তপনকান্তি মন্ডল,বিশেষ প্রতিনিধি :
সাধারণ মানুষের পাশাপাশি এবার করোনা মোকাবিলায় চিকিৎসক ও স্বাস্থকর্মীদের সহযোগী হলো লোকমাতা রানী রাসমণি মিশন।
দক্ষিণ চব্বিশ পরগণার সুন্দরবন এলাকায় কুলতলির জামতলা ও জয়নগরের নিমপীঠ দুটি গ্ৰামীণ হাসপাতাল এবং ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালে করোনা যোদ্ধা তথা চিকিৎসক ও স্বাস্থকর্মীদের জন্য মিশনের পক্ষ থেকে নানা ধরণের আবশ্যক স্বাস্থ্য উপকরণ প্রদান করা হয়। এগুলির মধ্যে রয়েছে ৩০টা পাল্স অক্সিমিটার, ২০টি থার্মাল গান, ২৫০টি পিপিই কিট, ১০০০ এন৯৫ মাস্ক, ৪৫০০ সার্জিক্যাল মাস্ক, ৫৫০ লিটার স্যানিটাইজার ইত্যাদি।
মিশনের সম্পাদক অমিতাভ রায় জানিয়েছেন যে, লোকমাতা রানী রাসমণির জীবনাদর্শে অনুপ্রাণিত এই সংস্থা মূলত: সুন্দরবন এলাকায় প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর উন্নয়নে ও সেবা কাজে সারাবছর যুক্ত থাকে। সরকারি ও বেসরকারি অনুদানের উপর বহুলাংশে নির্ভর করতে হয়। এবার একদিকে করোনা মোকাবিলা, অন্যদিকে ইয়াস ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের পাশে দাঁড়ানো সকল কাজে মিশনের স্বেচ্ছাসেবীরা কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ শুরু করে দিয়েছে। কুলতলির দেবীপুরে কমিউনিটি কিচেনের মাধ্যমে ৩০০ মানুষের পর্যাপ্ত আহারের ব্যবস্থা করা হয়। এছাড়া দুর্গত এলাকায় ২০০ গ্ৰামবাসীকে মশারি, ৫০০০ মাস্ক, মহিলাদের স্যানিটারি ন্যাপকিন প্রভৃতি বিতরণ এবং বিভিন্ন স্থানে প্রায় এক হাজার তিন শ’ কিলো ব্লিচিং প্রয়োগ করা হয়েছে।
দেবীপ্রসাদ রায়,আমিনুদ্দিন লস্কর, তাপস ভাদুড়ী, অরুণা কয়াল, টিঙ্কু নাইয়া, সন্তু দাস, বিশ্বজিৎ হালদার, অশোক হালদার প্রমুখ স্বেচ্ছাকর্মীদের নিরলস প্রয়াসে মিশনের সেবা কাজ আজ সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছে গেছে।