মহীতোষ গায়েন,মফস্বল সম্পাদক,পশ্চিমবঙ্গ :
পশ্চিমবঙ্গের লক্ষ লক্ষ ছাত্রছাত্রীদের জীবনের প্রথম দুটি বড় পরীক্ষা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক।
করোনা আবহে এই দুটি পরীক্ষার বিষয়ে সঠিক সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য পশ্চিমবঙ্গ সরকার মধ্যশিক্ষা পর্ষদের সভাপতি কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায় ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের সভাপতি মহুয়া দাসের নেত্বত্বে বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ,মনোবিদ ও চিকিৎসকদের নিয়ে একটি বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠন করে দেয়। বিশেষজ্ঞ কমিটির সুপারিশের ভিত্তিতে মাধ্যমিক পরীক্ষা ফিজিক্যালি হচ্ছে না,নবম বা দশম শ্রেণির পরীক্ষার ফলাফলের উপর ভিত্তি করে গাণিতিক মূল্যায়ন মডেল অনুসরণ করে পরীক্ষার্থীদের মূল্যায়ন করে ফলাফল ঘোষণা করা হবে নির্ধারিত সময়ে বলে জানা গেছে।
উচ্চমাধ্যমিকের ক্ষেত্রে স্নাতকস্তরের মত ওপেন বুক সিস্টেমে অনলাইনে পরীক্ষা দেওয়ার সুপারিশ করতে চলেছে বিশেষজ্ঞ কমিটি। সম্ভবত আগামীকালই সরকারিভাবে এই সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেওয়া হবে। এই সিদ্ধান্ত বিষয়ে সমাজের নানান স্তরে বিভিন্ন শিক্ষাবিদ, সমাজবিদ, মনোবিদ, অভিভাবকরা জানাচ্ছেন যে দুটি ক্ষেত্রেই সরকারের সিদ্ধান্ত অত্যন্ত মানবিক ও সমাজকল্যাণমূলক, তারা মনে করছেন আগে জীবনের সুরক্ষা তারপর পরীক্ষা ও অন্যসব কিছু।সরকার এই বিষয়টিকেই গুরুত্ব দিয়েছে।মুষ্টিমেয় সমালোচনাকারী, অবুঝ কিছু মানুষ ইচ্ছে করে সমালোচনা করলেও তাদের সংখ্যা নগণ্য।সরকারের এইসিদ্ধান্ত একশো শতাংশ সঠিক বলে পশ্চিমবঙ্গের আমজনতা মনে করছে।