খুলনা প্রতিনিধিঃ
করোনা ভাইরাসে র প্রভাবে সারা বিশ্বময় আজ স্তব্ধ। সকল যান্ত্রিক ও গতিময় জীবনধারা তার গতি বদলিয়েছে।দেশের মানুষের জীবন যাপনের দৃশ্য পরিবর্তন হয়ে আয়-বাণিজ্যের সূচক নিম্নগামী হওয়ায়, সর্ব সাধারণ বিচলিত।লক ডাউন,সরকারি বিধি নিষেধ, করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে জীবন যাপনের অস্বাভাবিকতায় মানুষ তাদের পূর্বের কর্ম ও কার্যক্রম থেকে পিছিয়ে পড়েছে।স্বাভাবিক উপার্জন করতে না পেরে মধ্যবিত্ত,নিম্ন মধ্যবিত্ত শ্রেণির মানুষেরা অস্বাভাবিক অভাবে দিশেহারা অবস্থায় পড়েছে।না পারছে কাউকে বলতে না কিছু করতে।একদিকে আয় বাণিজ্য শূন্যের কৌঠায় অন্যদিকে সংসার খরচ,প্রতিষ্ঠানের খরচ চালাতে ব্যর্থ হয়ে ধার-দেনা,লোন,বাকি লেনদেন ও সময়মত পরিশোধ করতে না পেরে প্রতারকে পরিণত হচ্ছে।
এমনই একটা ব্যবসা যেটা মানুষের বিবাহ,জন্মদিন, দোয়ার অনুষ্ঠান, সুন্নতে খৎনা,সামাজিক,রাজনৈতিক অনুষ্ঠানে ডেকোরেশন করে সাধারণের বসবার ব্যবস্হা, অতিথি ও সাধারণের খাবার বিতরণ কার্যক্রম, আলোকসজ্জা র ডেকোরাম করে থাকে সেটা ডেকোরেটর ব্যবসায়ীরা করে থাকে।
গতবছর মার্চ মাসের কোভিড-১৯ সংক্রমন রোধে দেশের সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সরকার ঘোষিত লকডাউন চালু হয়।সকল গণ পরিবহন, শপিংমল, দোকানপাট,কল-কারখানা,সকল জেলা ভিত্তিক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন, সামাজিক দূরত্ব বজায়, মাস্কের ব্যবহার সুনিশ্চিত করতে প্রশাসনিক ও সামাজিক সংগঠনের মাধ্যমে সচেতনতা বৃদ্ধি করবার লক্ষ্যে কার্যক্রম অব্যহত রাখে।ফলে সকল বিবাহ,জন্মদিন, সামাজিক, রাজনৈতিক কার্যক্রম বন্ধ থাকায় সকল ডেকোরেটর ব্যবসায়ীরা বিপাকে পড়ে যায়।তারা তাদের স্বাভাবিক কার্যক্রম করতে না পেরে দৈন্যদশার দিনাতিপাত করছে।শুধু ডেকোরেটর ব্যবসায়ীরাই নয় এর সাথে সম্পৃক্ত বাবুর্চি,বাবুর্চির সহযোগীরা, ডেকোরেশন মিস্ত্রি ও তাদের সহযোগীরা।সকলেই অনেক কষ্টে, অভাবে ও ঋণগ্রস্ত অবস্থার সম্মুখীন।
রূপসা বাজারের মেসার্স রূপসা ডেকোরেটর এর স্বত্বাধিকারী মোঃ সোহেল রানার সাথে কথা বলে জানা যায়,করোনা পরিস্থিতির আগে মাসে ২০/২৫ টা অনুষ্ঠানের কাজ পেতাম,সিজনে (অক্টোবর –ফেব্রুয়ারী) ৩৫/৪৫ কাজ পেতাম।বিগত ১৪ মাসে কোন অনুষ্ঠানের কাজ করতে না পেরে অভাবে জর্জরিত হয়ে ধারদেনা করে প্রায় তিন লক্ষাধিক টাকার ঋণগ্রস্ত অবস্থার আছি।সরকারী কোন অনুদান,ত্রাণ, কোন জনপ্রতিনিধি রাজনৈতিক, সাহায্য সহযোগিতা দূরে থাক কেউ কোনো খোঁজ খবর নেয়নি।এহেন পরিস্থিতিতে তারা কি করবে, তাদের মালামাল ও ঘরে পড়ে থেকে নষ্ট হবার উপক্রম।
আরেক প্রতিষ্ঠান আজমেরী ডেকোরেটর এর স্বত্বাধিকারী মোঃ আমীর হোসেন ছোট এর সাথে কথা বলে জানা যায়,প্রতিমাসে ২০/২৫টা অনুষ্ঠানের কাজ করতাম,সিজনে ৫০/৬০ টা অনুষ্ঠানের কাজ করতাম।করোনা পরিস্হির কারণে আয় ইনকাম বন্ধ থাকায় লক্ষাধিক টাকার ঋণগ্রস্ত হয়েছি সংসার চালাতে হিমসিম খেতে হচ্ছে।
এহেন পরিস্থিতিতে অনেক ব্যবসায়ীরা ব্যবসায়িক বিপাকে পড়ে নানাবিধ সমস্যায় জর্জরিত হয়ে অশান্তিতে চাপা কান্না বুকে চাপিয়ে নিজেদের ভাগ্যেকে দোষারোপ করছে।সমাধানের কোনো ভাষা নেই।