টি-টোয়েন্টিতে ১৯৫ রান বড় লক্ষ্য। তাই বলে লড়াইটাও করতে পারবেন না কলকাতা নাইট রাইডার্সের ব্যাটসম্যানরা! শারজায় রীতিমত দলকে লজ্জায় ফেললেন তারা।
পুরো ২০ ওভার ব্যাটিং করে ৯ উইকেটে ১১২ রানের বেশি জেতে পারেনি দুইবারের চ্যাম্পিয়নরা। ফলে ৮৪ রানের বড় জয় নিয়ে পয়েন্ট তালিকার তিন নম্বরে ওঠে এসেছে এখন পর্যন্ত শিরোপার মুখ না দেখা রয়েল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরু।
কলকাতার ব্যাটসম্যানদের মধ্যে এক শুভমান গিল ছাড়া কেউ বিশের ঘরও ছুঁতে পারেননি। এই ওপেনার ২৫ বলে করেন ৩৪ রান। এছাড়া আন্দ্রে রাসেল ১০ বলে ১৬ আর রাহুল ত্রিপাথি ১৬ করতে খরচ করেন ২২ বল।
ব্যাঙ্গালুরুর পক্ষে ২টি করে উইকেট নেন ক্রিস মরিস আর ওয়াশিংটন সুন্দর।
এর আগে ব্যাট হাতে শুরুটা করেছিলেন দেবদূত পাডিক্কেল আর অ্যারন ফিঞ্চ। শেষটা করেন এবি ডি ভিলিয়ার্স আর বিরাট কোহলি। এর মধ্যে সবচেয়ে ভয়ংকর ছিলেন ডি ভিলিয়ার্স।
প্রোটিয়া এই ব্যাটসম্যানের তাণ্ডবেই ২ উইকেটে ১৯৪ রানের বড় সংগ্রহ দাঁড় করায় রয়েল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরু।
শারজায় টস জিতে ব্যাট করতে নেমে উড়ন্ত সূচনা পায় ব্যাঙ্গালুরু। দুই ওপেনার পাডিক্কেল আর ফিঞ্চ ৪৬ বলে গড়েন ৬৭ রানের জুটি। ২৩ বলে ৩২ করে আন্দ্রে রাসেলের বলে বোল্ড হন পাডিক্কেল। ফিঞ্চকে বোল্ড করেন প্রসিধ কৃষ্ণা। ৩৭ বলে ৪৭ রান আসে অস্ট্রেলিয়ান ওপেনারের ব্যাট থেকে।
পরের সময়টা শুধুই ডি ভিলিয়ার্সের। সঙ্গী হিসেবে নিয়েছিলেন ব্যাঙ্গালুরু অধিনায়ক বিরাট কোহলিকে। ৪৬ বলে ১০০ রানের হার না মানা জুটি গড়েন তারা। যার মূল অবদান ডি ভিলিয়ার্সের।
২৩ বলে ফিফটি পূরণ করা ডি ভিলিয়ার্স শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থাকেন ৭৩ রানে। ৩৩ বলে গড়া তার দানবীয় ইনিংসটি ছিল ৫ চার আর ৬ ছক্কায় সাজানো।
তবে ব্যাঙ্গালুরুর অধিনায়ক কোহলি ছিলেন অনেকটাই ধীরগতির। ২৮ বলে ৩৩ রানের ইনিংসে তার ছিল কেবল একটি বাউন্ডারির মার।