গিলকে হারায় তারা। দীনেশ কার্তিক ও নীতেশ রানা কিছুটা প্রতিরোধ গড়ে তোলার চেষ্টা করেন। কিন্তু তারাও বিদায় নেন পরপর দুই ওভারে। কার্তিক করেন ২৩ বলে ৩০ রান ও রানা ১৮ বলে ২৪ রান।৷ ইয়ন মরগান করেন ২০ বলে ১৬ রান।
কলকাতার বড় তারকা আন্দ্রে রাসেল ১১ বলে ১১ রান করে জাসপ্রীত বুমরাহের শিকার হয়ে সাজঘরে ফেরেন। মূলত ওখানেই ম্যাচটি হেরে যায় কলকাতা। তারপরে আর ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি দলটি।
কলকাতা থামে ১৪৬ রানে। মুম্বাই পায় ৪৯ রানের জয়। আসরে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে মুম্বাইয়ের প্রথম জয় এটি।