Dhaka ০৪:১৫ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২২ এপ্রিল ২০২৫, ৮ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

করোনার আবহে বাঁকুড়া জেলা জুড়ে, উৎসাহ- উদ্দীপনায় বিপত্তারিণী পুজো অনুষ্ঠিত

  • Reporter Name
  • Update Time : ০১:০৭:১১ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৪ জুলাই ২০২১
  • ৮৭ Time View

সুবীর মণ্ডল ,বাঁকুড়া জেলা প্রতিনিধি:

আষাঢ় মাসের রথযাত্রা থেকে উল্টোরথের মধ্যে যে শনিবার ও মঙ্গলবার পড়ে, সেই দিনগুলিতেই  বিপত্তারিণীর ব্রত করা হয়। হিন্দু ধর্মে বিপত্তারিণী ব্রতের গুরুত্ব অনেক। দেবী দুর্গার ১০৮ অবতারের অন্যতম এবং দেবী সঙ্কটনাশিনীর একটি রূপ মা বিপত্তারিণী। ভক্তি মনে এই পুজো করলে, যে কোনও বিপদ থেকে রক্ষা পাওয়া যায়।হিন্দু ধর্মে বিপত্তারিণী ব্রতের গুরুত্ব অনেক।ভক্তি মনে এই পুজো করলে, যে কোনও বিপদ থেকে রক্ষা পাওয়া যায়। দেবী দুর্গা ১০৮ অবতারের অন্যতম এবং দেবী সঙ্কটনাশিনীর একটি রূপ মা বিপত্তারিণী।
হিন্দু ধর্মে বিপত্তারিণী ব্রতের (Bipadtarini Pujo) গুরুত্ব অনেক।  দেবী দুর্গার ১০৮ অবতারের অন্যতম এবং দেবী সঙ্কটনাশিনীর একটি রূপ মা বিপত্তারিণী। তাই যে কোনও মাতৃ শক্তির মন্দিরে এই পুজো হয়। ভক্তি মনে এই পুজো করলে, যে কোনওবিপদথেকেরক্ষাপাওয়াযায়হিন্দুধর্মাবলম্বীরা মূলত বিপদ থেকে উদ্ধার পাওয়ার জন্য এই দেবীর পুজো করেন। সংসারের সব বিপদ দূর করতে হিন্দু মহিলারা এই ব্রত পালন করে থাকেন।

এই পুজোর একটা বিশেষ নিয়ম হল সবকিছু ১৩টা করে উৎসর্গ করতে হয় দেবীকে।   পশ্চিমবঙ্গের অন্যান্য জেলার  মতো বাঁকুড়া জেলা জুড়ে উৎসাহ ও উদ্দীপনায় বিপত্তারিণী পুজো অনুষ্ঠিত হলো। মূলত নারী  সমাজের  নিজস্ব  ব্রত।প্রতিটি  শিব ,কালী,মহামায়া, মা   অম্বিকার মন্দিরে বিপুল সংখ্যক মায়েদের  উপস্থিতি  লক্ষ্য করা গেছে। দক্ষিণ বাঁকুড়ার খাতড়া রক্মিণীতলা,শ্মশান কালীমন্দির,   অম্বিকা নগরের  মা অম্বিকার মন্দিরে,রাইপুরের মহামায়ার মন্দিরে, খাতড়া শ্রী পল্লীর কালীমন্দিরে, বাঁকুড়   জেলা  শহরের এক্তেশ্বর মন্দিরে ,বিষ্ণুপুরের শিবমন্দিরে ছাড়াও সারেঙ্গা, মোটগদার শনি মন্দির  , ইন্দপুর ব্লকের   ব্র্জরাজপুর, সিমলাপাল ব্লকের শিলাবতী নদী তীরবর্তী মন্দিরে মহাধুমধামের সঙ্গে  বিপত্তারিণী পুজো  অনুুষ্ঠিত হয়েছে।
অনেক  জায়গায়  নিরাপত্তা সুনিশ্চিতকরণ  করেছে    স্হানীয় প্রশাসন। খাতড়া শহরের অধিবাসী  ইলা সুবুদ্ধি জানালেন  নিজস্ব বিশ্বাস প্রসূত ব্যক্তিগত ভাবনার কথা, ” দেবী মা বিপত্তারিণীর আশীর্বাদে করোনা অতিমারীর বিপদ জয় করে জগৎবাসীর মুখে এমনই আনন্দের হাসি প্রস্ফুটিত হোক।এই প্রার্থনা করেছি “।

