মহীতোষ গায়েন, মফস্বল সম্পাদক পশ্চিমবঙ্গ,ভারত:
ভারতে ব্ল্যাক এবং হোয়াইট ফাঙ্গাসের পর আরও এক মারণ ছত্রাকের খোঁজ পাওয়া গেল। রাজধানী দিল্লির গাজিয়াবাদে এক ব্যক্তির শরীরে ধরা পড়েছে ইয়োলো ফাঙ্গাসের সংক্রমণ।
চিকিৎসকরা জানিয়েছেন ব্ল্যাক এবং হোয়াইট ফাঙ্গাসের থেকেও ভয়ঙ্কর এই ইয়োলো ফাঙ্গাস।
করোনার ধাক্কা সামলে ওঠার আগেই একের পর এক ছত্রাক হানা। ব্ল্যাক ফাঙ্গাস মহামারীর মধ্যেই হানা দিয়েছে হোয়াইট ফাঙ্গাস। তারপরেই আবার দেখা দিল হলুদ ফাঙ্গাস। দিল্লির এনসিআরে এক ব্যক্তির শরীরে থাবা বসিয়েছে এই হলুদ ফাঙ্গাস। চিকিৎসকরা চিকিৎসা শুরু করলেও এই নতুন ছত্রাকের সংক্রমণ দেখা দেওয়ায় বেশ উদ্বেগ বেড়েছে দিল্লি সহ সারা দেশে ব্ল্যাক এবং হোয়াইট ফাঙ্গাসের থেকেও নাকি ভয়ঙ্কর হলুদ ছত্রাক এমনই দাবি করেছেন চিকিৎসকরা। শরীরে আলিস্যি ভাব,ওজন কমে যাওয়া, খিদে কমে যাওয়া বা খিদে না পাওয়া এরকম একাধিক উপসর্গ দেখা দিতে পারে হলুদ ফাঙ্গাসে আক্রান্ত হলে। দৃষ্টি শক্তিতে প্রভাব ফেলা থেকে শুরু করে অর্গান ফেলিওরের মতো ঘটনা ঘটতে পারে এই ছত্রাকের সংক্রমণে।
হলুদ ছত্রাসের সংক্রমণ মূলত দেখা দেয়
অপরিচ্ছন্নতার জন্য। অতিরিক্ত আর্দ্র আবহাওয়াতেও এই ছত্রাকের সংক্রমণ ছড়াতে পারে। ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ আর্দ্রতা থাকলেও এই ছত্রাক সংক্রমণ ঘটাতে সক্ষম। তবে করোনা আক্রান্তরাই কেবল এই ছত্রাক সংক্রমণের শিকার কিনা তা এখনও চিকিৎসকদের কাছে পরিষ্কার নয়। ই এন টি বিশেষজ্ঞ ডাক্তার ব্রিজ ত্যাগীর হাসপাতালে গাজিয়াবাদের সেই ব্যক্তি চিকিৎসাধীন। বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন কো-মর্বিডিটির রোগীদের শরীরে এই ইয়ালো ফ্যাঙ্গাসের সংক্রমণের সম্ভাবনা বেশি। ইনফ্লামেশন বন্ধ করার জন্য যে ধরণের ওষুধ ডাক্তাররা ব্যবহার করেন তার ডোজ এর পরিমাণ বেশি বা কম হলে বা একটানা ঐ জাতীয় ঔষধ ব্যবহার করা হলে ঐ রোগীর হলুদ ফ্যাঙ্গাসে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা ৬০ শতাংশ। নোংরা ও অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ এবং বাসি খাবার, অপরিচ্ছন্ন জিনিসপত্র এই হলুদ ফ্যাঙ্গাসের আঁতুড় ঘর বলে বিশেষজ্ঞ চিৎকিসকরা জানিয়েছেন।