মধুবন গায়েন,উত্তর ২৪ পরগনা জেলা বিশেষ প্রতিনিধি:
করোনাকালীন পরিস্থিতিতে বাংলাদেশ দ্বিতীয়বারের জন্য ভারতে করোনা মোকাবিলার জন্য নানা প্রকার ওষুধ, ব্যবহার্য সরঞ্জাম পাঠালো।
ভারতে করোনার দ্বিতীয় ওয়েভ মোকাবিলার জন্য এই মঙ্গলবার দ্বিতীয়বারের জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণে সহায়তা পাঠালো শেখ হাসিনার বাংলাদেশ সরকার। কলকাতার বাংলাদেশ ডেপুটি হাইকমিশনার হিসাবে নিযুক্ত তৌফিক হাসান ২৬৭২ পেটি ওষুধ এবং করোনা মোকাবিলায় ব্যবহৃত আত্মসুরক্ষার সরঞ্জামাদি ভারতীয় রেডক্রস সোসাইটির প্রতিনিধির হাতে তুলে দেন।
ভারত-বাংলাদেশ করিডোর প্রেট্রাপোলে এই হস্তান্তর ভারত-বাংলাদেশ মৈত্রীকে আরো একধাপ বাড়ালো বলে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন। বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক প্রদত্ত এই সহায়তায় রয়েছে এন্টিবায়োটিক, প্যারাসিটামল, স্যানিটাইজার, ইনজেকশনের সরঞ্জাম ইত্যাদি।
এইসব জীবনদায়ী ওষুধ ও সরঞ্জাম বাংলাদেশ সরকার পরিচালিত এসেনসিয়াল ড্রাগস্ কোম্পানি লিমিটেডের দ্বারা উৎপাদিত।বাংলাদেশ কর্তৃক প্রথম সহায়তা ভারতে ৬মে পাঠানো হয়, প্রদত্ত সহায়তায় ছিল ১০,০০০ ডোজ রেমডেসিভির যা বাংলাদেশের শীর্ষস্থানীয় ফার্মাসিউটিক্যালস সংস্থাগুলির মধ্যে অন্যতম “বেক্সিমকো” দ্বারা উৎপাদিত।
বাংলাদেশ সরকার ভারতের পাশাপাশি লাগোয়া নেপালেও যথেষ্ট পরিমাণে করোনা মোকাবিলার জন্য সহায়তা পাঠিয়েছে। হাইড্রোক্সিক্লোরোকুইন এবং রেমডেসিভিরের মতো জীবনদায়ী ওষুধ নেপালে পাঠানো হয়েছে। গত সপ্তাহে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী একে আব্দুল মোমেন ঢাকায় নেপালের রাষ্ট্রদূতের হাতে এই সহায়তা তুলে দেন।