কুমিল্লায় করোনাভাইরাসের ভুয়া রিপোর্টসহ সব ধরনের ভুয়া সার্টিফিকেট, টেস্টিমনিয়াল, জাতীয় পরিচয়পত্রসহ যাবতীয় ভুয়া সনদ তৈরির কারখানার সন্ধান পেয়েছে র‌্যাব।

কুমিল্লা জেলার চান্দিনা বাজারের বিসমিল্লাহ এন্টারপ্রাইজ নামে একটি দোকানের আড়ালে চালানো এই কারখানায় অভিযান চালায় র‍্যাব-১১। এ সময় প্রতারণার অভিযোগে মোরশেদ আলম নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়। মোরশেদ আলম জেলার দেবিদ্বার উপজেলার জাফরাবাদ গ্রামের ইদ্রিস আলীর ছেলে।

র‍্যাব-১১ কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানানো হয়।

র‌্যাব আরো জানায়, জেলার চান্দিনা বাজারের ব্যবসায়ী মোরশেদ আলম দীর্ঘদিন ধরেই অর্থের বিনিময়ে ভুয়া সনদ ও রিপোর্ট তৈরি করে আসছিলেন। সম্প্রতি মোরশেদ রাজধানীর ল্যাব এইড হাসপাতালের নাম ব্যবহার করে ভুয়া করোনাভাইরাস টেস্ট রিপোর্ট তৈরি করে বিক্রি করা শুরু করেন বলে গোপন সূত্রে খবর পায় র‍্যাব।

কুমিল্লা র‌্যাব-১১’র কোম্পানি কমান্ডার মেজর তালুকদার নাজমুস সাকিব জানান, “মোরশেদ করোনাভাইরাস টেস্টের ভুয়া রিপোর্ট তৈরি করে প্রতারণা করে আসছিলেন। এর আগে তিনি এসএসসি,দাখিল, এইচএসসি, অনার্স, মাষ্টার্সসহ সব ধরনের পরীক্ষার জাল সার্টিফিকেট তৈরি করতেন। প্রতারণার মাধ্যমে সাধারণ মানুষের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ অর্থ হাতিয়েছেন মোরশেদ। এ ধরনের চক্রের বিরুদ্ধে র‌্যাবের অভিযান অব্যাহত থাকবে।”

গোপন সূত্রের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে প্রতারণার অভিযোগে মোরশেদ আলমকে গ্রেফতার করে। অভিযানে ভুয়া সনদ তৈরিতে ব্যবহৃত কম্পিউটার ও বিভিন্ন ধরনের জাল সনদ ও অন্যান্য সরঞ্জামাদি জব্দ করা হয়।

জব্দ করা মালামালের মধ্যে রয়েছে- একটি সিপিইউ, একটি মনিটর, কালার প্রিন্টার, স্ক্যানার, ইন্টারনেট মডেম, তিনটি পেনড্রাইভ, দু’টি মোবাইল, ভুয়া করোনাভাইরাস টেস্টে রিপোর্ট, জাল সার্টিফিকেট, ভুয়া জাতীয় পরিচয়পত্র ও নগদ অর্থ।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে