করোনা পরিস্থিতিতে স্বাস্থ্যবিধি মেনেই চলছে ট্রেন। অনলাইনে টিকিট কেনা যাচ্ছে বলে বাড়তি বিড়ম্বনা নেই। স্বাস্থ্য সুরক্ষা সরঞ্জাম ব্যবহার করায় ভ্রমণের স্বস্তির কথাও জানান যাত্রীরা । রেল কর্তৃপক্ষও বলছে, করোনা মোকাবেলায় সব ব্যবস্থা রেখেই চলছে ট্রেন।
রাজধানীর কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন। সারাদেশ থেকে শতাধিক ট্রেন আসে এসব প্লাটফর্মে। প্রবেশ পথে বসানো হয়েছে সেবা বুথ। বেশির ভাগই যাত্রীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষার জন্য। বিধি মানছেন সকলেই। বাইরে থেকে যারা ঢাকায় আসছেন তারাও জানাচ্ছেন স্বস্তির কথা।
যাত্রীরা জানান, যতটুকু সম্ভব বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে স্বাস্থ্যবিধির দিকে নজর দিয়েছে রেল কর্তৃপক্ষ। মোটামুটি দূরত্ব বজায় রেখে দুই সিটে একজনে বসানো হয়েছে। স্বাস্থ্য সুরক্ষা মেনে যে ব্যবস্থা আছে তা স্বাচ্ছন্দে মেনে নিয়েছেন যাত্রীরা। করোনার পরিস্থিতি সৃষ্টি হওয়ার পর অনেকেই প্রথম ট্রেনের যাত্রী হয়েছেন। কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থায় সন্তুষ্টির কথা জানালেন তারা।
সিডিউল বিপর্যয় ছাড়াই গন্তব্যে যাচ্ছে ট্রেন। নেই টিকিট নিয়ে ভোগান্তি। গ্রামে ছুটি কাটিয়ে অনেকেই ফিরছেন রাজধানীতে।
তবে নিজে সচেতন থাকলেও অফিস ও কলকারখানা খুলে যাওয়ায় স্বাস্থ্য ঝুঁকি কিছুটা বেড়েছে বলছেন কেউ কেউ।
অনলাইন টিকেটিং থাকায় নেই ভোগান্তি। ট্রেনে নিয়মিত হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহার করা হচ্ছে। আর মাস্ক বাধ্যতামূলক করা হয়েছে বলে জানান কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনের ম্যানেজার মো. আমিনুল হক। তিনি বলেন, ‘পাশের আসন খালি রেখে টিকিট বিক্রি করেছি। স্টেশনে প্রবেশের মুখে আমরা হাত ধোয়ার ব্যবস্থা রেখেছি। মাস্ক ব্যতিত কাউকেই আমরা স্টেশনে প্রবেশ করতে দিচ্ছি না।’ যাত্রী সেবায় নিয়মিত তদারকি বহাল থাকবে বলেও জানান তিনি।