যিনিই মহামায়া তিনিই বিপদতারিনী…লক্ষ লক্ষ মানুষের বিশ্বাস রাইপুরের এই মা মহামায়া অত্যন্ত জাগ্রত দেবী তাই আজ মা মহামায়া মন্দিরে (রাইপুর বাঁকুড়া) কয়েক হাজার গ্ৰামীন মা বোনদের উপস্থিতি বিপদতারিনী পূজো দেওয়ার জন্য। মা মহামায়া খুব খুশি আজ। বারংবার মাইকে ঘোষণা করা হচ্ছে কোভিড বিধি মেনে মুখে মাস্ক পরে লাইনে দাঁড়ানোর জন্য, । পুলিশ প্রশাসন  সহযোগিতা করেছে   সাধ্যমত। একটু অসুবিধাও  হয়েছে।  ভীড় ছিল চোখে পড়ার মতো ।   মহিলা পুলিশ   সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছে।   অনেকেই   কোভিড বিধি মেনে পুজো দেওয়ার জন্য চেষ্টা করেছেন,  না পেরে কেউ  কেউ অসহায় হয়ে পড়েছেন। মন্দির কমিটির সদস্যরা অসহায়, এতো বেশি মহিলাদের উপস্থিতি দেখে। নতুন মন্দির নির্মাণের জন্য মা মহামায়ার পূজো দেওয়ার পর মা ও বোনেরা তাদের সামান্য সঞ্চিত অর্থের থেকে কিছু কিছু মন্দির নির্মাণের জন্য দান করছেন,অনেকে পাঁচহাজার থেকে এগার হাজার টাকা বা আরো বেশি মন্দির নির্মাণের জন্য দানের ঘোষণা করলেন তাদের নাম সহ মাইকের মাধ্যমে মন্দির নির্মাণ কমিটির সম্পাদক। জঙ্গলমহলে অনেকেই  পারিবারিক ভাবে বিপত্তারিণী পুজো করেছেন। বহু  জায়গায়  বারোয়ারি পুজোর চল লক্ষ্য করা গেছে। বিভিন্ন  ক্লাব  এগিয়ে  এসেছে  সহযোগিতার জন্য। একটা  ভক্তিভাবের  জাগরণ ঘটেছে সমগ্র  জেলা জুড়ে।

   মোহময় দুঃসময়ের মুখোমুখি  মানুষ ।দীর্ঘদিন  ঘরবন্দি জীবন। একটু   মানসিক চাপ ও  মুুুক্তিকামনায় মিলিত হয়েছেন।  এ- এক মহামিলনের ছবি  লক্ষ্য করা গেছে  প্রতিটি মন্দিরে ।
Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Raj Kalam

Popular Post

করোনার আবহে বাঁকুড়া জেলা জুড়ে, উৎসাহ- উদ্দীপনায় বিপত্তারিণী পুজো অনুষ্ঠিত

Update Time : ০১:০৭:১১ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৪ জুলাই ২০২১

সুবীর মণ্ডল ,বাঁকুড়া জেলা প্রতিনিধি:

আষাঢ় মাসের রথযাত্রা থেকে উল্টোরথের মধ্যে যে শনিবার ও মঙ্গলবার পড়ে, সেই দিনগুলিতেই  বিপত্তারিণীর ব্রত করা হয়। হিন্দু ধর্মে বিপত্তারিণী ব্রতের গুরুত্ব অনেক। দেবী দুর্গার ১০৮ অবতারের অন্যতম এবং দেবী সঙ্কটনাশিনীর একটি রূপ মা বিপত্তারিণী। ভক্তি মনে এই পুজো করলে, যে কোনও বিপদ থেকে রক্ষা পাওয়া যায়।হিন্দু ধর্মে বিপত্তারিণী ব্রতের গুরুত্ব অনেক।ভক্তি মনে এই পুজো করলে, যে কোনও বিপদ থেকে রক্ষা পাওয়া যায়। দেবী দুর্গা ১০৮ অবতারের অন্যতম এবং দেবী সঙ্কটনাশিনীর একটি রূপ মা বিপত্তারিণী।
হিন্দু ধর্মে বিপত্তারিণী ব্রতের (Bipadtarini Pujo) গুরুত্ব অনেক।  দেবী দুর্গার ১০৮ অবতারের অন্যতম এবং দেবী সঙ্কটনাশিনীর একটি রূপ মা বিপত্তারিণী। তাই যে কোনও মাতৃ শক্তির মন্দিরে এই পুজো হয়। ভক্তি মনে এই পুজো করলে, যে কোনওবিপদথেকেরক্ষাপাওয়াযায়হিন্দুধর্মাবলম্বীরা মূলত বিপদ থেকে উদ্ধার পাওয়ার জন্য এই দেবীর পুজো করেন। সংসারের সব বিপদ দূর করতে হিন্দু মহিলারা এই ব্রত পালন করে থাকেন।

