করোনা ভাইরাসের ধাক্কায় সব কিছু স্থবির হয়ে গেছে। করোনার কালো মেঘে যেন সব ঢেকে যাচ্ছে। নেই সেই কাকডাকা ভোরে ফসলের আঁকাবাঁকা পথ ধরে হেঁটে যাওয়া বিদ্যালয়গামী শিক্ষার্থীদের দল। নেই সেই বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের কর্মযজ্ঞে কেটে যাওয়া দিনগুলো। বাংলার মানুষ আজ হাফিয়ে উঠেছে। গৃহবন্দী হয়ে রয়েছে দিনের পর দিন। দিন দিন দীর্ঘ থেকে দীর্ঘতর হচ্ছে আক্রান্ত ও মৃত্যুর মিছিল।
অনেকেই কাজ হারিয়ে দিশেহারা হচ্ছেন। এরই মাঝে বাংলার আবার সুদিন ফেরানোর জন্য একঝাঁক বাংলা মায়ের অদম্য সন্তানেরা নিরন্তর কাজ করে চলেছেন। তাঁরা পেশায় কেউ ডাক্তার, পুলিশ, সাংবাদিক, সামরিক বাহিনীর সদস্য অথবা সরকারী কর্মকর্তা-কর্মচারী। মৃত্যুর ঝুঁকিকে তুচ্ছ করে, নিজ পরিবারের কথা চিন্তা না করে, শুধু বাংলার সুদিন ফেরার লক্ষ্য নিয়েই তাঁরা অবিরাম কাজ করে চলেছেন।
ইতিমধ্যেই তাঁদের অনেকেই শহীদ হয়েছেন। ১৯৭১ সালে এই বাংলাদেশকে হানাদার মুক্ত করার জন্য যেমন জেগে উঠেছিলেন বাংলার সূর্য সন্তান মুক্তিযোদ্ধাগণ, তেমনি আজ তাঁরাও জেগে উঠেছেন বাংলার ক্রান্তি লগ্নে। তাঁদের প্রতি বাংলার প্রতিটি মানুষ আজীবন কৃতজ্ঞ থাকবে। আমারাও বিশ্বাস করি, আবারও বাংলা তার স্বরূপে খুব তাড়াতাড়ি ফিরবে। তাঁদের এই অসীম অবদানের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে আমাদের এর একটি ক্ষুদ্র প্রচেষ্টা। যার নাম Thank you Bangladesh।
এই প্রজেক্টে চারটি দেশাত্ববোধক গানকে নতুনভাবে সাজনো হয়েছে। যেখানে প্রথম অংশে, করোনা পরিস্থিতির পূর্বে বাংলার চিরাচরিত অপরূপ সৌন্দর্য দেখানো হবে। দ্বিতীয় গানের দৃশ্যে করোনা পরিস্থিতিতে বাংলার অবস্থা চিত্রায়িত হবে। তৃতীয় গানের দৃশ্যে বাঙালীর করোনা মোকাবেলায় সম্মুক যোদ্ধাদের জেগে ওঠার চিত্র চিত্রায়িত হবে এবং শেষ অংশে বাংলা মা যেনো তার আবার আগের স্বরূপে ফিরে আসে খুব দ্রুত, এই আশাবাদ প্রস্ফুটিত হবে।
গানটির সঙ্গীত পরিচালনা করেছেন সাজেদুর সাহেদ এবং গানটির পরিকল্পনা ও ভিডিও পরিচালনা করেছেন এ,বি,এম, এহসানুজ্জামান অভি।
গানটিতে অংশগ্রহণ করেছেন জনপ্রিয় সঙ্গীত শিল্পীরা। এরা হচ্ছেন কুমার বিশ্বজিৎ, ফাহমিদা নবী, সামিনা চৌধুরী, দিলশাদ নাহার কাকলী, কাজী শুভ এবং মেজর মোঃ আশরাফুল আলম সুজন। গানটি প্রকাশ পেয়েছে একসঙ্গে টিভির পর্দায় এবং ইউটিউব চ্যানেলে।