এই পুজোর একটা বিশেষ নিয়ম হল সবকিছু ১৩টা করে উৎসর্গ করতে হয় দেবীকে।   পশ্চিমবঙ্গের অন্যান্য জেলার  মতো বাঁকুড়া জেলা জুড়ে উৎসাহ ও উদ্দীপনায় বিপত্তারিণী পুজো অনুষ্ঠিত হলো। মূলত নারী  সমাজের  নিজস্ব  ব্রত।প্রতিটি  শিব ,কালী,মহামায়া, মা   অম্বিকার মন্দিরে বিপুল সংখ্যক মায়েদের  উপস্থিতি  লক্ষ্য করা গেছে। দক্ষিণ বাঁকুড়ার খাতড়া রক্মিণীতলা,শ্মশান কালীমন্দির,   অম্বিকা নগরের  মা অম্বিকার মন্দিরে,রাইপুরের মহামায়ার মন্দিরে, খাতড়া শ্রী পল্লীর কালীমন্দিরে, বাঁকুড়   জেলা  শহরের এক্তেশ্বর মন্দিরে ,বিষ্ণুপুরের শিবমন্দিরে ছাড়াও সারেঙ্গা, মোটগদার শনি মন্দির  , ইন্দপুর ব্লকের   ব্র্জরাজপুর, সিমলাপাল ব্লকের শিলাবতী নদী তীরবর্তী মন্দিরে মহাধুমধামের সঙ্গে  বিপত্তারিণী পুজো  অনুুষ্ঠিত হয়েছে।
অনেক  জায়গায়  নিরাপত্তা সুনিশ্চিতকরণ  করেছে    স্হানীয় প্রশাসন। খাতড়া শহরের অধিবাসী  ইলা সুবুদ্ধি জানালেন  নিজস্ব বিশ্বাস প্রসূত ব্যক্তিগত ভাবনার কথা, ” দেবী মা বিপত্তারিণীর আশীর্বাদে করোনা অতিমারীর বিপদ জয় করে জগৎবাসীর মুখে এমনই আনন্দের হাসি প্রস্ফুটিত হোক।এই প্রার্থনা করেছি “।

যিনিই মহামায়া তিনিই বিপদতারিনী…লক্ষ লক্ষ মানুষের বিশ্বাস রাইপুরের এই মা মহামায়া অত্যন্ত জাগ্রত দেবী তাই আজ মা মহামায়া মন্দিরে (রাইপুর বাঁকুড়া) কয়েক হাজার গ্ৰামীন মা বোনদের উপস্থিতি বিপদতারিনী পূজো দেওয়ার জন্য। মা মহামায়া খুব খুশি আজ। বারংবার মাইকে ঘোষণা করা হচ্ছে কোভিড বিধি মেনে মুখে মাস্ক পরে লাইনে দাঁড়ানোর জন্য, । পুলিশ প্রশাসন  সহযোগিতা করেছে   সাধ্যমত। একটু অসুবিধাও  হয়েছে।  ভীড় ছিল চোখে পড়ার মতো ।   মহিলা পুলিশ   সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছে।   অনেকেই   কোভিড বিধি মেনে পুজো দেওয়ার জন্য চেষ্টা করেছেন,  না পেরে কেউ  কেউ অসহায় হয়ে পড়েছেন। মন্দির কমিটির সদস্যরা অসহায়, এতো বেশি মহিলাদের উপস্থিতি দেখে। নতুন মন্দির নির্মাণের জন্য মা মহামায়ার পূজো দেওয়ার পর মা ও বোনেরা তাদের সামান্য সঞ্চিত অর্থের থেকে কিছু কিছু মন্দির নির্মাণের জন্য দান করছেন,অনেকে পাঁচহাজার থেকে এগার হাজার টাকা বা আরো বেশি মন্দির নির্মাণের জন্য দানের ঘোষণা করলেন তাদের নাম সহ মাইকের মাধ্যমে মন্দির নির্মাণ কমিটির সম্পাদক। জঙ্গলমহলে অনেকেই  পারিবারিক ভাবে বিপত্তারিণী পুজো করেছেন। বহু  জায়গায়  বারোয়ারি পুজোর চল লক্ষ্য করা গেছে। বিভিন্ন  ক্লাব  এগিয়ে  এসেছে  সহযোগিতার জন্য। একটা  ভক্তিভাবের  জাগরণ ঘটেছে সমগ্র  জেলা জুড়ে।

   মোহময় দুঃসময়ের মুখোমুখি  মানুষ ।দীর্ঘদিন  ঘরবন্দি জীবন। একটু   মানসিক চাপ ও  মুুুক্তিকামনায় মিলিত হয়েছেন।  এ- এক মহামিলনের ছবি  লক্ষ্য করা গেছে  প্রতিটি মন্দিরে ।